• রহস্য ও রোমাঞ্চ
  • সরকারি যোজনা
  • বিঞ্জান ও প্রযুক্তি
  • আইন ও অপরাধ
  • প্রোডাক্ট রিভিউ
  • শুভেচ্ছা SMS
  • স্বাস্থ সচেতনতা
  • পরিচিতি (About us)
  • Contact Us (যোগাযোগ)

newton biography in bengali

Famous Scientist স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী (Issacs Newton Biography in Bengali)

আজকে আমরা আলোচনা করব স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী (Issacs Newton Biography in Bengali) নিয়ে।

স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী,নিউটন ও আপেল এর গল্প আমরা ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি। এরপর যত বয়স বেড়েছে তার সাথে,সাথে নিউটন এর আবিষ্কার,

মধ্যাকর্ষণ শক্তি,নিউটনের সূত্র (Newton law),নিউটনের প্রথম সূত্র (Newton first law),নিউটনের ভরবেগ ইত্যাদি বিষয় গুলির সাথে পরিচয় হয়েছে।

স্যার আইজাক নিউটন ছিলেন আইনস্টাইনের সমপর্যায়ের একজন বিজ্ঞানী। সপ্তদশ শতকে আধুনিক বিজ্ঞান নিউটনের হাত ধরেই পথ চলা শুরু করেছিল বললে কিছু ভুল বলা হবেনা।

স্যার আইজ্যাক নিউটন ছিলেন বিজ্ঞানের প্রকৃত সিদ্ধপুরুষ। তাই আপনারা যারা বিজ্ঞানের অনুরাগী,তারা স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী পড়লে বুঝতে পারবেন,

বিজ্ঞান সাধনায় স্যার আইজ্যাক নিউটন বিজ্ঞানের তপস্যায় কীভাবে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। আজকে আমরা তার সাধনার ফল বলেই মধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছি।

Table of Contents

স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী (Issacs Newton Biography in Bengali)

স্যার আইজ্যাক নিউটন একজন মহান বিজ্ঞানী হওয়ার সাথে,সাথে তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। নিউটন গণিত শাস্ত্র,ভৌতিক শাস্ত্র,জৌতিষ শাস্ত্র এবং দর্শন শাস্ত্রে সমান পারদর্শী ছিলেন।

তিনি ভরবেগের গতিসূত্র,মধ্যাকর্ষণ শক্তির মত বিষয় গুলি আবিষ্কার করে তার অসামান্য কৃত্তি রেখে গেছেন। আসুন তাহলে

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনীতে,স্যার আইজ্যাক নিউটন এর জীবন দর্শনকে।

আরো পড়ুন : বিটকয়েন মানে কি, বিটকয়েন থেকে ইনকাম করার উপায়।

নিউটনের জন্ম ওপরিচয় (Newton early life)

নিউটনের জন্ম ও তারিখ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা আছে। পুরোনো জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নিউটনের জন্ম হয় ০৪ জানুয়ারী ১৬৪৩ সালে।

আবার নতুন আধুনিক খ্রীস্টাব্দ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নিউটনের জন্ম তারিখ হিসাবে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন / ক্রিসমাস ডে এর দিন ১৬৪২ সাল বলে বিবেচিত করা হয়।

নিউটনের জন্ম হয় ইংল্যান্ডের লাঙ্কাশায়ার গ্রামে এক বিত্ত কৃষক পরিবারে। তিনি ছিলেন তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।

তার বাবার নাম ছিল আইজ্যাক নিউটন এবং মায়ের নাম হল হানা এস্কফ। ছোট্ট নিউটন মায়ের গর্ভে থাকাকালীন,ভূমিষ্ঠ হওয়ার তিন মাস আগে নিউটনের বাবা মারা যায়।

তাই নিউটনের মা হানা এস্কফ তার স্বামী আইজ্যাক নিউটনের স্মৃতি চারণায় ছেলের নাম তার স্বামীর নামে  আইজ্যাক নিউটন রাখেন।

নিউটনের মা,নিউটনকে অপুষ্ট অবস্থায় প্রসব করেছিলেন। তাই শিশু নিউটন আকারে খুব ছোট ও রুগ্ন ছিল। তার মা হানা-র মতে নিউটনকে একটা মাঝারি কৌটো’র মধ্যে পুরে রাখলে,রাখা যেত।

নিউটনের মা বিধবা হওয়ার পর নিউটনের যখন তিন বছর বয়স, তখন নিউটনের মা হানা এস্কফ চার্চের পাদ্রি রেভারেড বার্নাবাস স্মিথ এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়।

এরপর বার্নাবাস স্মিথ তার সমস্ত সম্পত্তি নিউটনের (Newton)  নামে লিখে দিলে,হানা এস্কফ বার্নাবাস এর সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিবাহ করেন।

নিউটন তার সৎ পিতা বার্নাবাসকে সহ্য করতে পারতেন না। তাই নিউটনের মা নিউটনকে গ্রামের বাড়িতে তার দীদা মার্গারী এস্কফ এর কাছে রেখে চলে আসেন।

নিউটনের শিক্ষা জীবন (Newton education life)

নিউটন বারো বছর বয়স অবধি গ্রন্থম গ্রামের কিং স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন। নিউটন ছেলেবেলায় খুব চঞ্চল ও রাগী ছিলেন,

স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী ঘেঁটে দেখলে দেখা যায়,নিউটন আর পাঁচটা ছেলের মত স্কুলের দেওয়ালে চক দিয়ে দাগ কেটে দুষ্টমি করতেন।

একবার তার এক সহপাঠী নিউটনকে বিরক্ত করলে,নিউটন তার সহপাঠীর সঙ্গে লড়াই করে বসে। নিউটনের দুষ্টমির প্রমান স্বরূপ,

স্কুলের জানালায় নিউটনের হাতের লেখা নিজের নাম,লেখাটি কিং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মহান বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের স্মৃতিতে সযত্নে সংরক্ষিত আছে।

গ্রন্থমের কিং স্কুলে পড়ার সময় নিউটন ক্লার্ক নামের একজন ফার্মাসিস্টের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আশ্রয়ের বিনিময়ে নিউটনকে ক্লার্কের ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে খেলা এবং মনোরঞ্জন করতে হত।

ফার্মাসিস্টের বাড়িতে থাকার সময় নিউটন ক্লার্কের লাইব্রেরীতে গিয়ে রসায়ন এবং গণিতের বিভিন্ন বই গুলিকে পড়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেন। তিনি ক্লার্কের বাড়িতে থাকা কালীন ক্লার্কের,

মেয়ের জন্য ফ্লোটিং লণ্ঠন,জল ঘড়ি,সূর্যের আলো দ্বারা চালিত বায়ুকল তৈরী করে ক্লার্কের মেয়েকে খেলনা হিসাবে গড়ে দিয়ে মনোরঞ্জন করে রাখতেন।

১৫৪৬ সালে নিউটনের সৎ বাবা বার্নাবাস মারা গেলে তার মা হানা এস্কফ কৃষি কাজ করার উদ্দেশ্যে নিউটনকে পড়াশোনা ছাড়িয়ে গ্রামে নিয়ে চলে আসে।

স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী

কিন্তু নিউটনের চাষ বাসের প্রতি ঝোঁক নেই দেখে তাকে পুনরায় স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়। নিউটনের কাকা উইলিয়ম ছিলেন,

বার্টন কগলিসের রেক্টর। তিনি ভাইপো নিউটনের মেধা শক্তি বিচার করে নিউটনকে,কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি করে দেন।

নিউটনের ট্রিনিটি কলেজে অধ্যয়ন

স্যার আইজ্যাক নিউটন ক্রেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজ থেকে ১৬৬১ সালে ১৯ বছর বয়েসে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ট্রিনিটি কলেজে পড়ার সময় স্যার আইজ্যাক নিউটন,

পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য কলেজের বিভিন্ন কাজে হাত লাগিয়ে পয়সা উপার্জন করতেন। ট্রিনিটি কলেজে অধ্যায়ন কালে মেধাবী ছাত্র হিসাবে নিউটনের বিশেষ কোনো ভূমিকা চোখে পড়ে না।

তবে নিউটন গণিত শাস্ত্র,বল বিজ্ঞান নিয়ে গভীরভাবে পড়াশোনা করেছিলেন। এছাড়া তিনি ক্রেপলারের সূত্র গুলি নিয়ে রিসার্চ করেন।

একবার নিউটন বইমেলা থেকে জ্যামিতি ও নক্ষত্র বিজ্ঞানের উপর একটি বই কিনে আনেন। কিন্তু তিনি জ্যামিতির রেখাচিত্র গুলির কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

জ্যামিতির রেখাচিত্র গুলি সমাধান করার জন্য নিউটনকে ইউক্লিডের জ্যামিতি জানার দরকার ছিল। তখন তিনি কলেজের লাইব্রেরী থেকে,

ইউক্লিডের একটি জ্যামিতির বই নিয়ে এসে পড়াশোনা শুরু করে দেন। কিন্তু তিনি ইউক্লিডের বই পড়ে কোনো কুল কিনারা করে উঠতে পারছিলেন না।

তখন তিনি ইউক্লিডের বইটিকে নিত্যান্ত নগন্য পুস্তুক বলে রেখে দেন। পরে প্রফেসর আইজাক বারো নিউটনকে,ইউক্লিডের বইটিকে আরো একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য বলেন।

১৬৬৪ সালে নিউটন তার মেধার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে কলেজ থেকে স্কলারশিপ লাভ করে। এরপর থেকে নিউটনকে পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য চিন্তা করতে হয় না।

স্কলারশীপের টাকায় নিউটন স্নাতক এবং এম.এ.পাস করেন। ১৬৬৫ সালে ইংল্যান্ডে প্লেগ মহামারীর প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে পুরো এলাকায় লক ডাউন ঘোষণা করা হয়।

ক্রেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ীভাবে তার সমস্ত কলেজ বন্ধ করে দেয়। এরপর নিউটন ইংল্যান্ড থেকে লাঙ্কাশায়ার গ্রামে,তার মায়ের কাছে চলে আসে।

আরো পড়ুন: সন্দীপ মহেশ্বরী জীবনী। 

নিউটন ও আপেল

প্লেগ মহামারীর কারণে নিউটন টানা দেড় বছর গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। লাঙ্কাশায়ার গ্রামে কাটানো দেড় বছর নিউটনের জীবনের খুব গুরুকত্বপূর্ণ সময় ছিল।

এই সময়কালে নিউটন তার গবেষণায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচন করেন। আজকে নিউটনের গবেষণা আধুনিক বিজ্ঞানের পাথেয় হয়েছে।

নিউটন ও আপেল এর গল্প প্রায় ৩৫০ বছরের থেকেও বেশি পুরোনো। নিউটন ও আপেল ঘটনাটি ১৬৬০ সাল এর মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা।

উইলিয়ম স্ট্যাকলি নিউটন ও আপেল এর ঘটনার উল্লেখ করে লিখেছেন। ১৭২৬ সালে ফাল্গুন মাসের এক সকালে নিউটন একটি আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন।

সেই সময় হঠাৎ  একটি আপেল গাছ থেকে খসে পড়ে। ভাবুকমনা নিউটন তখন এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন,আপেলটা সোজাসোজি ভূপৃষ্ঠে পড়ল কেন ? আপেলটা তো উপরে উড়ে যেতে পারত ?

আপেলটা তির্যক ভাবেও তো পড়তে পারত ? আপেলটা তো ছিটকে দূরে কোথাও পড়তে পারতো ? এই সব প্রশ্ন গুলো নিউটনের মনে ক্রমাগত জট পাকাতে থাকে।

মহাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন কে ?

অবশেষে অনেক ভাবনাচিন্তা করে তার মনে হল, আসলে পৃথিবী আপেলটিকে তার নিজ আকর্ষণ বলে নিচের দিকে টেনে নিয়েছে। এইভাবে নিউটন ও আপেল প্রশ্নের উত্তরের সমাধান হল।

নিউটন আবিষ্কার করে ফেললেন মহাকর্ষণ শক্তি। এরপর থেকেই এই ঘটনা লোকমুখে ধীরে ধীরে নিউটন ও আপেল এর ঘটনায় রূপান্তরিত হয়ে যায়।

আবার ইংল্যান্ডের রয়েল সোসাইটির প্রধান উপাচার্য কিথ মুর এর মতানুযায়ী নিউটনের মন গড়া গল্প হল নিউটন ও আপেল এর গল্প।

মহাকর্ষণ শক্তি’র তাৎপর্য লোকের কাছে তুলে ধরার জন্য নিউটন একটি আপেল পড়ার উদারহণ দিয়ে লোককে বোঝানোর চেষ্টা করে।

প্লেগ মহামারীর প্রকোপ শেষ হয়ে গেলে নিউটন ক্রেমব্রিজে ফিরে আসেন। ১৬৬৬ সালে নিউটন রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হয়।

নিউটনের গণিতের প্রফেসর,ট্রিনিটি কলেজে থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে যায়। এরপর ট্রিনিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ নিউটনকে তার ২৭ তম জন্মদিনের উপহার স্বরূপ,

ট্রিনিটি কলেজের গণিতের প্রফেসর পদে নিযুক্ত করে। তখনকার দিনে যারা ক্রেমব্রিজের প্রফেসর হতেন তাদের চার্চ এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নিষিদ্ধ ছিল।

কিন্তু নিউটন ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক হওয়ার আগে এই শর্ত থেকে অব্যাহতি চান। তৎকালীন ইংল্যান্ডের রাজা ২য় চার্লস নিউটনের শর্ত মেনে নিয়ে তাকে অধ্যাপক পদে বহাল রাখেন।

ঐ বছর নিউটন মহাকর্ষন শক্তির ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে পৃথিবীকে চাঁদের প্রদিক্ষন করার কারণ হিসাবে অভিকর্ষ শক্তি খুঁজে পায়।

তিনি বলেন চাঁদকে পৃথিবী নিজের কক্ষপথে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অভিকর্ষজ বল এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠ তলে মহাকর্ষণ শক্তি দুইটি শক্তির মান এক।

নিউটনের ধর্ম বিশ্বাস

এখন পর্যন্ত স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী পড়ে যেটুকু বুঝলেন তা থেকে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে,নিউটন ছিলেন একজন ধর্ম পরায়ণ লোক।

স্যার আইজ্যাক নিউটন একজন বিজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও ঈশ্বর এবং ধর্মে বিশ্বাস করতেন। ট্রিনিটি কলেজে অধ্যাপক পদে যোগ দেওয়ার সময়,

তিনি রাজা ২য় চার্লস এর কাছে শর্ত রাখেন,তিনি ধর্মকে দূরে সরিয়ে দিয়ে কখনই অধ্যাপক পদে আসীন হতে পারেন না। পরে যদিও নিউটনের কথা মেনে রাজা তাকে,

অধ্যাপক পদে বহাল রাখেন। এগুলি শুনে দেখে নিউটনের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে সন্দেহের আর কোনো অবকাশ থাকে না।

১৬৭৫ সালে বল /শক্তি নিয়ে গবেষণা কালে,পদার্থের ছোট ছোট ক্ষুদ্রতম কণার মধ্যে আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ এর মূল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,

কোনো ক্ষুদ্রতম কণার মধ্যে বল /শক্তি সঞ্চার করার জন্য ঈশ্বরের উপস্থিতির প্রয়োজন নিউটন একথা বলেন। নিউটনের এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হল নিউটনের ধর্ম বিশ্বাস।

নিউটনের ধর্ম বিশ্বাস এর কারণে তিনি তার সিদ্ধান্তে ঈশ্বরিক চিন্তাধারায় অভিব্যাক্তি করেন। পরে তিনি যদিও পদার্থের কণার মধ্যে ঈশ্বরের উপস্থিতিকে বলের ক্রিয়া এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়ার নাম দিয়েছেন।

নিউটন যখন ১৯ বছরের ছিলেন তখন সে তার পাপ ও পুণ্যের একটি খাতা তৈরী করেছিলেন। সেই খাতায় তার পাপের তালিকায় একটি বিচিত্র জিনিস লেখা ছিল।

আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী বাংলা। 2 1

খাতটিতে সে তার সৎ বাবা ও মা কে ঘরের মধ্যে জ্বালিয়ে হত্যা করার কথা লিখেছিলেন। পরে বয়সকালে নিউটন তার এই ছেলেমানুষি ও কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত ছিলেন।

আরো পড়ুন : স্টিফেন হকিং জীবনী। 

নিউটনের প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকা গ্রন্থ প্রকাশ

নিউটন তার গবেষণার কাজ গুলিকে একটি গ্রন্থাকারে লেখা শুরু করেন। কিন্তু গ্রন্থাকারে কোনো গ্রন্থ প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা নিউটন কোনোদিন উপলব্ধি করেন নি।

সেই সময় এডমন্ড হ্যালি,প্রফেসর হুক,ক্রিস্টেফার রেন জনৈক বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষণ শক্তি নিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু থিওরি খুঁজে বার করেছিলেন।

কিন্তু তারা তাদের থিওরিতে গ্রহ ও উপগ্রহের কক্ষপথ নিয়ে ততক্ষন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট সিধান্তে আসতে পারেন নি। তখন এডমন্ড হ্যালি এই বিষয়টা নিয়ে নিউটনের সাথে দেখা করেন।

নিউটন তখন তার গবেষনার খাতাটা এডমন্ড হ্যালিকে দেখিয়ে বলেন,দেখুন হয়তো এর মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

হ্যালি সাহেব নিউটনের খাতাটি দেখে রীতিমত অবাক হয়ে যায়। যে প্রশ্নের উত্তর তারা বছরের পর বছর ধরে খুঁজে চলছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরের সমাধান নিউটন তার,

ড্র্যায়েরীতে অনেক আগেই করে রেখেছিলেন। ড্র্যায়েরীতে লেখা নিউটনের গবেষণার ০৭ টি উপপাদ্য ও সমস্যার সমাধানের মধ্যে হ্যালি সাহেব তার প্রশ্নের জবার পেয়ে যায়।

নিউটন ১৬৮৫ সাল থেকে ১৬৮৬ সাল পর্যন্ত তার সতেরো ও আঠারো মাসের গবেষণার তথ্য হিসাবে ফিলোসফিয়া নাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিক রচনা করেন।

এই বইটি তিনটি খন্ডে লেখা হয়,নিউটন তার গ্রন্থের তৃতীয় খন্ডটিকে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হ্যালি সাহবের উৎসাহে নিউটন তৃতীয় খন্ডটি বিশ্লেষণ সহ বৃহদাকারে লিখেন।

১৬৮৭ সালে হ্যালি সাহেবের উদ্যোগে ও অর্থানুকূল্যে নিউটনের প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকা গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ইউরোপের বৈজ্ঞানিক মহলে সাড়া পড়ে যায়।

নিউটনের লেখা পড়ে অবিভুত হয়ে,তখনকার সেরা বৈজ্ঞানিক ক্রিশ্চিয়ান হাইগেনস ১৬৮৯ সালে নিউটনের সাথে ব্যক্তিগতভাবে ইংল্যান্ডে দেখা করতে আসে।

১৬২৭ সালে প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকা বইটির জন্য ইংল্যান্ডের রাজা নিউটনকে নাইট উপাধি দেন। এরপর থেকে নিউটনের নামের আগে,স্যার কথাটির উল্লেখ হতে থাকে।

নিউটনের নাম হয়ে যায় স্যার আইজ্যাক নিউটন। প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকা বইটি Amazon এ উপলব্ধ রয়েছে দাম দেখার জন্য ক্লিক করুন Click Here↵

নিউটনের সূত্র (Newton law)

স্যার আইজ্যাক নিউটনের গতির তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। গতির এই সূত্র নিউটনের গতি সূত্র /নিউটনের সূত্র (Newton law) নামে বিখ্যাত। গতির সূত্র তিনটি হল –

  নিউটনের প্রথম সূত্র (Newton first law)

কোনো স্থীর বস্তুর উপর বাইরে থেকে বল প্রয়োগ না করলে,স্থীর বস্তু চিরকাল স্থীর থাকে এবং গতিশীল বস্তু আজীবন সরলরেখা বরাবর সমবেগে চলতে থাকে। এই সূত্রটি নিউটনের প্রথম সূত্র (Newton first law) নামে পরিচিত।

উদারহণ :- কোনো থেমে থাকা গাড়ী যদি হঠাৎ করে চলতে শুরু করে তখন ঐ গাড়ীতে বসে থাকা যাত্রীরা  গাড়িটি হঠাৎ ভাবে গতি পাওয়ায় সামনে দিকে ঝুঁকে পড়ে।

  নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র (Newton Second law)

বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমানুপাতিক।

উদারহণ :-যখন কোনো ক্রিকেট প্লেয়ার হাতে করে বল ক্যাচ করে। তখন প্লেয়ার বলটিকে ক্যাচ করার আগে তার হাতটিকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে বলের ক্যাচ ধরে।

যদি প্লেয়াররা বল ক্যাচ করার আগে তার হাতকে নিচের দিকে না টেনে ওপরের দিকে জোরে ধাক্কা দেয় সেক্ষেত্রে প্লেয়ারের হাতে তত জোড়ে চোট লাগার সম্ভবনা থেকে যায়।

নিউটনের তৃতীয় সূত্র (Newton third law)

নিউটনের তৃতীয় সূত্র (Newton third law) অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। অথাৎ কোনো বস্তুর উপর যদি বল প্রয়োগ করা হয় ,তখন বস্তুটি তার সম পরিমান বল প্রয়োগ করে।

উদারন :- বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার সময় বন্দুক পিছন দিকে ধাক্কা দেয়।

নিউটনের জীবনে মজার ঘটনা

স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী’তে অনেক মজার ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়। নিউটন যখন ছোট বেলায় পাঠশালা পড়তে যেতেন তখন তার স্কুল শিক্ষক প্রায় লেট করে স্কুলে আসতেন।

নিউটন তখন তার স্যারকে তার নিজের দ্বারা তৈরী একটি জল ঘড়ি উপহার দেন। ঘড়িটিকে চালানোর জন্য জল ভরতে হত।

আর সেই জল এক ফোটা ফোটা করে ঘড়ির কাটার উপর পড়লে ঘড়িটি নিজে থেকে চলত। নিউটন ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হওয়ার পর,

একবার তার এক বন্ধু তাকে একটি অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন করেন। কিন্তু নিউটন গবেষণার কাজে এতোটাই ব্যস্ত ছিলেন যে,

তিনি তার বন্ধুর করা নেমন্তনের কথা ভুলে গেছিলেন। পড়ে কাজ করতে করতে যখন তার নেমন্তন্নের কথা মনে পড়ল, তখন অনেক দেরী হয়ে গেছিল

তবুও তিনি বন্ধুত্ব রাখার সৈজন্যতাই তাড়াহুড়ো করে অনুষ্ঠান ভবনে পৌঁছালেন। সেখানে গিয়ে দেখেন ততক্ষনে সমস্ত আয়োজন শেষ,সবাই সেখান থেকে চলে গেছে।

নিউটনের জীবনে আরো একটি মজার ঘটনা হল নিউটনের বিয়ের জন্য এনগেজমেন্টের দিন ধার্য্য করা হয়। এনগেজমেন্টের দিন সবাই বাড়িতে,নিউটনের জন্য অপেক্ষা করছিল।

কিন্তু নিউটন তার গবেষণায় এতটাই মশগুল ছিলেন যে,তিনি তার বিয়ের কথা অবধি ভুলে যান। এরপর নিউটন আর বিয়ে করেন নি।

একবার এক জন কাঁচের জিনিস পত্রের ব্যাপারী নিউটনের কাছে আসে,কিছু কাঁচের জিনিস পত্র নিয়ে বিক্রী করার জন্য।

নিউটন সেই সমস্ত জিনিস পত্রের মধ্যে একটি কাঁচের প্রিজমকে হাতে তুলে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে থাকে। এতে কাঁচের ব্যাপারী সন্দেহের বসে নিউটনকে জিগ্যেস করে,

আপনি এতক্ষন ধরে ঐ জিনিসটাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কী দেখছেন ? তাহলে কী এটা কোনো দামী জিনিস ? এটার দাম কত হতে পারে ?

নিউটন তখন তার প্রশ্নের উত্তরে জবাব দেয়, এই জিনিসের মূল্য নির্ধারণ করা অত সহজ কথা নয়। এই জিনিস হল অমূল্য। এরপর নিউটনের কাছ থেকে ঐ ব্যাপারী মোটা অঙ্কের দাম হাতিয়ে নেয়।

পরবর্তী কালে নিউটন এই কাঁচের প্রিজমের মধ্যে দিয়ে সাদা আলোর বিকিরণের মাধ্যমে সাদা আলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা আরো তিনটি আলোর সমন্বয় আবিষ্কার করেন।

স্যার আইজ্যাক নিউটনের উক্তি (Isaac Newton Quotes)

স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনীতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব নিউটনের বলা কিছু বিখ্যাত উক্তি,যে উক্তি গুলোর আক্ষরিক তাৎপর্য রয়েছে-

০১. আমি যদি বলি আমি কারো থেকে কোনো ব্যাপারে বেশি বুঝি /জানি,তাহলে তার তাৎপর্য এটাই হয় আমি তাদের কাঁধের উপর চড়ে ব্যাপার টাকে তাদের থেকে বেশি ভালো করে অধ্যয়ন করেছি।

০২. আমি জানিনা মানুষ আমাকে দেখে কী মনে করে,কিন্তু আমি নিজেকে একটি শিশুসম মনে করি। যে শিশু একটি সমুদ্রের ধারে,খেলা করার সাথে,সাথে সে নিজেকে ক্রমাগত পরিবর্তনের সাথে,নিজেকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলছে।

০৩. আমরা আমাদের জন্য নিজের দেওয়ালটা শক্ত করে গড়ে ঠিকিই, কিন্তু সেই জিনিসটার রক্ষনাবেক্ষন ততটা যত্ন করে করতে পারিনা।

০৪. আমার ব্যবহার ও আমার সফলতা দেখে সবাই ইন্সপায়ার হবে ঠিকই,কিন্তু আমার সফলতার একমাত্র কারণ হল আমরা প্রচেষ্টা,তাছাড়া আর সবার মধ্যে আমার,আলাদা করে কোনো পার্থক্য নেই।

স্যার আইজ্যাক নিউটনের কিছু বিখ্যাত বই (Best Book of Isaac Newton)

স্যার আইজ্যাক নিউটন তার জীবন দশায় বহু বিখ্যাত ও উল্লেখযোগ্য বই লিখেছেন। নিউটনের লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হল-

  • অপটিক্যাল লেকচার্স।
  • ডে মোট্রা কর্পোরও ইন জিরোম।
  • মেথড অফ ফ্লেক্সেশনস।
  • এরিথমেটিকা উনিবারসেলিস।
  • দ্য ক্রনোলজি অফ এনসিয়েন্ট কিংডম।

স্যার আইজ্যাক নিউটনের লেখা উল্লেখযোগ্য বই গুলোর মধ্যে কিছু বই নিউটনের জীবনকালে প্রকাশিত হয়েছিল আর কিছু বই নিউটনের মরোনত্তোর প্রকাশ করা হয়েছিল।

নিউটনের সূত্র (Newton law )

স্যার আইজ্যাক নিউটন বিজ্ঞানীর সাথে সাথে একজন খুব ভালো দার্শনিক ও ছিলেন। তিনি ও তার ঈশ্বর প্রীতি সংক্রান্ত বিজ্ঞানিক চিন্তা ধারায় করা উক্তি গুলো নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে নানা মতভেদ আছে।

তবে নিউটনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং দার্শনিক চিন্তা ধারার পিছনে গ্যালিলিও,কেপলার,অর্র্তু,রবার্ট বায়োল ইত্যাদি বিজ্ঞানীর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

নিউটনের মৃত্যু

মহান বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটনের মৃত্যু ১৭২৭ সালের ৩১ শে মার্চ জার্মানীর কেসিংটন মিডিলেক্সে  হয়েছিল।

নিউটনের কোনো উপযুক্ত উত্তরসূরি না থাকায় নিউটনের সমস্ত সম্পত্তি তার নিকটস্ত আত্মীয়দের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে নিউটনের মৃত শরীরে,

অতিরিক্ত পারদ (mercury) পাওয়া যায়। এত মাত্রায় পারদ পাওয়ার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞারা নিউটনের ল্যাবরোটারীতে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক সৌধ কে কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

স্যার আইজাক নিউটনকে বেস্টমিনিস্টর ওয়েব্বে কবরখানায় কবরস্ত করা হয়। স্যার নিউটনের স্মৃতি স্মারক নিউটনের কবরের উপরেই করা হয়।

স্যার আইজ্যাক নিউটনের মূর্তিকার হলেন মাইকেল রিজবার্ক এবং ডিজাইনার ও বাস্তুকার হলেন উলিয়াম কেন্ট। মূর্তিটি সাদা এবং ধূসর রঙের মিশ্রনে মিশ্রিত করে বানানো হয়।

প্রিয় পাঠকগণ স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী আমার মত একজন তুচ্ছ লোকের পক্ষে অতটা পুঙ্খানুপুখ ভাবে বিবরণ সহকারে কয়েকটা বাক্যে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।

তবুও যতটা পারলাম স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী নিয়ে কিছুটা আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে আলোকপাত করার চেষ্টা করলাম।

স্যার আইজাক নিউটনের জীবনী নিয়ে আরো বেশি জিজ্ঞাসা থাকাটা কোনো অস্বভাবিক কিছু নয়। সমস্ত বিজ্ঞানের পূজারী জ্ঞান পিপাসু মানুষ,

স্যার আইজ্যাক নিউটনকে,স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী নিয়ে আরো বেশি করে জানতে চায়,আর সেটাই স্বাভাবিক।

যাইহোক স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী পাঠ করে কেমন লাগলো আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন।

RELATED ARTICLES MORE FROM AUTHOR

প্রেমানন্দ মহারাজের জীবনী বাংলা,উইকিপিডিয়া (premanand maharajer jiboni bangla wikipidia), মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী (hazrat muhammad sallallahu alaihi wasallam jiboni), অরিজিৎ সিং জীবনী বাংলাতে (arijit singh biography in benglai), leave a reply cancel reply.

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

ট্রেন্ডিং পোস্ট

শিব তান্ডব স্ত্রোতম (shiv tandav stotram bangla), হনুমান চালিশা বাংলা লিরিক্স,হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা pdf (hanuman chalisa bangla liric), শিবের অষ্টোত্তর শতনাম,শিবের অষ্টোত্তর শতনাম pdf download, শিবের ১০৮ টি নাম pdf download (shiver 108 name), মিশরের রহস্যময় পিরামিড (egypt pyramid ).

  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions

বলুন, আপনি কী জানতে চান ?

  • উত্তর 24 পরগণা
  • দক্ষিণ 24 পরগণা
  • পূর্ব বর্ধমান
  • পশ্চিম বর্ধমান
  • পূর্ব মেদিনীপুর
  • পশ্চিম মেদিনীপুর
  • আলিপুরদুয়ার
  • উত্তর দিনাজপুর
  • দক্ষিণ দিনাজপুর
  • মুর্শিদাবাদ
  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Copyright Policy

স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali

Isaac Newton Biography in Bengali

স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী: Bengaliportal.com আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Isaac Newton Biography in Bengali . আপনারা যারা আইজ্যাক নিউটন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

bengaliportal

আইজ্যাক নিউটন কে ছিলেন? Who is Isaac Newton?

আইজ্যাক নিউটন জীবনী – isaac newton biography in bengali, আইজ্যাক নিউটন এর জন্ম: isaac newton’s birthday, আইজ্যাক নিউটন এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: isaac newton’s parents and birth place, আইজ্যাক নিউটন এর ছোটবেলা: isaac newton’s childhood, আইজ্যাক নিউটন এর শিক্ষাজীবন: isaac newton’s educational life, আইজ্যাক নিউটন এর কর্ম জীবন: isaac newton’s work life, আইজ্যাক নিউটন এর রচনা: written by isaac newton, আইজ্যাক নিউটন এর পুরস্কার ও সম্মান: isaac newton’s awards and honors, আইজ্যাক নিউটন এর মৃত্যু: isaac newton’s death.

Table of Contents

স্যার আইজ্যাক নিউটন (৪ জানুয়ারি ১৬৪৩ – ৩১ মার্চ ১৭২৭) প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী , প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগতে একক আধিপত্য করেছে। তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সাথে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার গবেষণার ফলেই সৌরকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়।

আইজ্যাক নিউটন ১৬৪৩ সালের ৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রতিভা নিউটন মাত্র সাত মাস বয়সেই মায়ের গর্ভ থেকে জন্মে নিশ্চিত মৃত্যুকে ফাকি দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন আশ্চর্যভাবে। নিজের প্রতিভায় জগৎকে আশ্চর্য করবার, চমকিত করবার পালা শুরু হয় তাঁর তখন থেকেই। এরপর দীর্ঘ জীবনে একের পর এক আশ্চর্যের মালা গেঁথে বিশ্ববিজ্ঞানের ইতিহাসকে স্বকীয় কৃতিত্বের মালিকায় ভূষিত করেছেন। জন্মের তিনমাস আগেই বাবা মারা গিয়েছিলেন। দুবছর বয়স হতে না হতেই মা দ্বিতীয়বার বিয়ে করে বসলেন।

আরও পড়ুন: সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর জীবনী

আরও পড়ুন: হর গোবিন্দ খোরানা জীবনী

আরও পড়ুন: আর্কিমিডিস জীবনী

আরও পড়ুন: ফ্রান্সিস বেকন জীবনী

আরও পড়ুন: এরিস্টটল জীবনী

নিউটনের নতুন বাবা ছিলেন পাদ্রী। তিনি রোগা পটকা নিউটনের দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। ফলে উলসথরপের খামার বাড়িতে ঠাকুমার কাছেই মানুষ হতে থাকেন তিনি। বাবাকে হারিয়েছেন, মা নেই, নেই কোন ভাইবোন। এই অবস্থায় একাকীত্বের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি আসবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। চারপাশের সবকিছু খুঁটিয়ে দেখার অভ্যাস তৈরি হয়েছিল তখন থেকেই।

আর এই অভ্যাসের ফলেই তো পরিণত বয়সে একদিন গাছ থেকে আপেল পড়ার সামান্য ঘটনা থেকে মাধ্যাকর্ষণের সূত্র আবিষ্কার করে গোটা পৃথিবীকে চমকে দিয়েছিলেন। বয়স বারো বছর পূর্ণ হতেই ঠাকুমা নিউটনকে পাঠিয়ে দিলেন গ্রানথাম শহরে তার পরিচিত ক্লার্ক নামে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে। ক্লার্ক – এর স্ত্রী ছিলেন নিউটনের মায়ের বান্ধবী।

সেই সূত্রে এখানেই প্রথম তিনি মাতৃস্নেহের স্বাদ পান। ক্লার্ক ভদ্রলোক ওষুধের ব্যবসা করতেন। নিজেই বাড়িতে তৈরি করতেন সেসব। বিজ্ঞানের বিশেষ করে রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় যথেষ্ট পড়াশোনা ছিল তার। পারিবারিক অবস্থাও স্বচ্ছল। এখানে চার বছর ছিলেন নিউটন। এখানেই বিজ্ঞানী নিউটনের জীবনের ভিত তৈরি হয়েছিল বলা যায়। বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে হঠাৎ একদিন রত্নভান্ডার আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন নিউটন।

চিকিৎসাবিদ্যা, রসায়ন, সৌরজগতের বিষয়ে প্রচুর বই জড়ো করা ছিল সেই ঘরে। নিউটন সেই সব বইতে ডুবে গেলেন। সব কি আর বুঝতে পারেন, তবু পড়ার নেশায় পড়ে যান। এইভাবে ক্লার্কের ওষুধ তৈরির ল্যাবরেটরির সন্ধানও পেয়ে যান একদিন। কৌতূহল নিয়ে কাচের যন্ত্রপাতি, রসায়নিক বোঝাই শিশি – বোতল সব নাড়াচাড়া করে দেখেন। এই বাড়ির নিরিবিলি চিলেকোঠায় বসেই সর্বপ্রথম সৃষ্টির নেশায় মেতে উঠেছিলেন বালক নিউটন।

বাতাসি কলযন্ত্রের গাড়ি, জলঘড়ির নানা মডেল বানিয়েছেন তিনি। কখনো নানা রসায়নিকের গুণাগুণ পরীক্ষা করে দেখেছেন। ক্লার্কভবনে নিউটনের সঙ্গী ছিল ক্লার্কের একমাত্র মেয়ে স্টোরি। বন্ধুত্বের সহজ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাদের মধ্যে ৷ নিউটনের যখন ষোল বছর বয়স, তখন উলসথরপ থেকে মায়ের চিঠি পেয়ে জানতে পারেন তাঁর নতুন বাবা মারা গেছেন।

জমিদারির ব্যাপার নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। ক্লার্ক পরিবারের চার বছরের জীবনে ছেদ পড়ে এরপর। নিউটন উলসফরপে মায়ের কাছে চলে আসেন। কিন্তু জমিদারির লাভক্ষতি আর চাষ আবাদের হিসেবের মধ্যে অল্পদিনেই হাঁপিয়ে ওঠেন নিউটন। মাকে জানালেন কলেজে পড়বেন। লেখাপড়ায় ছেলের আগ্রহ দেখে মা খুশি হন। ছেলেকে পাঠিয়ে দেন কেমব্রিজে। নিউটন ভর্তি হন ট্রিনিটি কলেজে। এই কলেজে আইজ্যাক ব্যারো নামে অঙ্কের অধ্যাপক ছিলেন খাঁটি জহুরী।

নিউটনের সুপ্ত প্রতিভার পরিচয় তার কাছে গোপন রইল না। ব্যারো নিজে ছিলেন এক প্রতিভা। বিজ্ঞান, বিশেষ করে পদার্থ বিদ্যায় তার ছিল অসামান্য দখল। নিজস্ব কিছু গবেষণাও ছিল তার। ব্যারোর সুপারিশে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিউটনকে অঙ্কে ছাত্রবৃত্তি পড়ার সুযোগ দিলেন। এই সময় থেকেই অধ্যাপক ব্যারোর প্রেরণায় নিউটনের বিজ্ঞান প্রতিভার উন্মেষ ঘটতে থাকে। নিউটনকে তিনি জ্যামিতি ও আলোকবিজ্ঞানের রহস্যালোকের সন্ধান দেন।

আরও পড়ুন: এডওয়ার্ড জেনার জীবনী

আরও পড়ুন: ডানিয়েল গাব্রিয়েল ফারেনহাইট জীবনী

আরও পড়ুন: স্যামুয়েল হ্যানিম্যান জীবনী

আরও পড়ুন: মাইকেল ফ্যারাডে জীবনী

আরও পড়ুন: স্যার উইলিয়াম ক্রুকস জীবনী

অল্পসময়ের মধ্যেই গণিতের মূলনীতিগুলো নিউটন চমৎকার রপ্ত করে ফেললেন। তবে বিশুদ্ধ গণিতের চেয়ে ব্যবহারিক গণিতই তার পছন্দ ছিল বেশি। এই গণিতের মধ্যেই ছিল প্রকৃতি জগৎ ও সৌর বৈচিত্র্যের রহস্য লোকের চাবিকাঠি। ব্যারোর তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বিচারবুদ্ধি ও নানা পরীক্ষা – নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ নিয়ে মেতে রইলেন নিউটন। নিউটন বৃত্তি পান ১৬৬৪ খ্রিঃ।

সেই বছরই গোড়ার দিকে ইংলন্ড জুড়ে মহামারীর আকারে দেখা দিল প্লেগ। কাতারে কাতারে লোক মরল। দিশাহারা লোক জন দলে দলে যে যেদিকে পারল শহর ছেড়ে পালাতে লাগল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। মড়ক – পীড়িত লন্ডন ছেড়ে উলসথরপের খামার বাড়িতে চলে এলেন নিউটন। এখানে এসে মায়ের সঙ্গে জমিদারি দেখাশোনার কাজে হাত লাগালেন।

তবে পাশাপাশি বিজ্ঞানের গবেষণাও চালিয়ে চললেন। উলসথরপে দেড় বছর ছিলেন নিউটন। এই সময়ের মধ্যে এক এক করে তিনটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কাজ সম্পূর্ণ করলেন। তাব প্রথম আবিষ্কার দ্বিপদতত্ত্ব অর্থাৎ দুই অংশযুক্ত রাশি ও দ্বিতীয় আবিষ্কার প্রভেদক গণনা গণিতের মৌলসূত্র। এই দুটির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে বাইনোমিরাল থিয়োরেম ও ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাস।

প্রভেদক গণনা গণিতের সাহায্যে অনবরত পরিবর্তনীয় রাশির পরিবর্তনের হার বার করা যায়। এই রাশিগুলির নাম হল প্রবহপুঞ্জ বা Fluxions. কিছুদিনের মধ্যেই প্রবাহপুঞ্জের বিকল্প প্রবাহেরও সন্ধান পেয়ে গেলেন নিউটন। এইভাবেই পাওয়া গেল গণনা গণিতের এক শাখা অখন্ড গণনা গণিত বা ইনটিগ্রাল ক্যালকুলাস। এই সঙ্গেই আরও একটি কাজ করলেন নিউটন। শংকুর কোন এক অংশ নিয়ে যে বক্ররেখা বা কারভ রচিত হয় সেই পরা বলয়ের ক্ষেত্রফল ও ঘনবস্তুর আয়তনের পরিমাপের উপায়ও বার করে ফেললেন।

এইভাবে জমিদারির কাজ আর নিজের গবেষণা নিয়ে দেখতে দেখতে দেড়টি বছর কেটে গেল। নিউটন আবার কেমব্রিজে ফিরে এলেন। এখানে এসে তার তিনটি গবেষণা প্রকাশ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে গণিত বিজ্ঞানী মহলে সাড়া পড়ে গেল। প্রভেদক গণনা গণিতের উদ্ভাবক হিসাবে বিজ্ঞানী মহল তাঁকে স্বীকৃতি জানাল। কোপারনিকাশের সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্ব থেকে নিউটন জেনেছিলেন, গ্রহমন্ডলী অধিবৃত্ত পথে নিজ নিজ কক্ষে ঘুরপাক খায়।

গ্যালিলিওর গতিসূত্র ও চলমান বস্তুর যান্ত্রিকতা সম্পর্কেও তার ধারণা পরিষ্কার ছিল। এই ধারণার ভিত্তিতেই তাঁর দ্বিতীয় আবিষ্কার রূপ পেয়েছিল। সেইকালে বিজ্ঞানীরা জানতেন না গ্রহরা নিজ নিজ কক্ষপথে কার প্রভাবে নিয়মিতভাবে আবর্তিত হয়ে চলেছে। নিউটন তার অঙ্কের সাহায্যে বুঝতে পারলেন যে সূত্রের সাহায্যে পৃথিবীর সমস্ত বস্তু ও তাদের গতির নিয়ন্ত্রণ ঘটে সেই একই সূত্রের প্রভাবে সৌরজগতের গ্রহতারকাদের কক্ষনির্ভর আবর্তনও নিয়ন্ত্রিত হয়।

যে সূত্র বা বলের টানে গাছের আপেল আকাশে না উঠে মাটিতে এসে পড়ে, সেই একই বল সৌরমন্ডলের গ্রহতারাদেরও পরিচালিত করে। নিউটন এই বলেরই নাম দিলেন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। যে সূত্রের সাহায্যে তিনি এই বলকে প্রকাশ করলেন তারই নাম হল মাধ্যাকর্ষণ সূত্র বা Law of gravitation. এরপর নিউটন দেখলেন যেই অভিকর্ষ বলকে কেন্দ্র করে সৌরবস্তুদের নড়াচড়া সেই কেন্দ্র থেকে সৌর বস্তুর দূরত্বের বর্গের বিষয়ানুপাতিক। অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে সৌর বস্তুর দূরত্ব যদি বাড়ে অভিকর্ষ কমে আসে, আবার যদি দূরত্ব কমে অভিকর্ষ বলের পরিমাণও বেড়ে যায়।

নিউটন তার আবিষ্কৃত মাধ্যাকর্ষণ সূত্র ও অভিকর্ষ বলের কথা বাইরে প্রকাশ করবার আগেই বুঝতে পারলেন, এই মহাসত্য ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পদার্থবিজ্ঞান ও সৌরবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিপ্লব উপস্থিত হবে, নিয়ে আসবে নতুন যুগ। আবিষ্কৃত সত্যকে দৃঢ় মূল ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য পুনঃ পুনঃ বিশ্লেষণ ও পরীক্ষার দরকার। তাই নিয়েই মেতে উঠলেন তিনি।

১৬৬৫-৬৬ খ্রিঃ মধ্যে নিউটন আবিষ্কার করলেন আলোর প্রতিসরণ সূত্র বা Law of Refraction of Light তিনি দেখালেন, এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে ঢুকবার সময় আলো যে বাঁক নেয়, তার পরিমাণ নির্ভর করে মাধ্যমের ঘনত্বের ওপর। ইতিপূর্বে তেফলা কাচ মাধ্যম বা প্রিজম আর লেনস- এই দুই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কাচের সাহায্যে দৃষ্টি বিবর্ধক চশমা তৈরি সম্ভব হয়েছে, সম্ভব হয়েছে দূরবীন তৈরি। লিউয়েন হক তৈরি করেছিলেন জীবজগতের সূক্ষ্মতম অধিবাসীদের দেখবার উপযোগী অণুবীক্ষণযন্ত্র।

নিউটন প্রিজন ও লেনস নিয়ে নাড়াচাড়া করে দূরবীনের একটি মারাত্মক ত্রুটি আবিষ্কার করে ফেললেন। দূরবীনের লেনসে সৌরজগতের যে ছবি ভেসে উঠত, তাতে থাকত নানা বর্ণের রেখার বর্ণবৃত্ত। এর ফলে গ্রহনক্ষত্রের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের কাজ বড় রকমের বাধার সম্মুখীন হত। এই বর্ণঘটিত বিভ্রাটকে বলা হয় CHROMATIC ABERRATION বা বর্ণঘটিত স্থানচ্যুতি। আলোক বিজ্ঞানীরা দূরবীনের এই ত্রুটি সম্পর্কে বিলক্ষণ ওয়াকিবহাল ছিলেন। কিন্তু তাঁরা মনে করতেন দূরবীনের এই ত্রুটি প্রকৃতিগত অর্থাৎ ন্যাচারাল ফ্লো — এই ত্রুটিমুক্ত দূরবীন তৈরি অসম্ভব।

আরও পড়ুন: জোসেফ নিসেফোর নিপেস জীবনী

আরও পড়ুন: থমাস চার্লস হোপ জীবনী

আরও পড়ুন: জর্জ সাইমন ওহম জীবনী

আরও পড়ুন: স্যামুয়েল মোর্স জীবনী

আরও পড়ুন: হারম্যান গ্রাসম্যান জীবনী

নিউটন এই বর্ণবিভ্রাট মুক্ত দূরবীন তৈরি করলেন। এর সাহায্যে গ্রহনক্ষত্রদের প্রকৃত দূরত্ব নির্ণয় করতে গিয়ে বর্ণঘটিত স্থান চ্যুতির বিঘ্ন থাকল অতি সামান্য মাত্রায় ৷ পরে ১৭৬০ খ্রিঃ তাঁর অনুসরণেই সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত দূরবীন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন আলোকবিজ্ঞানী জন ডোনাল্ড। আলো ও বর্ণঘটিত নানা তত্ত্বও তথ্য যখন প্রকাশ করেন তখন নিউটনের বয়স ত্রিশের কোঠা ছুঁই ছুঁই। তাঁর এই গবেষণা প্রবন্ধ ইউরোপের বিজ্ঞানীমহলে প্রবল বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল।

লন্ডনের বিখ্যাত রয়াল সোসাইটি তার প্রতিভার স্বীকৃতি জানালেন তাকে সংস্থার সদস্য পদে নির্বাচিত করে। এই সম্মান প্রাপ্তির পর নিউটন কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরূপ নিজের বর্ণঘটিত ত্রুটিমুক্ত দূরবীনটি রয়াল সোসাইটিতে উপহার পাঠিয়ে দেন। ১৬৬৭ খ্রিঃ নিউটনকে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে অঙ্কের অধ্যাপকপদে নিয়োগ করা হয়। দীর্ঘ ২০ বছর তিনি এই মহাবিদ্যালয়ের কাজে ছিলেন।

এই সময়ে অঙ্ক আর পদার্থবিদ্যা নিয়ে একের পর এক গবেষণা করেছেন তিনি। রসায়ন নিয়েও কিছুকাল কাজ করেছেন। ক্ষারীয় বা ক্ষারধর্মী ধাতুকেবৈজ্ঞানিক উপায়ে সোনায় পরিণত করা যায় কিনা তা নিয়েও পরীক্ষা করেছেন। নিরন্তর গবেষণার মধ্যে থেকে বয়স তিরিশ হতে না হতেই সমস্ত চুল ধবধবে সাদা হয়ে গেল তাঁর।

যে কোন বিষয়ে একনিষ্ঠ মনঃসংযোগের বিরল ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। যে কোন বিষয় একবার মাথায় ঢুকলে তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারতেন না। তাঁর সবচেয়ে মহৎ গুণ যেটি ছিল তা হল অপ্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ এড়িয়ে মূল লক্ষে এগিয়ে যাবার ক্ষমতা। তাঁর প্রতিটি গবেষণার কাজ এগিয়েছে নির্দিষ্ট নিয়মের পথ ধরে। প্রথমে বিষয় নির্বাচন, পরে মূলনীতি নির্ধারণ। সবশেষে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলা।

১৬৮৪ খ্রিঃ এক তরুণ সৌরবিজ্ঞানী কেমব্রিজে এসে নিউটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। এই বিজ্ঞানীর নাম এডমুন্ড হ্যালি। তাঁর নামেই পরে একটি বিশেষ ধূমকেতুর নাম হ্যালির ধূমকেতু রাখা হয়েছিল। প্রকৃতির মহাশক্তি অভিকর্ষের ওপর গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করে হ্যালি নিউটনের সহযোগিতা প্রার্থনা করলেন। নিউটন এতদিন তাঁর যে গবেষণার কথা চেপে রেখেছিলেন, তা প্রথম প্রকাশ করলেন হ্যালির কাছে। জানালেন, বারো বছর আগেই তিনি এ সম্পর্কে প্রচুর গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন তত্ত্ব আবিষ্কারও করেছেন।

হ্যালির প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ – ও জানালেন যে বিশেষ কারণেই তিনি তাঁর আবিষ্কৃত মূল্যবান তত্ত্ব দীর্ঘকাল গোপন করে রেখেছেন। কারণটিও গোপন করলেন না নিউটন। তার আলোেক বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা প্রকাশিত হবার পর তাঁকে বহু মিথ্যা সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল। বহু বিশিষ্ট বিজ্ঞানীও এই দলে ছিলেন। তাঁদের নীচতা দেখে তাঁর মন এমনই ভেঙ্গে পড়েছিল যে জীবনে আর কোন গবেষণার কথাই প্রকাশ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত করেন।

আরও পড়ুন: জোসায়া উইলার্ড গিবস জীবনী

আরও পড়ুন: উইলহেম রন্টজেন জীবনী

আরও পড়ুন: টমাস আলভা এডিসন জীবনী

আরও পড়ুন: লুই পাস্তুর জীবনী

আরও পড়ুন: জেমস ওয়াট জীবনী

তরুণ বিজ্ঞানী হ্যালির আগ্রহ ও তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত নিউটন তাঁর গবেষণা প্রকাশ করবেন বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হলেন। টানা দুই বছর পরিশ্রম করে তিনি তাঁর যে গবেষণা প্রবন্ধটি তৈরি করেন তা বিশ্ববিজ্ঞানের এক অমূল্য সম্পদ। বইটির নাম রাখা হয় ফিলোসফিয়া নেচারালিস প্রিনসিপিয়া ম্যাথেমেটিকা যা ইংরাজি করলে দাঁড়ায় Mathematical Principle of Natural Philosophy.

তরুণ হ্যালি এই সময় নানাভাবে নিউটনকে সাহায্য করেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁর আগ্রহেই বইটি তৈরি হয়েছিল, প্রকাশও করলেন নিজের পয়সায়। নিউটনের এই বই – এর ভিত্তি উচ্চশ্রেণীর জ্যামিতি হলেও এর মধ্যে যেমন রয়েছে গভীর দর্শন তেমনি জটিল গণিত ও অসাধারণ সব বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত। বইটির সংক্ষিপ্ত নাম প্রিন্সিপিয়া। ইংরাজি প্রিনসিপল শব্দের ল্যাটিন উচ্চারণ হল প্রিন্সিপিয়া । পরপর তিনটি বইয়ের সংকলন হল প্রিন্সিপিয়া।

প্রথম বইটির আলোচ্য বিষয় গতিসূত্র। এতে রয়েছে পরপর তিনটি সূত্র।

প্রথম সূত্র হল: Every body continues in its state or rest or of uniform motion in a straight line unless it is compelled by external force to change that state of inertial.

দ্বিতীয় সূত্র হল: Rate of change of momentum is proportional to the force acting, and the change takes place in the direction in which the force acts.

তৃতীয় সূত্র: To every action there is an equal and opposite reaction.

প্রিন্সিপিয়ার দ্বিতীয় বইতে নিউটন আলোচনা করেছেন প্রতিরোধী বস্তুর মাধ্যমের ভেতরে যে কোন বস্তুর গতি নিয়ে। প্রতিরোধী বস্তু হিসেবে তিনি তরল ও বায়বীয় এই দুই পদার্থকেই গ্রহণ করেছেন। নিউটনের মতে যে কোন গ্যাসই অসংখ্য স্থিতিস্থাপক পরমাণুর মিশ্রণ। গ্যাসের ওপর চাপই তার আয়তন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রিন্সিপিয়ার তৃতীয় খন্ডে রয়েছে সৌরজগৎ ও প্রকৃতির অভিকর্ষ বলের কথা।

তিনি পরিষ্কার ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন কিভাবে পৃথিবীর বুকে পতনশীল বস্তুর ওপর অভিকর্ষ বল কাজ করে এবং এই একই বলের প্রভাবে মহাকাশের গ্রহতারা তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে কাজ করে। এই অভিকর্ষ বলের টানেই যে সমুদ্রে জোয়ার ভাটা খেলা করে সেই কথাও তিনি বলেছেন। নিউটনের বক্তব্যের অর্থ হল, সৃষ্টির প্রতিটি বস্তুর পেছনেই রয়েছে নির্দিষ্ট যুক্তি ও অবিসংবাদি কারণ। প্রিন্সিপিয়া প্রকাশের পর এবারে নিউটন পেলেন অকুন্ঠ প্রশংসা, সাধুবাদ আর অপ্রতিহত খ্যাতি। খ্যাতির সঙ্গে এল প্রাপ্তি।

১৮৮৯ খ্রিঃইংলন্ডের পার্লামেন্ট নিউটনকে সদস্যপদে বরণ করল। কেমব্রিজের বিজ্ঞান বিভাগ পরিচালনার সর্বময় দায়িত্বও তিনি পেলেন। ১৭০১ খ্রিঃ পেলেন দেশের সমস্ত টাকশালের অধ্যক্ষপদ। অবশ্য এই পদ পাবার পর তিনি পার্লামেন্ট থেকে অবসর নেন। ১৭০৩ খ্রিঃ তিনি রয়াল সোসাইটির সভাপতি পদে বৃত হলেন। আমৃত্যু, ১৭২৭ খ্রিঃ পর্যন্ত তিনি এই পদ অলঙ্কৃত করেছেন।

১৭০৫ খ্রিঃ মহারানী অ্যান নিউটনকে নাইট উপাধিতে সম্মানিত করলেন। তাঁর নামের আগে যুক্ত হল স্যার। এই বিরল সম্মান বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনিই প্রথম লাভ করেন।

১৭২৭ খ্রিঃ ৩১ মার্চ আইজ্যাক নিউটন এর জীবনাবসান হয়।

Share this:

  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)

Leave a Reply Cancel reply

নতুন চাকরির খবর.

SSC Staff Recruitment 2024

এসএসসির মাধ্যমে প্রচুর কর্মী নিয়োগ 2024 | SSC Staff Recruitment 2024

Upper Division Clerk Recruitment 2024

আপার ডিভিশন ক্লার্ক নিয়োগ 2024 | Upper Division Clerk Recruitment 2024

AI Airport Services Limited Recruitment 2024

মাধ্যমিক পাশে এয়ারপোর্টে কর্মী নিয়োগ 2024 | AI Airport Services Limited...

South East Central Railway Recruitment 2024

দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলে অ্যাক্ট অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ 2024 | South East...

Kolkata Metro Rail Accounts Recruitment 2024

কলকাতা মেট্রো রেলে অ্যাকাউন্ট নিয়োগ 2024 | Kolkata Metro Rail Accounts...

চরবৃত্তির উদ্দেশ্যে চিনা ব্যক্তির পড়াশোনা দেখে অবাক পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ, জেনেনিন ১২ রাশির জাতক-জাতিকাদের কেমন যাবে আজকের দিন (৩ অগাস্ট ২০২২).

BongHood

স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী | Sir Isaac Newton Biography in Bengali

Sir Isaac Newton Biography in Bengali

স্যার আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী (Sir Isaac Newton Biography in Bengali) : এক মহান বিজ্ঞানী, যার কাছে পরিবেশ কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি, বরং পরিবেশকে উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে গেছেন, বাবা মা ছাড়া একাকীত্বের মাধ্যমে একা একাই বড় হয়েছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন পৃথিবীকে। ছিলনা কোনো পিছুটান। শুধুই ছিল সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া। মা চেয়েছিলেন ছেলে কৃষক হোক, কিন্তু ছেলে কৃষক হলেন না, হলেন বৈজ্ঞানিক। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, “প্রকৃতি ছিল নিউটনের কাছে একটি খোলা বইয়ের মতোই, যার পাতাগুলো নিউটন কোনোরকম কষ্ট ছাড়াই পড়তে পারতেন”। 

স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) জীবনী

স্যার আইজ্যাক নিউটন, যিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী। ১৬৪২ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কশায়ার অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। 

পিতা ও মাতা

তিনি ছিলেন পিতা -মাতার একমাত্র সন্তান। মায়ের গর্ভে থাকাকালীন তাঁর বাবা মারা যায়। অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার তিন মাস আগে। তাঁর পিতার নাম ছিল আইজ্যাক নিউটন। মাতা হ্যানা স্বামীর স্মৃতি রক্ষার্থে নাম রাখেন আইজ্যাক নিউটন। নিউটন অপুষ্টিজনিত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন। এতটাই তিনি রোগা ছিলেন যে, তাঁকে কৌটে ভরে রাখা যেত।নিউটনের যখন তিন বছর বয়স তখন তাঁর মা একটি চার্চের পাদ্রীর সাথে সম্পর্কে জড়ান। তাঁকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন। নিউটন দ্বিতীয় বাবাকে সহ্য করতে পারতেন না। তাই তাঁর মা নিউটনকে দিদার কাছে রেখে আসেন। বাবা মা ছাড়া একাকীত্ব ভাবে বড় হয়েছেন নিউটন। তাই তো আপন করে নিয়েছেন প্রকৃতিকে। প্রকৃতির কোণে কোণে ঘুরে বেড়িয়েছেন, আর তাই তো আবিষ্কার করেছিলেন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। 

শিক্ষা জীবন ও কর্মজীবন

নিউটনের স্কুল জীবন শুরু হয় দিদার বাড়ি থেকেই। বাড়ি থেকে মাত্র পাঁচ মাইল দূরে গ্র্যান্থাম্‌-এ ফ্রি গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। কিন্তু তিনি পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেননা। পড়াশোনার থেকে বেশি মনোযোগ ছিল যন্ত্রপাতি নির্মাণে। বায়ুকল, জলঘড়ি, সূর্যঘড়ি ইত্যাদি তৈরি করেন। এরপর ১৬৬১ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে কাকা রেভ অ্যাসকাফের সুপারিশে ভর্তি হন। ১৬৬৫ সালে স্নাতক হন। এরপর ১৬৬৯ সালে ট্রিনিটি কলেজ থেকে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরই নিকোলাস, কেপলার, গ্যালিলিওর ধারণা সম্পর্কে অবগত হন। ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন । ১৬৯৬ খ্রিস্টাব্দে সরকারি টাকশালের ওয়ার্ডেন হিসেবে যোগদান করেন।  নিউটনের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় টাকা জাল করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ১৭০০ সালে এই পদ ত্যাগ করেন। সেই বছরই লন্ডন ছেড়ে চলে যান। তাঁর বিখ্যাত আবিষ্কার আপেল মাটিতে পড়া। যা পরিচিত মধ্যাকর্ষণ শক্তি নামে। তিনি দিনের বেশিরভাগ সময়ই বাগানের কাছে থাকতেন। সেখানে থাকতে ভালোবাসতেন। ১৭২৬ সালের ফাল্গুন মাসে গ্রামের বাড়ির বাগানে বসে রয়েছেন, আর সেই সময় একটি আপেল মাটিতে পড়ল, তখন নিউটনের মনে হল আপেলটি মাটিতে কেন পড়ল? ওপরেও উঠতে পারত। আর এই ভাবনা থেকেই আবিষ্কার করলেন মধ্যাকর্ষণ শক্তি। 

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদান

  • ১৬৬৫ -৬৬ সাল যখন প্লেগ রোগের সম্ভাবনা দেখা যায় তখন তিনি ফার্মে বসে আবিষ্কার করেন আলোর কণাতত্ত্ব। 
  • তিনি তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে নথিভুক্ত করতে লিখেছেন বই, তাঁর সেই বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘ প্রিন্সিপিয়া ‘ । এছাড়াও ১৬৮৭ সনে  প্রকাশিত হয় ‘ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা’ (Philosophiae Naturalis Principia Mathematica)। 
  • নিউটন পদার্থের গতি সম্পর্কে তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। 

প্রথম সূত্র

বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে অথবা গতিশীল বস্তু চিরকাল সুষম গতিতে সরলরেখায় বা সরল পথে চলতে থাকবে। 

দ্বিতীয় সূত্র

সময়ের সাথে ,কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে। 

তৃতীয় সূত্র

প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। 

মৃত্যু

১৭২৭ সালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ওয়েস্ট মিনিস্টার এরিতে সমাধিস্থ করা হয়। মৃত্যুর আগে নিজের ডাইরিতে লিখে গেছেন, 

“পৃথিবীর মানুষ আমাকে কি ভাবে জানি না কিন্তু নিজের সম্বন্ধে আমি মনে করি আমি একটা ছোট ছেলের মত সাওরের তীরে খেলা করছি আর খুজে ফিরেছি সাধারনের চেয়ে সামান্য আলাদা নুড়ি পাথর বা ঝিনুক খোলা।সামনে আমার পড়ে আছে অনাবিষ্কৃত বিশাল জ্ঞানের সাগর”

নিউটনের বাণী

১) পৃথিবীর এই বিপুল জ্ঞানভাণ্ডারকে জানার ক্ষেত্রে আমি সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এক শিশুর মতো, যে শুধু সারাজীবন নুড়িই কুড়িয়ে গেল। সমুদ্রের জলরাশির মতো বিশাল এই জ্ঞান আমার অজানাই থেকে গেল।

২) সত্য সবসময় সহজবোধ্যতার মাঝে পাওয়া যায়। এটি কখনো জটিলতার মাঝে পাওয়া যাবে না।

৩) আমি জানিনা বিশ্ব আমায় কিভাবে মূল্যায়ন করবে। কিন্তু আমার চোখে আমি কেবলই এক ছোট বালক যে সমুদ্র উপকূলে মনের আনন্দে খেলে বেড়িয়েছে আর কখনো কখনো একটু বেশি মসৃণ নুড়ি-পাথর কিংবা সুন্দর ঝিনুক খুঁজে পেয়েছে। এদিকে সত্যের মহাসমুদ্র আমার সামনে অনাবিষ্কৃতই থেকে গেল।

৪) প্রকৃতি সবসময় সহজ কিছুই পছন্দ করে। প্রকৃতি মেকি হতে পারে না।

৫) অভিকর্ষ গ্রহসমূহের গতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে, কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করতে পারেনা, কে গ্রহগুলোকে গতিশীল হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিলে। ঈশ্বর সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব তার সবই তিনি জানেন।

উল্লেখযোগ্য তথ্য

১) ট্রিনিটি কলেজের খরচ মেটানোর জন্য সিনিয়র ছাত্রদের ফাইফরমাশ খাটতে হতো।

২) তাঁর মায়ের প্রতি এতটাই বিতৃষ্ণা ছিল যে  , তিনি কোনোদিন কোনো নারীর সংস্পর্শে আসেননি। 

৩) আইজ্যাক নিউটন ছিলেন খুবই বদমেজাজি একজন মানুষ। মুখে ছিলনা কোনো হাসি। নিজের সমালোচনা কোনোদিনই সহ্য করতে পারতেননা। তাঁর তেমন বন্ধু ছিলেননা।  এমনকি যেসব বন্ধু তাঁর ছিল, তাঁরা যদি তাঁর হয়ে কথা না বলত, তখনই ঝগড়া লেগে যেত। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৪৮টি অপরাধ। যার মধ্যে রয়েছে, মা এবং সৎ বাবাকে বাড়িসহ  পুড়িয়ে মারার হুমকি। 

৪) তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী, যে বিজ্ঞানীকে স্যার সম্মানে ভূষিত করা হয়। 

৫) নিউটনের মৃত্যুর পর তাঁর দাত ৩৫০০০ ডলারে নিলামে বিক্রি হয়। এটি ছিল পৃথিবীর বিক্রিত দামি দাঁত  । 

৬) নিউটনের অনেক লেখা থেকে জানা যায়, তাঁর বিখ্যাত ফিলোসফার'স স্টোন বা পরশপাথরের প্রতি আকর্ষণ ছিল। তিনি এটার খোঁজ চালিয়েছিলেন। এই পাথর যে ধাতুতে ছোঁয়ানো যায়, সেটাই সোনায় পরিণত হয়। 

৭) তিনি আবিষ্কার করেছেন বাইনমিয়াল থিওরেম Binomial theorem  , কঠিন পদার্থের ঘনত্ব (The method for Calculating the area of curves or the volume of slides), প্রতিফলক টেলিস্কোপ (Reflecting telescope), 

৮) বৈজ্ঞানিক হওয়ার সত্ত্বেও তিনি ঈশ্বর বিশ্বাস করতেন। বাইবেল পড়তেন। 

৯) ১৭০৫ সালে রানী অ্যান নিউটনকে নাইট উপাধি দেন।

১০) পড়াশোনায় তাঁর একদম মনোযোগ ছিলনা, কিন্তু খুব মেধাবী ছিলেন, যে কোনো জটিল অঙ্কের সমাধান এক নিমেষে করে দিতেন। 

১১) নিউটনের আইকিউ ছিল ১৯০। 

স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী প্রশ্নোত্তর (FAQ)

১৬৪২ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কশায়ার অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন।

বাবা আইজ্যাক নিউটন ও মাতা হ্যানা নিউটন।

১৭২৭ সালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

Popular Posts

CEO এর পূর্ণরূপ কি? CEO Full Form in Bengali

CEO এর পূর্ণরূপ কি? CEO Full Form in Bengali

কবি জীবনানন্দ দাশ জীবনী - Jibanananda Das Biography in Bengali

কবি জীবনানন্দ দাশ জীবনী - Jibanananda Das Biography in Bengali

বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসু জীবনী - Khudiram Bose

বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসু জীবনী - Khudiram Bose

অরবিন্দ ঘোষ জীবনী | Sri Aurobindo Ghose Biography

অরবিন্দ ঘোষ জীবনী | Sri Aurobindo Ghose Biography

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য জীবনী - Sukanta Bhattacharya Biography in Bengali

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য জীবনী - Sukanta Bhattacharya Biography in Bengali

  • Class 6 Bengali
  • Class 6 English
  • Class 6 Geography
  • Class 6 History
  • Class 6 Science
  • Class 6 Mathematics
  • Class 7 Bengali
  • Class 7 English
  • Class 7 Geography
  • Class 7 History
  • Class 7 Science
  • Class 7 Mathematics
  • Class 7 Health and Physical Education
  • Class 8 Bengali
  • Class 8 English
  • Class 8 Geography
  • Class 8 History
  • Class 8 Science
  • Class 8 Mathematics
  • Class 9 Bengali
  • Class 9 English
  • Class 9 Geography
  • Class 9 History
  • Class 9 Life Science
  • Class 9 Physical Science
  • Class 9 Mathematics
  • Madhyamik Bengali
  • Madhyamik English
  • Madhyamik Geography
  • Madhyamik History
  • Madhyamik Life Science
  • Madhyamik Mathematics
  • Madhyamik Physical Science
  • Class 11 Bengali
  • Class 11 English
  • Class 11 Geography
  • Class 11 History
  • Class 11 Political Science
  • Class 11 Education
  • HS Chemistry
  • HS Computer Science
  • HS Education
  • HS Geography
  • HS Mathematics
  • HS Philosophy
  • HS Political Science
  • HS Sanskrit
  • Geotectonics
  • Geomorphology
  • Biogeography
  • Climatology
  • Geographical Thought
  • Geography of West Bengal
  • Geography of India
  • Animal Facts
  • Company Facts
  • World Facts
  • Govt Schemes
  • Current Affairs
  • Copyright Policy
  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Android App Download

newton biography in bengali

আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali

আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী - Isaac Newton Biography in Bengali

আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী

Isaac newton biography in bengali.

আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali : স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী,নিউটন ও আপেল এর গল্প আমরা ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি। এরপর যত বয়স বেড়েছে তার সাথে,সাথে নিউটন এর আবিষ্কার,

 মধ্যাকর্ষণ শক্তি,নিউটনের সূত্র (Newton law),নিউটনের প্রথম সূত্র (Newton first law),নিউটনের ভরবেগ ইত্যাদি বিষয় গুলির সাথে পরিচয় হয়েছে।

 বিশ্বের বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali বা আইজ্যাক নিউটন এর আত্মজীবনী বা আইজ্যাক নিউটন এর (Isaac Newton Jivani) জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আইজ্যাক নিউটন কে ছিলেন ? Who is Issac Newton ?

আইজ্যাক নিউটন (Isaac Newton) ছিলেন প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী।১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে আইজ্যাক নিউটন (Isaac Newton) সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগতে একক আধিপত্য করেছে। 

বিশ্বের বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী – Issac Newton Biography in Bengali :

আইজ্যাক নিউটন এর জন্ম ও পরিবার – isaac newton birthday and family :.

 বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৬৪২ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কশায়ার অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা ছিলেন একজন কৃষক ।

আইজ্যাক নিউটন এর শৈশবকাল – Issac Newton Childhood :

 স্যার আইজ্যাক নিউটন মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতেই তার পিতা মারা যান । পুত্রের জন্মাবার পূর্বেই স্বামী মারা যাওয়ায় নিউটনের মা খুব আঘাত পান । দুঃখ ভুলতে স্বামীর নামানুসারেই তিনি পুত্রের নাম রাখেন আইজ্যাক নিউটন । নিউটনের মায়ের নাম ছিলাে হ্যানা নিউটন । নিউটনের দাদার নাম ছিলাে রবার্ট নিউটন । পৈতৃক সূত্রে নিউটন যথেষ্ট বিষয় – সম্পত্তির মালিক হন । 

 অল্প বয়সে স্বামীর মৃত্যু হলে নিউটনের মা স্থানীয় গির্জার এক ধনী পাত্রীকে বিয়ে করেন । এই ঘরে আরাে এক ছেলে ও দুই মেয়ে জন্মায় । মা হ্যানা বড় ছেলে নিউটনকে সংসার দেখাশুনার ভার দিলেন । কিন্তু নিউটনের ভালােলাগতাে পড়াশুনা । তিনি রাতদিন প্রায় সারাক্ষণ পড়াশুনায় নিমগ্ন থাকতেন । সংসারের কাজকর্মে মােটেই মনােযােগ দিতে পারতেন না । এছাড়া জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি নিয়ে তিনি গবেষণা করতেন । কিছু আবিষ্কার করতে হবে — এই ছিলাে তার নেশা । তিনি অঙ্কন বয়সে একটা জলঘড়ি নির্মাণ করেন — প্রতিবেশিরা তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাে । তারা প্রায়ই এটা দেখে যেতাে ।

আইজ্যাক নিউটন এর অনুপ্রেরণা – Isaac Newton Inspiration :

 স্যার আইজ্যাক নিউটন ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও দ্বারা অনুপ্রাণিত হন নানাভাবে । গ্যালিলিও আবিষ্কৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মতাে আর একটি প্রতিবিম্বিত দূরবীন তিনি তৈরি করেন । দূরবীনের সাহায্যে তিনি মহাকাশের গ্রহ – নক্ষত্রের গতিবিধি লক্ষ্য করতে পারতেন , যা তার গবেষণার সহায়ক হতাে ।

আইজ্যাক নিউটন এর শিক্ষাজীবন – Issac Newton Education Life :

 স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৬৬৪ সালে ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ থেকে বি . এ . পাস করেন । এই সময় থেকেই শুরু হয় তার উদ্ভাবনী শক্তির চরম বিকাশ । আধুনিক বিজ্ঞানকে পরীক্ষামূলক প্রমাণের সাহায্যে গ্যালিলিওর পর পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেন স্যার আইজ্যাক নিউটন ।

আইজ্যাক নিউটন এর এম এ পাস :  

 ১৬৬৭ সালে তিনি এম . এ . পাস করেন । মাত্র ২৪ বছর বয়সে স্যার আইজ্যাক নিউটন আলােকবিদ্যা , গতিবিদ্যা এবং গণিতেও তার ভবিষ্যত শ্রেষ্ঠত্বের সূচনা করেন।তার প্রিয় বিষয় ছিলাে অংক , জ্যোতির্বিদ্যা এবং বলবিদ্যা ।

আইজ্যাক নিউটন ও আপেলের গল্পঃ – Issac Newton and Apple’s Story :

 এক গরমের দিন বিকেলবেলা।নিউটনর্তার গ্রামের বাড়ির বাগানে চুপচাপ বসে আছেন । এমন সময় পাশের আপেল গাছ থেকে একটা । আপেল খসে তার পায়ের কাছে পড়লাে । নিউটন হঠাৎ ভাবতে লাগলেন আপেলটা মাটিতে পড়লাে কেন ? উপরেও তাে উড়ে যেতে পারতাে ।

আইজ্যাক নিউটন এর মধ্যাকর্ষণ শক্তি :  

 গভীর চিন্তার পর তার মনে হলাে নিশ্চয় পৃথিবী এই ফলকে তার দিকে আকর্ষণ করছে । তাই ফলটা এভাবে মাটিতে পড়েছে । পরে গভীর গবেষণার পর তিনি আবিষ্কার করেন এই আকর্ষণ শক্তি । এর ফলে তিনি আরাে আবিষ্কার করেন মধ্যাকর্ষণ শক্তি । পৃথিবী শুধু নয় , গ্রহ – নক্ষত্ররা একে অপরকে আকর্ষণ করে । নিউটনের এই আবিষ্কার বিশ্বের এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা হিসাবে পরিগণিত ।

[ আরও দেখুন , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali ]

আইজ্যাক নিউটন এর গ্রন্থ – Isaac Newton Book :

 স্যার আইজ্যাক নিউটনার বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলে অর্জিত সিদ্ধান্তগুলাে ‘ প্রিন্সিপিয়া ‘ নামক এক বইতে সন্নিবেশিত করে তা পুস্তকাকারে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন । অবশেষে ১৬৮৭ সালে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ ‘ প্রিন্সিপিয়া তিনখন্ডে প্রকাশিত হয় ।

আইজ্যাক নিউটন এর মৃত্যু – Isaac Newton Death :

 নিউটন ছিলেন চিরকুমার । ১৭২৭ সালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।

 স্বয়ং বিশ্ববিখ্যাত বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইন স্যার আইজ্যাক নিউটনকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন।

 তার জ্ঞানের গভীরতা সম্বন্ধে ভক্তরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন , জ্ঞান সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে এতােকাল শুধুমাত্র কয়েকটা নুড়ি পাথর কুড়িয়েছি , আসল সমুদ্রের রহস্য কিছুই তেমন জানতে পারিনি ।

আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী (প্রশ্ন ও উত্তর) – Isaac Newton Biography in Bengali (FAQ):

  • আইজ্যাক নিউটন কবে জন্মগ্রহণ করেন ?

Ans. ১৬৪২ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর ।

  • আইজ্যাক নিউটন এর মায়ের নাম কী ?

Ans. হ্যানা নিউটন ।

  • আইজ্যাক নিউটন কে ছিলেন ?

Ans. প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। 

  • আইজ্যাক নিউটন কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

Ans. ইংল্যান্ড এ ।

  • আইজ্যাক নিউটন এর গ্রন্থের নাম কী ?

Ans. ‘ প্রিন্সিপিয়া ‘ নামক গ্রন্থ ।

  • আইজ্যাক নিউটন কত সালে এম এ পাস করেন ?

Ans. ১৬৬৭ সালে ।

  • মধ্যাকর্ষণ শক্তি কে আবিষ্কার করেন ?

Ans. আইজ্যাক নিউটন ।

  • আইজ্যাক নিউটন কবে মারা যান ?

Ans. ৩১ মার্চ ১৭২৭ ।

[ আরও দেখুন , আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনী – Albert Einstein Biography in Bengali

আরও দেখুন , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali

আরও দেখুন , জেমস ওয়াট এর জীবনী – James Watt Biography in Bengali

আরও দেখুন , আগাথা ক্রিস্টি এর জীবনী – Agatha Christie Biography in Bengali ]

   অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।

RELATED ARTICLES MORE FROM AUTHOR

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – rabindranath tagore biography in bengali, নরেন্দ্র মোদীর জীবনী – narendra modi biography in bengali, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনী – mamata banerjee biography in bengali, শোয়েব আখতার এর জীবনী – shoaib akhter biography in bengali, লাল কৃষ্ণ আদভানি এর জীবনী – lal krishna advani biography in bengali, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী – netaji subhash chandra bose biography in bengali, current affairs in bengali 4 september 2021 | কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ৪..., ঘাসফড়িং সম্পর্কে কিছু তথ্য – facts about grasshopper in bengali, ফ্রান্ৎ‌স বেকেনবাউয়ার এর জীবনী – franz beckenbauer biography in bengali, hs english suggestion 2023 | উচ্চ মাধ্যমিক ইংরেজি সাজেশন ২০২৩, মানব উন্নয়ন সূচক (মানবীয় ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর |..., some important general knowledge gk mcq in bengali for all competitive..., অনুভব সিং এর জীবনী – anubhav singh biography in bengali, class 4 english model activity task part-2 february 2022 | চতুর্থ....

Bhugol Shiksha Apps

EDITOR PICKS

Courses after hs science: উচ্চমাধ্যমিকের পর সায়েন্সের ছাত্রছাত্রীরা কোন কোন কোর্সে..., hs all subjects suggestion 2025 | উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয়ের সাজেশন..., hs all subjects syllabus 2025 | উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত বিষয়ের সিলেবাস ২০২৫, popular posts, hs bengali suggestion 2023 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩, hs bengali suggestion 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪, hs bengali suggestion 2022 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২, popular category.

  • Biography 683
  • Madhyamik 609
  • Higher Secondary 401
  • Current Affairs 388
  • General Knowledge 368
  • Graduation Geography 205
  • Madhyamik Geography 171
  • Class 9 153
  • Madhyamik Bengali 140

ফিরজিল ফন ডাইক এর জীবনী – Virgil van Dijk Biography in...

Gksolve

স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali

Isaac Newton Biography in Bengali

স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী:  gksolve.in আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে  Isaac Newton Biography in Bengali . আপনারা যারা  আইজ্যাক নিউটন  সম্পর্কে জানতে আগ্রহী  আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী  টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

Table of Contents

আইজ্যাক নিউটন কে ছিলেন? Who is Isaac Newton?

স্যার আইজ্যাক নিউটন (৪ জানুয়ারি ১৬৪৩ – ৩১ মার্চ ১৭২৭) প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ,  জ্যোতির্বিজ্ঞানী , প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগতে একক আধিপত্য করেছে। তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সাথে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার গবেষণার ফলেই সৌরকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়।

আইজ্যাক নিউটন জীবনী – Isaac Newton Biography in Bengali

আইজ্যাক নিউটন এর জন্ম: isaac newton’s birthday.

আইজ্যাক নিউটন ১৬৪৩ সালের ৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

আইজ্যাক নিউটন এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Isaac Newton’s Parents And Birth Place

বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রতিভা নিউটন মাত্র সাত মাস বয়সেই মায়ের গর্ভ থেকে জন্মে নিশ্চিত মৃত্যুকে ফাকি দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন আশ্চর্যভাবে। নিজের প্রতিভায় জগৎকে আশ্চর্য করবার, চমকিত করবার পালা শুরু হয় তাঁর তখন থেকেই। এরপর দীর্ঘ জীবনে একের পর এক আশ্চর্যের মালা গেঁথে বিশ্ববিজ্ঞানের ইতিহাসকে স্বকীয় কৃতিত্বের মালিকায় ভূষিত করেছেন। জন্মের তিনমাস আগেই বাবা মারা গিয়েছিলেন। দুবছর বয়স হতে না হতেই মা দ্বিতীয়বার বিয়ে করে বসলেন।

আইজ্যাক নিউটন এর ছোটবেলা: Isaac Newton’s Childhood

নিউটনের নতুন বাবা ছিলেন পাদ্রী। তিনি রোগা পটকা নিউটনের দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। ফলে উলসথরপের খামার বাড়িতে ঠাকুমার কাছেই মানুষ হতে থাকেন তিনি। বাবাকে হারিয়েছেন, মা নেই, নেই কোন ভাইবোন। এই অবস্থায় একাকীত্বের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি আসবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। চারপাশের সবকিছু খুঁটিয়ে দেখার অভ্যাস তৈরি হয়েছিল তখন থেকেই।

আর এই অভ্যাসের ফলেই তো পরিণত বয়সে একদিন গাছ থেকে আপেল পড়ার সামান্য ঘটনা থেকে মাধ্যাকর্ষণের সূত্র আবিষ্কার করে গোটা পৃথিবীকে চমকে দিয়েছিলেন। বয়স বারো বছর পূর্ণ হতেই ঠাকুমা নিউটনকে পাঠিয়ে দিলেন গ্রানথাম শহরে তার পরিচিত ক্লার্ক নামে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে। ক্লার্ক – এর স্ত্রী ছিলেন নিউটনের মায়ের বান্ধবী।

সেই সূত্রে এখানেই প্রথম তিনি মাতৃস্নেহের স্বাদ পান। ক্লার্ক ভদ্রলোক ওষুধের ব্যবসা করতেন। নিজেই বাড়িতে তৈরি করতেন সেসব। বিজ্ঞানের বিশেষ করে রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় যথেষ্ট পড়াশোনা ছিল তার। পারিবারিক অবস্থাও স্বচ্ছল। এখানে চার বছর ছিলেন নিউটন। এখানেই বিজ্ঞানী নিউটনের জীবনের ভিত তৈরি হয়েছিল বলা যায়। বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে হঠাৎ একদিন রত্নভান্ডার আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন নিউটন।

চিকিৎসাবিদ্যা, রসায়ন, সৌরজগতের বিষয়ে প্রচুর  বই  জড়ো করা ছিল সেই ঘরে। নিউটন সেই সব বইতে ডুবে গেলেন। সব কি আর বুঝতে পারেন, তবু পড়ার নেশায় পড়ে যান। এইভাবে ক্লার্কের ওষুধ তৈরির ল্যাবরেটরির সন্ধানও পেয়ে যান একদিন। কৌতূহল নিয়ে কাচের যন্ত্রপাতি, রসায়নিক বোঝাই শিশি – বোতল সব নাড়াচাড়া করে দেখেন। এই বাড়ির নিরিবিলি চিলেকোঠায় বসেই সর্বপ্রথম সৃষ্টির নেশায় মেতে উঠেছিলেন বালক নিউটন।

বাতাসি কলযন্ত্রের গাড়ি, জলঘড়ির নানা মডেল বানিয়েছেন তিনি। কখনো নানা রসায়নিকের গুণাগুণ পরীক্ষা করে দেখেছেন। ক্লার্কভবনে নিউটনের সঙ্গী ছিল ক্লার্কের একমাত্র মেয়ে স্টোরি। বন্ধুত্বের সহজ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাদের মধ্যে ৷ নিউটনের যখন ষোল বছর বয়স, তখন উলসথরপ থেকে মায়ের চিঠি পেয়ে জানতে পারেন তাঁর নতুন বাবা মারা গেছেন।

আইজ্যাক নিউটন এর শিক্ষাজীবন: Isaac Newton’s Educational Life

জমিদারির ব্যাপার নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। ক্লার্ক পরিবারের চার বছরের জীবনে ছেদ পড়ে এরপর। নিউটন উলসফরপে মায়ের কাছে চলে আসেন। কিন্তু জমিদারির লাভক্ষতি আর চাষ আবাদের হিসেবের মধ্যে অল্পদিনেই হাঁপিয়ে ওঠেন নিউটন। মাকে জানালেন কলেজে পড়বেন। লেখাপড়ায় ছেলের আগ্রহ দেখে মা খুশি হন। ছেলেকে পাঠিয়ে দেন কেমব্রিজে। নিউটন ভর্তি হন ট্রিনিটি কলেজে। এই কলেজে আইজ্যাক ব্যারো নামে অঙ্কের অধ্যাপক ছিলেন খাঁটি জহুরী।

নিউটনের সুপ্ত প্রতিভার পরিচয় তার কাছে গোপন রইল না। ব্যারো নিজে ছিলেন এক প্রতিভা। বিজ্ঞান, বিশেষ করে পদার্থ বিদ্যায় তার ছিল অসামান্য দখল। নিজস্ব কিছু গবেষণাও ছিল তার। ব্যারোর সুপারিশে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিউটনকে অঙ্কে ছাত্রবৃত্তি পড়ার সুযোগ দিলেন। এই সময় থেকেই অধ্যাপক ব্যারোর প্রেরণায় নিউটনের বিজ্ঞান প্রতিভার উন্মেষ ঘটতে থাকে। নিউটনকে তিনি জ্যামিতি ও আলোকবিজ্ঞানের রহস্যালোকের সন্ধান দেন।

অল্পসময়ের মধ্যেই গণিতের মূলনীতিগুলো নিউটন চমৎকার রপ্ত করে ফেললেন। তবে বিশুদ্ধ গণিতের চেয়ে ব্যবহারিক গণিতই তার পছন্দ ছিল বেশি। এই গণিতের মধ্যেই ছিল প্রকৃতি জগৎ ও সৌর বৈচিত্র্যের রহস্য লোকের চাবিকাঠি। ব্যারোর তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বিচারবুদ্ধি ও নানা পরীক্ষা – নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ নিয়ে মেতে রইলেন নিউটন। নিউটন বৃত্তি পান ১৬৬৪ খ্রিঃ।

আইজ্যাক নিউটন এর কর্ম জীবন: Isaac Newton’s Work Life

সেই বছরই গোড়ার দিকে ইংলন্ড জুড়ে মহামারীর আকারে দেখা দিল প্লেগ। কাতারে কাতারে লোক মরল। দিশাহারা লোক জন দলে দলে যে যেদিকে পারল শহর ছেড়ে পালাতে লাগল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। মড়ক – পীড়িত লন্ডন ছেড়ে উলসথরপের খামার বাড়িতে চলে এলেন নিউটন। এখানে এসে মায়ের সঙ্গে জমিদারি দেখাশোনার কাজে হাত লাগালেন।

তবে পাশাপাশি বিজ্ঞানের গবেষণাও চালিয়ে চললেন। উলসথরপে দেড় বছর ছিলেন নিউটন। এই সময়ের মধ্যে এক এক করে তিনটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কাজ সম্পূর্ণ করলেন। তাব প্রথম আবিষ্কার দ্বিপদতত্ত্ব অর্থাৎ দুই অংশযুক্ত রাশি ও দ্বিতীয় আবিষ্কার প্রভেদক গণনা গণিতের মৌলসূত্র। এই দুটির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে বাইনোমিরাল থিয়োরেম ও ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাস।

প্রভেদক গণনা গণিতের সাহায্যে অনবরত পরিবর্তনীয় রাশির পরিবর্তনের হার বার করা যায়। এই রাশিগুলির নাম হল প্রবহপুঞ্জ বা Fluxions. কিছুদিনের মধ্যেই প্রবাহপুঞ্জের বিকল্প প্রবাহেরও সন্ধান পেয়ে গেলেন নিউটন। এইভাবেই পাওয়া গেল গণনা গণিতের এক শাখা অখন্ড গণনা গণিত বা ইনটিগ্রাল ক্যালকুলাস। এই সঙ্গেই আরও একটি কাজ করলেন নিউটন। শংকুর কোন এক অংশ নিয়ে যে বক্ররেখা বা কারভ রচিত হয় সেই পরা বলয়ের ক্ষেত্রফল ও ঘনবস্তুর আয়তনের পরিমাপের উপায়ও বার করে ফেললেন।

এইভাবে জমিদারির কাজ আর নিজের গবেষণা নিয়ে দেখতে দেখতে দেড়টি বছর কেটে গেল। নিউটন আবার কেমব্রিজে ফিরে এলেন। এখানে এসে তার তিনটি গবেষণা প্রকাশ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে গণিত বিজ্ঞানী মহলে সাড়া পড়ে গেল। প্রভেদক গণনা গণিতের উদ্ভাবক হিসাবে বিজ্ঞানী মহল তাঁকে স্বীকৃতি জানাল। কোপারনিকাশের সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্ব থেকে নিউটন জেনেছিলেন, গ্রহমন্ডলী অধিবৃত্ত পথে নিজ নিজ কক্ষে ঘুরপাক খায়।

গ্যালিলিওর গতিসূত্র ও চলমান বস্তুর যান্ত্রিকতা সম্পর্কেও তার ধারণা পরিষ্কার ছিল। এই ধারণার ভিত্তিতেই তাঁর দ্বিতীয় আবিষ্কার রূপ পেয়েছিল। সেইকালে বিজ্ঞানীরা জানতেন না গ্রহরা নিজ নিজ কক্ষপথে কার প্রভাবে নিয়মিতভাবে আবর্তিত হয়ে চলেছে। নিউটন তার অঙ্কের সাহায্যে বুঝতে পারলেন যে সূত্রের সাহায্যে পৃথিবীর সমস্ত বস্তু ও তাদের গতির নিয়ন্ত্রণ ঘটে সেই একই সূত্রের প্রভাবে সৌরজগতের গ্রহতারকাদের কক্ষনির্ভর আবর্তনও নিয়ন্ত্রিত হয়।

যে সূত্র বা বলের টানে গাছের আপেল আকাশে না উঠে মাটিতে এসে পড়ে, সেই একই বল সৌরমন্ডলের গ্রহতারাদেরও পরিচালিত করে। নিউটন এই বলেরই নাম দিলেন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। যে সূত্রের সাহায্যে তিনি এই বলকে প্রকাশ করলেন তারই নাম হল মাধ্যাকর্ষণ সূত্র বা Law of gravitation. এরপর নিউটন দেখলেন যেই অভিকর্ষ বলকে কেন্দ্র করে সৌরবস্তুদের নড়াচড়া সেই কেন্দ্র থেকে সৌর বস্তুর দূরত্বের বর্গের বিষয়ানুপাতিক। অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে সৌর বস্তুর দূরত্ব যদি বাড়ে অভিকর্ষ কমে আসে, আবার যদি দূরত্ব কমে অভিকর্ষ বলের পরিমাণও বেড়ে যায়।

নিউটন তার আবিষ্কৃত মাধ্যাকর্ষণ সূত্র ও অভিকর্ষ বলের কথা বাইরে প্রকাশ করবার আগেই বুঝতে পারলেন, এই মহাসত্য ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পদার্থবিজ্ঞান ও সৌরবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিপ্লব উপস্থিত হবে, নিয়ে আসবে নতুন যুগ। আবিষ্কৃত সত্যকে দৃঢ় মূল ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য পুনঃ পুনঃ বিশ্লেষণ ও পরীক্ষার দরকার। তাই নিয়েই মেতে উঠলেন তিনি।

১৬৬৫-৬৬ খ্রিঃ মধ্যে নিউটন আবিষ্কার করলেন আলোর প্রতিসরণ সূত্র বা Law of Refraction of Light তিনি দেখালেন, এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে ঢুকবার সময় আলো যে বাঁক নেয়, তার পরিমাণ নির্ভর করে মাধ্যমের ঘনত্বের ওপর। ইতিপূর্বে তেফলা কাচ মাধ্যম বা প্রিজম আর লেনস- এই দুই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কাচের সাহায্যে দৃষ্টি বিবর্ধক চশমা তৈরি সম্ভব হয়েছে, সম্ভব হয়েছে দূরবীন তৈরি। লিউয়েন হক তৈরি করেছিলেন জীবজগতের সূক্ষ্মতম অধিবাসীদের দেখবার উপযোগী অণুবীক্ষণযন্ত্র।

নিউটন প্রিজন ও লেনস নিয়ে নাড়াচাড়া করে দূরবীনের একটি মারাত্মক ত্রুটি আবিষ্কার করে ফেললেন। দূরবীনের লেনসে সৌরজগতের যে ছবি ভেসে উঠত, তাতে থাকত নানা বর্ণের রেখার বর্ণবৃত্ত। এর ফলে গ্রহনক্ষত্রের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের কাজ বড় রকমের বাধার সম্মুখীন হত। এই বর্ণঘটিত বিভ্রাটকে বলা হয় CHROMATIC ABERRATION বা বর্ণঘটিত স্থানচ্যুতি। আলোক বিজ্ঞানীরা দূরবীনের এই ত্রুটি সম্পর্কে বিলক্ষণ ওয়াকিবহাল ছিলেন। কিন্তু তাঁরা মনে করতেন দূরবীনের এই ত্রুটি প্রকৃতিগত অর্থাৎ ন্যাচারাল ফ্লো — এই ত্রুটিমুক্ত দূরবীন তৈরি অসম্ভব।

নিউটন এই বর্ণবিভ্রাট মুক্ত দূরবীন তৈরি করলেন। এর সাহায্যে গ্রহনক্ষত্রদের প্রকৃত দূরত্ব নির্ণয় করতে গিয়ে বর্ণঘটিত স্থান চ্যুতির বিঘ্ন থাকল অতি সামান্য মাত্রায় ৷ পরে ১৭৬০ খ্রিঃ তাঁর অনুসরণেই সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত দূরবীন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন আলোকবিজ্ঞানী জন ডোনাল্ড। আলো ও বর্ণঘটিত নানা তত্ত্বও তথ্য যখন প্রকাশ করেন তখন নিউটনের বয়স ত্রিশের কোঠা ছুঁই ছুঁই। তাঁর এই গবেষণা প্রবন্ধ ইউরোপের বিজ্ঞানীমহলে প্রবল বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল।

লন্ডনের বিখ্যাত রয়াল সোসাইটি তার প্রতিভার স্বীকৃতি জানালেন তাকে সংস্থার সদস্য পদে নির্বাচিত করে। এই সম্মান প্রাপ্তির পর নিউটন কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরূপ নিজের বর্ণঘটিত ত্রুটিমুক্ত দূরবীনটি রয়াল সোসাইটিতে উপহার পাঠিয়ে দেন। ১৬৬৭ খ্রিঃ নিউটনকে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে অঙ্কের অধ্যাপকপদে নিয়োগ করা হয়। দীর্ঘ ২০ বছর তিনি এই মহাবিদ্যালয়ের কাজে ছিলেন।

এই সময়ে অঙ্ক আর পদার্থবিদ্যা নিয়ে একের পর এক গবেষণা করেছেন তিনি। রসায়ন নিয়েও কিছুকাল কাজ করেছেন। ক্ষারীয় বা ক্ষারধর্মী ধাতুকেবৈজ্ঞানিক উপায়ে সোনায় পরিণত করা যায় কিনা তা নিয়েও পরীক্ষা করেছেন। নিরন্তর গবেষণার মধ্যে থেকে বয়স তিরিশ হতে না হতেই সমস্ত চুল ধবধবে সাদা হয়ে গেল তাঁর।

যে কোন বিষয়ে একনিষ্ঠ মনঃসংযোগের বিরল ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। যে কোন বিষয় একবার মাথায় ঢুকলে তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারতেন না। তাঁর সবচেয়ে মহৎ গুণ যেটি ছিল তা হল অপ্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ এড়িয়ে মূল লক্ষে এগিয়ে যাবার ক্ষমতা। তাঁর প্রতিটি গবেষণার কাজ এগিয়েছে নির্দিষ্ট নিয়মের পথ ধরে। প্রথমে বিষয় নির্বাচন, পরে মূলনীতি নির্ধারণ। সবশেষে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলা।

১৬৮৪ খ্রিঃ এক তরুণ সৌরবিজ্ঞানী কেমব্রিজে এসে নিউটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। এই বিজ্ঞানীর নাম এডমুন্ড হ্যালি। তাঁর নামেই পরে একটি বিশেষ ধূমকেতুর নাম হ্যালির ধূমকেতু রাখা হয়েছিল। প্রকৃতির মহাশক্তি অভিকর্ষের ওপর গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করে হ্যালি নিউটনের সহযোগিতা প্রার্থনা করলেন। নিউটন এতদিন তাঁর যে গবেষণার কথা চেপে রেখেছিলেন, তা প্রথম প্রকাশ করলেন হ্যালির কাছে। জানালেন, বারো বছর আগেই তিনি এ সম্পর্কে প্রচুর গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন তত্ত্ব আবিষ্কারও করেছেন।

হ্যালির প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ – ও জানালেন যে বিশেষ কারণেই তিনি তাঁর আবিষ্কৃত মূল্যবান তত্ত্ব দীর্ঘকাল গোপন করে রেখেছেন। কারণটিও গোপন করলেন না নিউটন। তার আলোেক বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা প্রকাশিত হবার পর তাঁকে বহু মিথ্যা সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল। বহু বিশিষ্ট বিজ্ঞানীও এই দলে ছিলেন। তাঁদের নীচতা দেখে তাঁর মন এমনই ভেঙ্গে পড়েছিল যে জীবনে আর কোন গবেষণার কথাই প্রকাশ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত করেন।

আইজ্যাক নিউটন এর রচনা: Written by Isaac Newton

তরুণ বিজ্ঞানী হ্যালির আগ্রহ ও তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত নিউটন তাঁর গবেষণা প্রকাশ করবেন বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হলেন। টানা দুই বছর পরিশ্রম করে তিনি তাঁর যে গবেষণা প্রবন্ধটি তৈরি করেন তা বিশ্ববিজ্ঞানের এক অমূল্য সম্পদ। বইটির নাম রাখা হয় ফিলোসফিয়া নেচারালিস প্রিনসিপিয়া ম্যাথেমেটিকা যা ইংরাজি করলে দাঁড়ায় Mathematical Principle of Natural Philosophy.

তরুণ হ্যালি এই সময় নানাভাবে নিউটনকে সাহায্য করেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁর আগ্রহেই বইটি তৈরি হয়েছিল, প্রকাশও করলেন নিজের পয়সায়। নিউটনের এই বই – এর ভিত্তি উচ্চশ্রেণীর জ্যামিতি হলেও এর মধ্যে যেমন রয়েছে গভীর দর্শন তেমনি জটিল গণিত ও অসাধারণ সব বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত। বইটির সংক্ষিপ্ত নাম প্রিন্সিপিয়া। ইংরাজি প্রিনসিপল শব্দের ল্যাটিন উচ্চারণ হল  প্রিন্সিপিয়া । পরপর তিনটি বইয়ের সংকলন হল প্রিন্সিপিয়া।

প্রথম বইটির আলোচ্য বিষয় গতিসূত্র। এতে রয়েছে পরপর তিনটি সূত্র।

প্রথম সূত্র হল:  Every body continues in its state or rest or of uniform motion in a straight line unless it is compelled by external force to change that state of inertial.

দ্বিতীয় সূত্র হল:  Rate of change of momentum is proportional to the force acting, and the change takes place in the direction in which the force acts.

তৃতীয় সূত্র:  To every action there is an equal and opposite reaction.

প্রিন্সিপিয়ার দ্বিতীয় বইতে নিউটন আলোচনা করেছেন প্রতিরোধী বস্তুর মাধ্যমের ভেতরে যে কোন বস্তুর গতি নিয়ে। প্রতিরোধী বস্তু হিসেবে তিনি তরল ও বায়বীয় এই দুই পদার্থকেই গ্রহণ করেছেন। নিউটনের মতে যে কোন গ্যাসই অসংখ্য স্থিতিস্থাপক পরমাণুর মিশ্রণ। গ্যাসের ওপর চাপই তার আয়তন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রিন্সিপিয়ার তৃতীয় খন্ডে রয়েছে সৌরজগৎ ও প্রকৃতির অভিকর্ষ বলের কথা।

তিনি পরিষ্কার ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন কিভাবে পৃথিবীর বুকে পতনশীল বস্তুর ওপর অভিকর্ষ বল কাজ করে এবং এই একই বলের প্রভাবে মহাকাশের গ্রহতারা তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে কাজ করে। এই অভিকর্ষ বলের টানেই যে সমুদ্রে জোয়ার ভাটা খেলা করে সেই কথাও তিনি বলেছেন। নিউটনের বক্তব্যের অর্থ হল, সৃষ্টির প্রতিটি বস্তুর পেছনেই রয়েছে নির্দিষ্ট যুক্তি ও অবিসংবাদি কারণ। প্রিন্সিপিয়া প্রকাশের পর এবারে নিউটন পেলেন অকুন্ঠ প্রশংসা, সাধুবাদ আর অপ্রতিহত খ্যাতি। খ্যাতির সঙ্গে এল প্রাপ্তি।

আইজ্যাক নিউটন এর পুরস্কার ও সম্মান: Isaac Newton’s Awards And Honors

১৮৮৯ খ্রিঃইংলন্ডের পার্লামেন্ট নিউটনকে সদস্যপদে বরণ করল। কেমব্রিজের বিজ্ঞান বিভাগ পরিচালনার সর্বময় দায়িত্বও তিনি পেলেন। ১৭০১ খ্রিঃ পেলেন দেশের সমস্ত টাকশালের অধ্যক্ষপদ। অবশ্য এই পদ পাবার পর তিনি পার্লামেন্ট থেকে অবসর নেন। ১৭০৩ খ্রিঃ তিনি রয়াল সোসাইটির সভাপতি পদে বৃত হলেন। আমৃত্যু, ১৭২৭ খ্রিঃ পর্যন্ত তিনি এই পদ অলঙ্কৃত করেছেন।

১৭০৫ খ্রিঃ মহারানী অ্যান নিউটনকে নাইট উপাধিতে সম্মানিত করলেন। তাঁর নামের আগে যুক্ত হল স্যার। এই বিরল সম্মান বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনিই প্রথম লাভ করেন।

আইজ্যাক নিউটন এর মৃত্যু: Isaac Newton’s Death

১৭২৭ খ্রিঃ ৩১ মার্চ আইজ্যাক নিউটন এর জীবনাবসান হয়।

Share this:

  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)
  • Click to share on Pocket (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Notify me of follow-up comments by email.

Notify me of new posts by email.

সফলতার স্বপ্ন-Dreams of Success

  • GK ক্যুইজ
  • কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স PDF
  • কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ক্যুইজ
  • জিকে PDF
  • ইতিহাস
  • ভূগোল
  • রসায়ন বিজ্ঞান
  • ভৌতবিজ্ঞান
  • জীবন বিজ্ঞান

Saturday, August 19, 2023

নিউটনের গতি সূত্র তালিকা pdf || newton's laws of motion, নিউটনের ৩টি গতি সূত্র তালিকা pdf, নিউটনের তিনটি গতি সূত্র- , প্রথম গতিসূত্র: , দ্বিতীয় গতিসূত্র: , তৃতীয় গতিসূত্র: , গতিসূত্রের জ্ঞাতব্য বিষয় : .

সম্পূর্ণ তথ্যটি পিডিএফে আছে

No comments:

Post a comment.

Dont Leave Any Spam Link

2023 Bengali Current Affairs PDF || বাংলা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০২৩

Blog Archive

  • Award Winner List (44)
  • Bangla (52)
  • Bangladesh GK (8)
  • Bengali GK Capsule (181)
  • CA ক্যুইজ (140)
  • Computer GK (12)
  • Current Affairs (165)
  • d.el.ed (18)
  • Daily Current Affairs (1255)
  • English (52)
  • English Quiz (56)
  • Food SI (17)
  • G.I & Reasoning (24)
  • General Science (27)
  • Geography (54)
  • History (85)
  • Indian Constitution (26)
  • Indian Economy (16)
  • Indian polity (6)
  • Indian State G.K (10)
  • Kolkata Police (4)
  • Mock test (409)
  • Question Papers (6)
  • Rail exam (63)
  • School Si (1)
  • Sociology-সমাজবিজ্ঞান (1)
  • WBP Constable (53)
  • WBP SI (18)
  • ইতিহাস কুইজ (15)
  • চাকরির খবর (3)
  • জীবন বিজ্ঞান (42)
  • পদার্থ বিজ্ঞান (23)
  • পরিবেশ বিজ্ঞান (19)
  • বিজ্ঞান কুইজ (41)
  • ভূগোল কুইজ (13)
  • মহাদেশ জি.কে. (1)
  • ম্যাগাজিন (4)
  • রসায়ন বিদ্যা (20)
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান (17)
  • শিশুশিক্ষা ও মনস্তত্ব (15)
  • Copyright Policy
  • Privacy Policy

Contact Form

সরকারি কয়েকটি ওয়েবসাইট.

  • WB Primary Board
  • রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড
  • স্কুল সার্ভিস কমিশন
  • স্টাফ সিলেকশন কমিশন(SSC)
  • পাবলিক সার্ভিস কমিশন(PSC)

নিউটনের গতিসূত্র (Newton’s laws of motion)

নিউটনের সূত্র বা গতিসূত্র কাকে বলে.

স্যার আইজ্যাক নিউটন বস্তুর ভর, গতি ও বলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তিনটি সূত্র প্রকাশ করেন। এটিই নিউটনের গতিসূত্র বা নিউটনের সূত্র নামে পরিচিত।

জড়তা (inertia) কাকে বলে?

পদার্থ যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাকে জড়তা (inertia) বলে।

ভর (mass) হচ্ছে পদার্থের জড়তার পরিমাপ। অন্য কথায় কোনো একটি বস্তুর তার বেগের পরিবর্তনকে বাঁধা দেয়ার পরিমাপই হচ্ছে ভর।

১৬৮৭ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটন তার অমর গ্রন্থ “ন্যাচারালিস ফিলোসোফিয়া প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকাতে” (Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica) বস্তুর ভর, গতি ও বলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তিনটি সূত্র প্রকাশ করেন। এ তিনটি সূত্র নিউটনের গতিসূত্র (Newtons laws of motion) নামে পরিচিত।

প্রথম সূত্র : (Newton’s First Law) বাহ্যিক বল প্রয়োগে বস্তুর অবস্থার পরিবর্তন করতে বাধ্য না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থিরই  থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সমবেগে অর্থাৎ সমদ্রুতিতে সরলপথে চলতে থাকবে।

দ্বিতীয় সূত্র : (Newton’s Second Law) বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার তার ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে।

তৃতীয় সূত্র : (Newton’s Third Law) প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।

গাণিতিকভাবে নিউটিনের গতিসূত্রগুলোর মধ্যে নিম্নোক্ত উপায়ে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।

নিউটনের ২য় সূত্র এবং ১ম সূত্রের মধ্যে সম্পর্ক :

নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রকে গাণিতিকভাবে লিখলে আমরা পাই, \frac{m \vec{v} - m \vec{v_0}}{t} \alpha F

বা, m \vec{a} = 𝑘 \vec{F} ,  𝑘=1 হলে

\vec{F} = m \vec{a}   , এখানে  \vec{F} =  প্রযুক্ত বল,  \vec{a} =ত্বরণ, \vec{v_0}   =আদিবেগ,  \vec{𝑣} = শেষবেগ

বাইরে থেকে বল প্রযুক্ত না হলে    \vec{F} হয় এবং  \vec{a} =0 হয়।

কিন্তু বস্তুর ভর শূন্য হয় না তাই 𝑚≠0 সুতরাং  \vec{a} = \frac{d \vec{v}}{dt} = 0 অর্থাৎ  𝑣 = ধ্রুবক। ………………(4.7)

তাই বলা যায় বাহ্যিক বলের ক্রিয়া না থাকলে বেগের কোনো পরিবর্তন হয় না। স্থির বস্তুর স্থির আর গতিশীল বস্তুর গতির কোনো পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ বাহ্যিক বলের অনুপস্থিতিতে বস্তুকণার ভরবেগ(momentum) সব সময় সমান বা ধ্রুব থাকে।

নিউটনের ১ম সূত্র এবং ৩য় সূত্রের মধ্যে সম্পর্ক:

নিউটনের গতির ১ম সূত্র থেকে আমরা জানি বাহ্যিক বল ক্রিয়া না করলে ভরবেগ ধ্রুব থাকে।

অর্থাৎ ভরবেগের সূত্র (momentum formula),  \vec{P} = m \vec{v} = ধ্রুবক…………………………………….(4.8)

𝑡  এর সাপেক্ষে ব্যবকলন করে পাই,

  \frac{d \vec{P}}{dt} = m \frac{d (\vec{v})}{dt} …………………………………………………………………………………(4.9) 

আবার দুটি বস্তুর মধ্যে একটি বস্তু যখন অপরটির উপর বল প্রয়োগ করে তখন লব্ধি ভরবেগের পরিবর্তনের হারের মান সমান ও বিপরীত হয়।

  \frac{d}{dt} (m_1 \vec{v_1}) = - \frac{d}{dt} (m_2 \vec{v_2}) ……………………………………………………….……..…………….[4.9(a)]

বা,  m_1 \vec{a_1} = - m_2 \vec{a_2}   বা, \vec{F_1} = - \vec{F_2} , অর্থাৎ ক্রিয়া বল= প্রতিক্রিয়া বল।

∴  [4.9(a)] এই সমীকরণ দ্বারা নিউটনের গতির ১ম ও ৩য় সূত্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।

নিউটনের ২য় সূত্র এবং ৩য় সূত্রের মধ্যে সম্পর্ক :

নিউটনের গতির ২য় সূত্র থেকে আমরা জানি, ভরবেগের পরিবর্তনের হারই হলো প্রযুক্ত বল। ঘাত বল বিবেচনা করলে লেখা যায়, ঘাত বল = ভরবেগের পরিবর্তন। এক্ষেত্রে যে বলের কারণে ঘাত সৃষ্টি হয় বিপরীত ক্রমে সেই বলের কারণে প্রতিঘাত সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় ক্রিয়া = প্রতিক্রিয়া। ইহাই নিউটনের ৩য় সূত্র।

নিউটনের গতিসূত্রের ব্যবহার (Application of Newton’s laws of motion) :

ঘোড়ার গাড়ির চলাচল :.

ঘোড়ার গাড়ি রাস্তায় যখন চলে তখন ঘোড়ার কাঁধে বেল্ট বা হাতলের উপর 𝐹 বল প্রয়োগ করে গাড়িটিকে সামনের দিকে নিয়ে যায়। সাথে সাথে গাড়িও ঘোড়াকে পেছনের দিকে সমান ও বিপরীতমুখী 𝐹 বলে টানতে থাকে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন করা যায় যে, গাড়িটি সামনের দিকে কী করে এগোয় ? নিচের চিত্রটি লক্ষ কর।

আরোহীসহ গাড়িটি সামনের দিকে এগোয় কী করে? : গাড়িটিকে সামনের দিকে চালাবার জন্য ঘোড়া মাটির উপর তির্যকভাবে বল প্রয়োগ করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটি ঘোড়ার উপর সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল 𝑅 প্রয়োগ করে। এই বলকে অনুভূমিক দিকে এবং উলম্ব দিকে যথাক্রমে  F_H এবং  F_V উপাংশে বিশ্লেষণ করা যায়। উলম্ব উপাংশ  F_V ঘোড়ার ওজনকে প্রশমিত করে। এখন যদি অনুভূমিক উপাংশ  F_H ঘোড়ার উপর গাড়ি দ্বারা পেছনের দিকে প্রযুক্ত প্রতিক্রিয়া বল (𝑅) – এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে  F_H - R বলের ক্রিয়ায় ঘোড়া সামনের দিকে এগিয়ে যায় অর্থাৎ গাড়িটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

এখন গাড়ির গতি পৃথকভাবে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, এর উপর দুটি বল ক্রিয়া করছে-

(i) মাটির সংস্পর্শে থাকার দরুন চাকার উপর ঘর্ষণ বল 𝑓 ; এই বল গাড়ির গতিকে বাঁধা দেয়।

(ii) ঘোড়া দ্বারা প্রযুক্ত বল 𝐹; এই বল গাড়িকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করে।

যখন 𝐹 বলের মান 𝑓 -এর মানের চেয়ে বেশি হয়, তখনই গাড়ি 𝐹−𝑓 বলের ক্রিয়া সামনের দিকে চলতে শুরু করে। এখন চালকসহ গাড়ি যদি সমবেগে চলে অর্থাৎ ত্বরণ শূন্য হলে প্রথম সূত্র অনুযায়ী ওদের উপর ক্রিয়ারত মোট বল শূন্য হবে। সুতরাং  F_H - F = 0 এবং 𝐹−𝑓=0 অর্থাৎ 𝐹= F_H =𝑓। চালকসহ  গাড়ি ত্বরণ নিয়ে চললে ঘোড়ার ত্বরণ হবে \frac{F_H - F}{M} এবং গাড়ির ত্বরণ হবে  \frac{F - f}{M_g} , এখানে 𝑀 এবং  M_g যথাক্রমে ঘোড়া এবং গাড়ির ভর।  F_H এবং 𝑓 বল দুটি স্বনিয়ন্ত্রক বল, এদের মান এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় যাতে ঘোড়া এবং গাড়ির ত্বরণ সমান হয়। ফলে ঘোড়া ও গাড়ি একসঙ্গে এগিয়ে যায়।

HSC 25 অনলাইন ব্যাচ (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলজি)

  • ৮ টি বিষয়ের ওপর প্রতি সপ্তাহে ১২টি লাইভ ক্লাস
  • প্রতিটি অধ্যায়ের গোছানো লেকচার স্লাইড এবং লেকচার শীট
  • নিজেকে যাচাই করতে ৩ সেট পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট
  • অধ্যায়ভিত্তিক রিপোর্ট কার্ড ও QNA ক্লাস

নৌকার গুণ টানা :

মনে করি 𝑀 একটি নৌকা। এর 𝑂 বিন্দুতে গুণ বেঁধে 𝑂𝑅 বরাবর নদীর পাড় দিয়ে  𝐹  বলে টেনে নেওয়া হচ্ছে। বিভাজন পদ্ধতি দ্বারা 𝑂 বিন্দুতে 𝐹 – কে দুটি উপাংশে বিভাজিত করা যায় ; যথা – অনুভূমিক উপাংশ ও উলম্ব উপাংশ [চিত্র]

অনুভূমিক উপাংশ =𝐹 cos 𝜃  , এর দিক 𝑂𝐴 বরাবর

উলম্ব উপাংশ =𝐹 sin 𝜃  , এর দিক 𝑂𝐵 বরাবর।

বলের অনুভূমিক উপাংশ 𝐹 cos 𝜃  নৌকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং উলম্ব উপাংশ 𝐹 sin 𝜃  নৌকাটিকে পাড়ের দিকে টানে। কিন্তু নৌকার হাল দ্বারা উলম্ব উপাংশ 𝐹 sin 𝜃  প্রতিহত করা হয়। গুণ যত লম্বা হবে, 𝜃 -এর মান তত কম হবে ফলে 𝐹 sin 𝜃  – এর মান কম হবে এবং 𝐹 cos 𝜃  -এর মান বেশি হবে। ফলে নৌকা দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়া :

বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়লে গুলিটি প্রচণ্ড বেগে সামনে ছুটে যায়। বন্দুকটি গুলির উপর যদি 𝐹 বল প্রয়োগ করে, তাহলে গুলিটিও বন্দুকের উপর সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করে। এই প্রতিক্রিয়া বলের জন্য বন্দুকটিও পেছন দিকে এগিয়ে যায়। [চিত্র ৪.৮]

ভরবেগ দিয়েও এর কারণ ব্যাখ্যা করা যায়। গুলি ছোঁড়ার আগে বন্দুক ও গুলি উভয়েই স্থির থাকে। অতএব বন্দুকের ভরবেগ শূন্য এবং গুলির ভরবেগ শূন্য। সুতরাং তাদের মোট আদি ভরবেগ শূন্য। গুলি ছোঁড়ার পর বারুদের বিস্ফোরণের ফলে গুলি একটি বেগে সামনের দিকে যায়। ফলে এটি সামনের দিকে একটি ভরবেগ প্রাপ্ত হয়। ভরবেগের নিত্যতা অনুসারে গুলি ছোঁড়ার পরেও তাদের মোট ভরবেগ শূন্য হবে। ফলে বন্দুককেও গুলির সমান ও বিপরীতমুখী একটি ভরবেগ লাভ করতে হবে। ফলে বন্দুককে অবশ্যই পেছনের দিকে গতিপ্রাপ্ত হতে হবে।  [চিত্র ৪.৮]

মনে করি 𝑀 ভরের একটি বন্দুক হতে 𝑚 ভরের একটি গুলি  \vec{v} বেগে বের হয়ে গেল। আবার মনে করি গুলি ছোঁড়ার পর বন্দুকের বেগ = \vec{V}

∴ গুলি ছোঁড়ার আগে তাদের মোট ভরবেগ =0

গুলি ছোঁড়ার পর তাদের মোট ভরবেগ = বন্দুকের ভরবেগ + গুলির ভরবেগ = M \vec{V} + m \vec{v}

কিন্তু ভরবেগের নিত্যতা সূত্র অনুসারে আগের ও পরের ভরবেগ সমান।

অর্থাৎ গুলির ভর × গুলির বেগ = বন্দুকের ভর × বন্দুকের পশ্চাৎ বেগ

এই সমীকরণ থেকে আরো বলা যায়, গুলির বেগ > বন্দুকের পশ্চাৎ বেগ।

বাতাসে পানি ছিটাবার যন্ত্র

বাতাসে পানি ছিটাবার একটি ঘুরন্ত যন্ত্র নাও। এবার যন্ত্রটিতে পানি দ্বারা পূর্ণ করে বাঁকা নলগুলোর মুখ এক সাথে খুলে দাও।

এই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে পানি পাঠালে বাঁকা নলগুলির সরু মুখ দিয়ে জোরে পানি বেরুতে থাকে [চিত্র ৪.৯]

এজন্য পানির গতির বিপরীত দিকে নলের গায়ে প্রতিক্রিয়া বল প্রযুক্ত হয় বলে যন্ত্রটি ঘুরতে থাকে। ফলে চারদিকে পানি ছিটকে পড়ে।

মহাশূন্যে অভিযান :

মনে করা যাক একটি রকেট মহাশূন্যে গতিশীল। ফলে বাতাসের বাধা এবং অভিকর্ষের প্রভাব উপেক্ষা করা যায়। যেহেতু রকেট থেকে গ্যাস নির্গমনের ফলে গ্যাসের গতির বিপরীত দিকে রকেটের উপর একটি বল বা ধাক্কার সৃষ্টি হয়, ফলে রকেট দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

ভরবেগের সংরক্ষণ নীতি(Conservation of momentum) অনুযায়ী রকেটও সমান কিন্তু বিপরীতমুখী ভরবেগ প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চ বেগে উপরে উঠে যায়। জ্বালানি হিসেবে রকেটে সাধারণত তরল হাইড্রোজেন এবং দহনের জন্য তরল অক্সিজেন থাকে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় এবং নিয়ন্ত্রিত হারে তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনকে দহন প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করানো হয়। জ্বালানির দহন ক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন উচ্চ চাপের গ্যাস অত্যন্ত উচ্চ বেগে রকেটের নিচের দিকে নির্গমন পথ দিতে বেরিয়ে আসে।

ধরা যাক প্রযুক্ত ধাক্কা = F

𝛥𝑡 সময়ে নির্গত গ্যাসের ভর =𝛥𝑚

গ্যাসের নির্গত বেগ =𝑣

রকেটের ভর =𝑀

Δ𝑡 সময় ব্যবধানে গ্যাসের ভরবেগের পরিবর্তন  = (Δ𝑚)𝑣

ভরবেগের নিত্যতার সূত্র অনুযায়ী,

Δ𝑡 সময়ে ভরবেগের পরিবর্তন = রকেটের উপর প্রযুক্ত বলের ঘাত সমান

∴(Δ𝑚)𝑣=𝐹×Δ𝑡

F = (\frac{\Delta m}{\Delta t})v , এখানে  F = \frac{\Delta m}{\Delta t} = জ্বালানি ব্যাবহারের হার

রকেটের তাৎক্ষণিক ত্বরণ 𝑎 হলে , 𝐹=𝑀𝑎

  • রকেটের ভর কমালে ত্বরণ বৃদ্ধি পায়।
  • রকেটের ত্বরণ বৃদ্ধি করতে হলে গ্যাস নির্গমনের হার বাড়াতে হবে।
  • গ্যাসের আপেক্ষিক বেগ বৃদ্ধি করলে ত্বরণও বৃদ্ধি পাবে।

অভিকর্ষ বল বিবেচনা করলে F = (\frac{\Delta m}{\Delta t})v-Mg

এখানে যাত্রা শুরুর সময়, 𝑀= জ্বালানী সহ রকেটের ভর

জ্বালানী শেষ হওয়ার সময়, 𝑀= শুধু রকেটের ভর

নিউটনের গতিসূত্রের সীমাবদ্ধতা (Limitations of Newton’s law of motion) :

  • নিউটনের গতিসূত্র বৃহৎ আকৃতির বস্তুর জন্য প্রযোজ্য। যে সকল কণার ভর খুবই কম যেমন ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন ইত্যাদির ক্ষেত্রে নিউটনের গতিসূত্র প্রযোজ্য নয়।
  • •ক্ষুদ্র ভর (10^{31} Kg) বিশিষ্ট সকল কণার বেগ বেশি হয়, অর্থাৎ প্রায় আলোর বেগের কাছাকাছি হয় ফলে গতিশীল অবস্থায় এরা তরঙ্গ রূপ আচরণ করে। এ সকল বস্তুর ক্ষেত্রে নিউটনের গতিসূত্র প্রযোজ্য নয়। এসব ক্ষেত্রে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রযোজ্য।
  • আবার বস্তুর ত্বরণ যখন খুব কম  < 10^{-10} ms^{-2} হয় তখন নিউটনের গতিসূত্র প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে বল ত্বরণের বর্গের সমানুপাতিক হয়। নিউটনের গতিসূত্র কেবলমাত্র বল ত্বরণের সমানুপাতিক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
  • কোনো বস্তু স্থির কাঠামোতে বা সমবেগে চলমান হলে নিউটনের গতিসূত্র প্রযোজ্য হয়। অন্যথায় প্রযোজ্য হবে না।

ক্ষেত্র ও প্রাবল্যের ধারণা (Concept of field and field intensity)

ক্ষেত্র (field) :.

একটি বস্তুর চারিদিকে অঞ্চল জুড়ে এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। ঐ অঞ্চলে অপর একটি বস্তু থাকলে সেটি বল অনুভব করে। এই বল মহাকর্ষীয় বল। এই বল পারস্পরিক ; অর্থাৎ একে অপরের উপর ক্রিয়াশীল হয়। এখন বস্তুর ভর বৃদ্ধি পেলে বলের মান বাড়ে। আবার বস্তুদ্বয়ের মধ্যে দূরত্ব বাড়লে বলের মান কমে।

“কোনো বস্তুর চারদিকে যে স্থান জুড়ে তার আকর্ষণ বল অনুভূত হয়, সে স্থানকে ঐ বস্তুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র বলে।” অতএব, মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র মহাকর্ষীয় বল সঞ্চালনের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ক্রিয়া করে।

ক্ষেত্র প্রাবল্য (Field Intensity) :

মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের সর্বত্র এর প্রভাব সমান নয়। মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের সকল বিন্দুতে একই বল ক্রিয়াশীল নয়। অর্থাৎ মহাকর্ষীয় প্রাবল্য ভিন্নতর হয়। মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে প্রাবল্য বা তীব্রতা নির্ণয় করতে ঐ বিন্দুতে একক ভরের একটি বস্তু বিবেচনা করা হয়। একক ভরের বস্তুটি যে বল লাভ করে তা দিয়েই মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের প্রাবল্য পরিমাপ করা হয়।

সংজ্ঞা : মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে 𝑚 ভরের বস্তুর উপর  𝐹  বল ক্রিয়া করলে ওই বিন্দুতে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের প্রাবল্য হবে, \vec{E}= \frac{\vec{F}}{m}

প্রাবল্যের মান ও দিক দুই-ই আছে। প্রাবল্যের অভিমুখই মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের অভিমুখ নির্দেশ করে। এর একক হলো NKg^{-1} ।

ভরবেগের সংরক্ষনশীলতা নীতি (Conversion of linear momentum) :

মনে করি কোনো একটি সরল রেখায়  m_1 এবং  m_2 ভরের দুটি বস্তুকণা যথাক্রমে \vec{u_1} ও \vec{u_2} বেগে একই দিকে চলছে। [চিত্র ৪.১৫] । এখানে \vec{u_1}>\vec{u_2} । কোনো এক সময়ে প্রথম বস্তুকণাটি পেছনের দিক হতে দ্বিতীয় বস্তুকণাটিকে ধাক্কা দিল এবং এর পর বস্তুকণা দুটি একই সরলরেখায় ও একই দিকে যথাক্রমে \vec{v_1} ও \vec{v_2} বেগে চলতে লাগল।

মনে করি ধাক্কাজনিত ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার কার্যকাল 𝑡 । তা হলে

বস্তুকণা দুটির আদি ভরবেগের সমষ্টি  =  m_1 \vec{u_1}+m_2 \vec{u_2}

বস্তুকণা দুটির শেষ ভরবেগের সমষ্টি  =  m_1 \vec{v_1}+m_2 \vec{v_2}  

ভরবেগের নিত্যতা সূত্রানুসারে প্রমাণ করতে হবে যে,  m_1 \vec{u_1}+m_2 \vec{u_2}= m_1 \vec{v_1}+m_2 \vec{v_2}

প্রথম বস্তুকণার ভরবেগের পরিবর্তনের হার =  \frac{m_1 \vec{v_1}-m_1 \vec{u_1}}{t} = প্রতিক্রিয়া বল =  \vec{F_1} = প্রথম বস্তুকণার উপর দ্বিতীয় বস্তুকণার প্রতিক্রিয়া বল।

দ্বিতীয় বস্তুকণার ভরবেগের পরিবর্তনের হার = \frac{m_2 \vec{v_2}-m_2 \vec{u_2}}{t} = ক্রিয়া বল = \vec{F_2} = দ্বিতীয় বস্তুকণার উপর প্রথম বস্তুকণার প্রযুক্ত বল।

কিন্তু বস্তুকণা দুটির ভরবেগের পরিবর্তনের হার (অর্থাৎ ক্রিয়া বল ও প্রতিক্রিয়া বল) সমান ও বিপরীত। অর্থাৎ

বা, \frac{m_2 \vec{v_2}-m_2 \vec{u_2}}{t} = - \frac{m_1 \vec{v_1}-m_1 \vec{u_1}}{t}

বা,  m_2 \vec{v_2}-m_2 \vec{u_2} = -m_1 \vec{v_1}+m_1 \vec{u_1}

বা,  m_1 \vec{u_1}+m_2 \vec{u_2} = m_1 \vec{v_1} + m_2 \vec{v_1} = একটি ধ্রুব ভেক্টর।

∴ বস্তুকণা দুটির আদি ভরবেগের সমষ্টি = বস্তুকণা দুটির শেষ ভরবেগের সমষ্টি।

অর্থাৎ \sum m \vec{v} ধ্রুব ভেক্টর। …………………………………………………………………….(4.13)

সুতরাং দুটি বস্তুর মধ্যে ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়াজনিত বলের ফলে মোট ভরবেগের কোনো পরিবর্তন হয় না, একটি বস্তু যে পরিমাণ ভরবেগ হারায়, অপরটি ঠিক সমপরিমাণ ভরবেগ লাভ করে অর্থাৎ ধাক্কার আগে ও পরে মোট ভরবেগ একই থাকে। অতএব ভরবেগের নিত্যতা সূত্রটি প্রমাণিত হলো।

নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র ও ভরবেগের নিত্যতা (Newton’s third law of motion and conversion of momentum)

একটি বস্তু যখন অন্য একটি বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করে তখন দ্বিতীয় বস্তুটিও প্রথম বস্তুর উপর একটি সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করে। প্রথম বস্তু দ্বিতীয় বস্তুটির উপর যে বল প্রয়োগ করে তাকে যদি ক্রিয়া (Action) ধরা হয়, তবে দ্বিতীয় বস্তু কর্তৃক প্রথম বস্তুটির উপর প্রযুক্ত বলকে প্রতিক্রিয়া (Reaction) বলা হয়।

দুটি বস্তু স্থির থাকুক বা গতিশীল হোক একে অপরকে স্পর্শ করুক বা পরস্পর থেকে দূরে থাকুক নিউটনের তৃতীয় সূত্র সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

প্রকৃতিতে বল সকল সময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে। প্রকৃতিতে একক বিচ্ছিন্ন বল বলে কিছু থাকতে পারে না। আমরা যখন বলি, একটি বল ক্রিয়া করছে আসলে দুটি ক্রিয়াশীল বলের মধ্যে একটির কথা বলি। এই দুটি বল একে অপরের পরিপূরক।

নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রটি হলো :

প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক ক্রিয়ামূলক বলের একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ামূলক বল রয়েছে। এই সূত্রকে বস্তুসমূহের মধ্যে বলের পারস্পরিক ক্রিয়ার সূত্র বলা যায়।

ব্যাখ্যা : নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে যদি একটি বস্তু 𝐴 অপর একটি বস্তু 𝐵 – এর উপর বল প্রয়োগ করে, তা হলে 𝐵 বস্তুও 𝐴 বস্তুর উপর সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করবে। [চিত্র]।

A -এর দ্বারা প্রযুক্ত বল হলো ক্রিয়া এবং B -এর দ্বারা প্রযুক্ত বল হলো প্রতিক্রিয়া। কাজেই ক্রিয়া \vec{F} ও প্রতিক্রিয়া \vec{R} হলে, \vec{F}=-\vec{R}

ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া দুটি ভিন্ন বস্তুর উপর প্রযুক্ত হয়। ক্রিয়া না থাকলে প্রতিক্রিয়াও থাকে না। ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া বলের কার্যকাল t হলে \vec{F} \times t = - \vec{R} \times t

অর্থাৎ, ক্রিয়াজনিত বলের ঘাত = – প্রতিক্রিয়াজনিত বলের ঘাত।

এটি স্থির বা গতিশীল যে-কোনো বস্তুর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।

টেবিলের উপর বই থাকা: 

একটি টেবিলের উপর বই রাখা হলে বই- এর ওজন টেবিলের ওপর লম্বভাবে চাপ প্রয়োগ করবে। এটিই ক্রিয়া। নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রানুসারে টেবিল বই-এর উপর উপরের দিকে সমপরিমাণ বল প্রয়োগ করবে। এটি হলো প্রতিক্রিয়া। ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া সমান ও বিপরীত হওয়ায় বইটি টেবিলের উপর সাম্যবস্থায় থাকে।

বন্দুক হতে গুলি ছোঁড়া :

যখন বন্দুক হতে শিকারী গুলি ছোঁড়ে তখন সে পেছন দিকে একটি ধাক্কা অনুভব করে। প্রাথমিক অবস্থায় বন্দুক ও গুলি উভয়েরই বেগ শূন্য থাকে । ফলে তাদের মিলিত ভরবেগ শূন্য থাকে। গুলি ছোঁড়া হলে তা সামনের দিকে একটি ভরবেগ প্রাপ্ত হয়। নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে বন্দুকটি গুলির সমান ও বিপরীত ভরবেগ প্রাপ্ত হবে অর্থাৎ বন্দুকটি সমান ভরবেগে পেছনের দিকে যাবে এবং শিকারী পেছন দিকে ধাক্কা অনুভব করবে।

নৌকা থেকে লাফ দেয়া :

যখন আরোহী নৌকা হতে নদীর পাড়ে লাফিয়ে পড়ে, তখন নৌকাটিকে পেছনে ছুটে যেতে দেখা যায়। আরোহী নৌকার উপর যে বল প্রয়োগ করে তাতে নৌকাটি পেছনে যায়। নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে নৌকাও আরোহীর উপর সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করে। ফলে আরোহী তীরে পৌছায়।

পায়ে হাঁটা :

আমরা যখন পায়ে হেঁটে চলি তখন সামনের পা মাটির উপর লম্বভাবে নিচের দিকে একটা বল প্রয়োগ করে। এর নাম ক্রিয়া। মাটিও সামনের পায়ের তলার উপর সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করে। এর নাম প্রতিক্রিয়া। ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া সমান এবং বিপরীত হওয়ায় সামনের পা স্থির থাকে। কিন্তু পেছনের পা মাটির উপর 𝑄 বিন্দুতে তির্যকভাবে  𝐹  পরিমাণ বল 𝑄𝑃 বরাবর ক্রিয়া করে। [ চিত্র ]।

এই বল আনুভূমিকের সাথে 𝜃 কোণ উৎপন্ন করে। নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে মাটি পায়ের তলার উপর সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে।

মনে করি প্রতিক্রিয়া বল  \vec{R} । ফলে  \vec{R}=-\vec{F} । প্রতিক্রিয়া বলের অনুভূমিক অংশক 𝑅 cos 𝜃  আমাদেরকে স্যামনের দিকে এগিয়ে নেয় এবং উলম্ব অংশক 𝑅 sin 𝜃  শরীরের ওজন বহন করতে সাহায্য করে।

কিন্তু পিচ্ছিল পথে চলা শক্ত হয়। কারণ পথ পিচ্ছিল হলে মাটির উপর যথেষ্ট বল প্রয়োগ করা পায়ের পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে পায়ের উপর মাটির প্রতিক্রিয়া বল এবং সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া বলের অনুভূমিক অংশক কম হয়। এজন্য পিচ্ছিল পথে চলা শক্ত হয়। মার্বেলের তৈরি মেঝে, বালুকাময় রাস্তায় হাঁটতে একই সমস্যা।

নিউটনের সূত্র ও ভরবেগের নিত্যতার গাণিতিক ব্যাখ্যা (Newtons law of motion and mathematical explanation of conversion of momentum)

সূত্র : যখন কোনো ব্যবস্থার উপর প্রযুক্ত বাহ্যিক বল শূন্য হয়, তখন ব্যবস্থাটির মোট ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে।

মনে করি, m_1 ও  m_2 ভরের দুটি বস্তু আছে। এই বস্তু সমষ্টির উপর বাহ্যিক কোনো বল প্রযুক্ত হচ্ছে না। অতএব বস্তু দুটি কেবলমাত্র পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বলের প্রভাব চলছে। যদি  m_1 এর উপর m_2 দ্বারা প্রযুক্ত বল \vec{F_1} হয় তাহলে নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী m_2 এর উপর m_1 এর সমান ও বিপরীতমুখী বল \vec{F_2} প্রয়োগ করবে অর্থাৎ

\vec{F_1} = -\vec{F_2} ……..[4.15]

ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বল একই সময় ধরে প্রযুক্ত হয়।

মনে করি m_1 ও m_2 ভরের বস্তু দুটির ভরবেগ যথাক্রমে \vec{P_1} ও \vec{P_2} । অতএব নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী

F_1=\frac{dP_1}{dt} এবং F_2=\frac{dP_2}{dt}

∴ সমীকরণ (4.15) থেকে পাই,

বা,  \frac{dP_1}{dt} + \frac{dP_2}{dt} = 0

বা, \frac{d}{dt}(P_1+P_2)=0 ∴ (P_1+P_2) = ধ্রুবক।

অর্থাৎ বাহ্যিক বল প্রযুক্ত না হলে ভরবেগ ধ্রুব থাকে। এটাই ভরবেগের সংরক্ষণ নীতি।

উপরের আলোচনা হতে আমরা যে সকল বিষয় জানতে পেরেছি তা হলো :

(২) এই নীতি যেকোনো ধরনের পারস্পরিক ক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

(১) নীতিটি প্রতিপাদন করার সময় ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বলের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়নি।

(৩) ভরবেগ একটি ভেক্টর রাশি। অর্থাৎ এই নীতি অনুযায়ী বিচ্ছিন্ন বস্তু সমষ্টির ভরবেগের পরিবর্তন কেবলমাত্র বাইরে থেকে বল প্রয়োগ দ্বারাই করা যায়।

(৪) এ নীতির সাহায্যে একাধিক বস্তুর মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া সম্পর্কে জটিল সমস্যার সমাধান করা যায়।

নতুন কারিকুলামে ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির পড়ালেখা নতুন উদ্যমে শুরু করতে টেন মিনিট স্কুল নতুনরূপে নিয়ে এসেছে ‘অনলাইন ব্যাচ ২০২৪’

  • ৬ষ্ঠ শ্রেণি- অনলাইন ব্যাচ ২০২৪
  • ৭ম শ্রেণি- অনলাইন ব্যাচ ২০২৪
  • ৮ম শ্রেণি- অনলাইন ব্যাচ ২০২৪
  • ৯ম শ্রেণি- অনলাইন ব্যাচ ২০২৪
  • HSC 25 অনলাইন ব্যাচ ২০২৪

এডমিশন পরীক্ষার্থীদের জন্য কোর্সসমূহ

  • ঢাবি-ক কোশ্চেন সলভ কোর্স
  • ভার্সিটি A Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স
  • ভার্সিটি B Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স
  • ভার্সিটি C Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স 

৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির ‘পোস্টার প্রেজেন্টেশনের দারুন সব টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স শিখতে এখনই ভিজিট করুন এই ফ্রি কোর্সটিতেঃ 

  • পোস্টার প্রেজেন্টেশন সুপার কোর্স

টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন:   www.10minuteschool.com

Other Topics

  • আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein 1879–1955)
  • পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের ক্রমবিকাশ এবং গুরুত্ব | Development and importance of Evolution and testing
  • ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক (Max Planck, 1858-1947)
  • এককের পদ্ধতি (System of Units) – বিস্তারিত
  • ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক (Max Planck, 1858-1947) :
  • মৌলিক ও লব্ধ এককের মাত্রা ও মাত্রা সমীকরণ | Dimensions and dimension equations of basic and derived units

Automated page speed optimizations for fast site performance

  • WB Primary TET 2022 Question PDF | প্রাথমিক টেট প্রশ্ন ২০২২
  • 15 গণিত পেডাগোজি প্রশ্ন উত্তর পর্ব ৫ FREE PDF

150 MCQ Primary TET Mock Test FREE PDF | প্রাথমিক টেট মক টেস্ট

  • শিশুশিক্ষা ও শিশু মনস্তত্ত্ব প্রশ্ন উত্তর PDF 15 MCQ FREE | পর্ব-৯
  • বাংলা শিক্ষণবিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 15 MCQ FREE PDF | SET 5

Students Care Cover Photo

Students Care :: স্টুডেন্টস কেয়ার

বাংলার বৃহত্তম শিক্ষামূলক ব্লগ পোর্টাল

নিউটনের তিনটি গতিসূত্র ও ব্যাখ্যা PDF (Newtons Laws of Motion)

নিউটনের তিনটি গতিসূত্র ও ব্যাখ্যা PDF (Newtons Laws of Motion)

নিউটনের তিনটি গতিসূত্র (newtons laws of motion).

নিউটনের তিনটি গতিসূত্র : কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে বস্তুটির স্থিতি ও গতি কেমন হবে — এইসব নানা প্রশ্নের সমাধান করতে গিয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন ( Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । সূত্রগুলো স্বতঃসিদ্ধ ( assumption ) — এদের কোন তত্ত্বগত ( Theoretical) প্রমাণ নেই । কিন্তু পদার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার  অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা । এই  কারণে নিউটনের গতিসূত্রের গুরুত্ব খুবই বেশি ।   তিনটি স্যার আইজাক নিউটন তার বিখ্যাত Philosophi æ Naturalis Principia Mathematica বইয়ে ৫ জুলাই ১৬৮৭ সালে প্রথম সংকলন করেন।

পরিচ্ছেদসমূহ

(১) নিউটনের প্রথম গতিসূত্র (Newton’s First Law of Motion):

বাইরে থেকে কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখায় বা সরল পথে চলতে থাকে।

(২) নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র (Newton’s Second Law of Motion):

কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে।

(৩) নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র (Newton’s Third Law of Motion):

প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে ।

♦ গতিসূত্রের জ্ঞাতব্য বিষয়

(১) প্রথম সূত্রের আলোচনা-.

প্রথম সূত্র থেকে আমরা দুটি বিষয় জানতে পারি ( i) পদার্থের জড়তা বা জাড্য এবং (ii) বলের সংজ্ঞা।

( i) পদার্থের জড়তা বা জাড্য – স্থির বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম স্থির থাকা এবং সচল অর্থাৎ গতিশীল বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম তার গতি বজায় থাকার প্রবণতা বা ধর্মকে বলা হয় জাড্য ( Inertia) বা জড়তা ধর্ম। স্থির বস্তু নিজে থেকে চলতে পারেনা এবং গতিশীল বস্তু নিজে থেকে থামতে পারেনা। পদার্থের জাড্যধর্ম দুই প্রকার – (i) স্থিতি জড়তা বা স্থিতিজাড্য ও (ii) গতি জড়তা বা গতিজাড্য।

( অ) স্থিতি জড়তা – স্থির বস্তুর চিরকাল স্থির থাকার প্রবণতাকে স্থিতিজড়তা বলে।

(আ) গতি জড়তা- গতিশীল বস্তুর সমগতিতে সরলরেখা বরাবর গতিশীল অবস্থা বজায় রাখার প্রবণতাকে গতি জড়তা বলে।

(২) দ্বিতীয় সূত্রের আলোচনা-

দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে জানা যায় দুটি বিষয়—   i) ভরবেগের ধারণা ও ii) বলের পরিমাণগত সংজ্ঞা।

i)ভরবেগ:  ভর ও বেগের সমন্বয়ে কোনাে গতিশীল বস্তুতে যে গতীয় ধর্মের উদ্ভব হয়, তাকেই ভরবেগ (Momentum) বলা হয়। এটি একটি ভেক্টর রাশি। এর অভিমুখ বেগের অভিমুখের সঙ্গে অভিন্ন।

ii)বলের পরিমাণগত সংজ্ঞা:   বস্তুর ভর ও তাতে সৃষ্ট ত্বরণের গুণফলই হল বলের পরিমাপ।

(৩) দ্বিতীয় সূত্রের আলোচনা-

  • ← ক্রোমোজোম কাকে বলে ? ক্রোমোজোমের প্রকারভেদ ও গঠন PDF
  • Ucchotoro bangla bakaron by Bamandev Chakrabarty free pdf →

newton biography in bengali

Students Care

স্টুডেন্টস কেয়ারে সকলকে স্বাগতম! বাংলা ভাষায় জ্ঞান চর্চার সমস্ত খবরা-খবরের একটি অনলাইন পোর্টাল "স্টুডেন্ট কেয়ার"। পশ্চিমবঙ্গের সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সমস্ত চাকুরী প্রার্থীদের জন্য, এছাড়াও সকল জ্ঞান পিপাসু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গদের সুবিধার্থে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।  

You May Also Like

Primary TET Mock Test

42+ মুঘল যুগের স্থাপত্য তালিকা PDF |List of the Mughal Architectures in Bengali Free PDF

Ucchotoro bangla bakaron

Ucchotoro bangla bakaron by Bamandev Chakrabarty free pdf

3 thoughts on “ নিউটনের তিনটি গতিসূত্র ও ব্যাখ্যা pdf (newtons laws of motion) ”.

Pingback: বিভিন্ন ভৌত রাশির একক তালিকা PDF | সি জি এস ও এস আই পদ্ধতি

Pingback: বল কাকে বলে PDF? বলের একক কি? বল কত প্রকার ও কি কি?

newton biography in bengali

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

By using this form you agree with the storage and handling of your data by this website. *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed .

 MacTutor

Isaac newton.

Threatening my father and mother Smith to burn them and the house over them.
... setting my heart on money, learning, and pleasure more than Thee ...
... changed his mind when he read that parallelograms upon the same base and between the same parallels are equal.
Thus Wallis doth it, but it may be done thus ...
[ Newton ] brought me the other day some papers, wherein he set down methods of calculating the dimensions of magnitudes like that of Mr Mercator concerning the hyperbola, but very general; as also of resolving equations; which I suppose will please you; and I shall send you them by the next.
... having no more acquaintance with him I did not think it becoming to urge him to communicate anything.
  • investigations of the colours of thin sheets
  • 'Newton's rings' and
  • diffraction of light.
... that the Attraction always is in a duplicate proportion to the Distance from the Center Reciprocall ...
After his 1679 correspondence with Hooke , Newton, by his own account, found a proof that Kepler's areal law was a consequence of centripetal forces, and he also showed that if the orbital curve is an ellipse under the action of central forces then the radial dependence of the force is inverse square with the distance from the centre.
... asked Newton what orbit a body followed under an inverse square force, and Newton replied immediately that it would be an ellipse. However in 'De Motu..' he only gave a proof of the converse theorem that if the orbit is an ellipse the force is inverse square. The proof that inverse square forces imply conic section orbits is sketched in Cor. 1 to Prop. 13 in Book 1 of the second and third editions of the 'Principia', but not in the first edition.
... all matter attracts all other matter with a force proportional to the product of their masses and inversely proportional to the square of the distance between them.
Be courageous and steady to the Laws and you cannot fail.
Newton was of the most fearful, cautious and suspicious temper that I ever knew.

References ( show )

  • I B Cohen, Biography in Dictionary of Scientific Biography ( New York 1970 - 1990) . See THIS LINK .
  • Biography in Encyclopaedia Britannica. http://www.britannica.com/biography/Isaac-Newton
  • E N da C Andrade, Isaac Newton ( New York, N. Y., 1950 , London, 1954) .
  • Z Bechler, Newton's physics and the conceptual structure of the scientific revolution ( Dordrecht, 1991) .
  • D Brewster, Memoirs of the Life, Writings, and Discoveries of Sir Isaac Newton (1855 , reprinted 1965) (2 volumes ) .
  • G Castelnuovo, Le origini del calcolo infinitesimale nell'era moderna, con scritti di Newton, Leibniz, Torricelli ( Milan, 1962) .
  • S Chandrasekhar, Newton's 'Principia' for the common reader ( New York, 1995) .
  • G E Christianson, In the Presence of the Creator: Isaac Newton and His Times (1984) .
  • I B Cohen, Introduction to Newton's 'Principia' ( Cambridge, Mass., 1971) .
  • F Dessauer, Weltfahrt der Erkenntnis, Leben und Werk Isaac Newtons ( Zürich, 1945) .
  • B J T Dobbs, and M C Jacob, Newton and the culture of Newtonianism. The Control of Nature ( Atlantic Highlands, NJ, 1995) .
  • J Fauvel ( ed. ) , Let Newton Be! ( New York, 1988) .
  • J O Fleckenstein, Die hermetische Tradition in der Kosmologie Newtons. Newton and the Enlightenment, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 461 - 470 (1979) .
  • F de Gandt, Force and geometry in Newton's 'Principia' ( Princeton, NJ, 1995) .
  • D Gjertsen, The Newton Handbook ( London, 1986) .
  • A R Hall, Isaac Newton, Adventurer in Thought ( Oxford, 1992) .
  • J W Herivel, The background to Newton's 'Principia' : A study of Newton's dynamical researches in the years 1664 - 84 ( Oxford, 1965) .
  • V Kartsev, Newton ( Russian ) , The Lives of Remarkable People. Biography Series ( Moscow, 1987) .
  • J E McGuire and M Tamny, Certain philosophical questions : Newton's Trinity notebook ( Cambridge-New York, 1983) .
  • D B Meli, Equivalence and priority : Newton versus Leibniz. Including Leibniz's unpublished manuscripts on the 'Principia' ( New York, 1993) .
  • F Rosenberger, Isaac Newton und seine Physikalischen Principien ( Darmstadt, 1987) .
  • H W Turnbull, The Mathematical Discoveries of Newton ( London, 1945) .
  • R S Westfall, Never at Rest: A Biography of Isaac Newton (1990) .
  • R S Westfall, The Life of Isaac Newton ( Cambridge, 1993) .
  • H Wussing, Newton, in H Wussing and W Arnold, Biographien bedeutender Mathematiker ( Berlin, 1983) .
  • J Agassi, The ideological import of Newton, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 419 - 430 .
  • E J Aiton, The solution of the inverse-problem of central forces in Newton's 'Principia', Arch. Internat. Hist. Sci. 38 (121) (1988) , 271 - 276 .
  • E J Aiton, The contributions of Isaac Newton, Johann Bernoulli and Jakob Hermann to the inverse problem of central forces, in Der Ausbau des Calculus durch Leibniz und die Brüder Bernoulli ( Wiesbaden, 1989) , 48 - 58 .
  • E J Aiton, The contributions of Newton, Bernoulli and Euler to the theory of the tides, Ann. of Sci. 11 (1956) , 206 - 223 .
  • E N da C Andrade, Newton and the science of his age, Proc. Roy. Soc. London. Ser. A 181 (1943) , 227 - 243 .
  • S Aoki, The moon-test in Newton's 'Principia' : accuracy of inverse-square law of universal gravitation, Arch. Hist. Exact Sci. 44 (2) (1992) , 147 - 190 .
  • V I Arnol'd, and V A Vasil'ev, Newton's 'Principia' read 300 years later, Notices Amer. Math. Soc. 36 (9) (1989) , 1148 - 1154 .
  • R T W Arthur, Newton's fluxions and equably flowing time, Stud. Hist. Philos. Sci. 26 (2) (1995) , 323 - 351 .
  • K A Baird, Some influences upon the young Isaac Newton, Notes and Records Roy. Soc. London 41 (2) (1987) , 169 - 179 .
  • M Bartolozzi and R Franci, A fragment of the history of algebra : Newton's rule on the number of imaginary roots in an algebraic equation ( Italian ) , Rend. Accad. Naz. Sci. XL Mem. Sci. Fis. Natur. (5) 14 (2 , II ) (1990) , 69 - 85 .
  • P K Basu, Newton's physics in the context of his works on chemistry and alchemy, Indian J. Hist. Sci. 26 (3) (1991) , 283 - 305 .
  • Z Bechler, Newton's ontology of the force of inertia, in The investigation of difficult things ( Cambridge, 1992) , 287 - 304 .
  • Z Bechler, Newton's law of forces which are inversely as the mass : a suggested interpretation of his later efforts to normalise a mechanistic model of optical dispersion, Centaurus 18 (1973 / 74) , 184 - 222 .
  • Z Bechler, 'A less agreeable matter' : the disagreeable case of Newton and achromatic refraction, British J. Hist. Sci. 8 (29) (1975) , 101 - 126 .
  • Z Bechler, Newton's search for a mechanistic model of colour dispersion : a suggested interpretation, Arch. History Exact Sci. 11 (1973 / 74) , 1 - 37 .
  • E T Bell, Newton after three centuries, Amer. Math. Monthly 49 (1942) , 553 - 575 .
  • D Bertoloni Meli, Public claims, private worries : Newton's 'Principia' and Leibniz's theory of planetary motion, Stud. Hist. Philos. Sci. 22 (3) (1991) , 415 - 449 .
  • T R Bingham, Newton and the development of the calculus, Pi Mu Epsilon J. 5 (1971) , 171 - 181 .
  • J Blaquier, Sir Isaac Newton : The man and the mathematician ( Spanish ) , Anales Acad. Nac. Ci. Ex. Fis. Nat. Buenos Aires 12 (1947) , 9 - 32 .
  • M Blay, Le traitement newtonien du mouvement des projectiles dans les milieux résistants, Rev. Histoire Sci. 40 (3 - 4) (1987) , 325 - 355 .
  • M Blay, and G Barthélemy, Changements de repères chez Newton : le problème des deux corps dans les 'Principia', Arch. Internat. Hist. Sci. 34 (112) (1984) , 68 - 98 .
  • C B Boyer, Newton as an originator of polar coördinates, Amer. Math. Monthly 56 (1949) , 73 - 78 .
  • J B Brackenridge, The critical role of curvature in Newton's developing dynamics, in The investigation of difficult things ( Cambridge, 1992) , 231 - 260 .
  • J B Brackenridge, Newton's unpublished dynamical principles : a study in simplicity, Ann. of Sci. 47 (1) (1990) , 3 - 31 .
  • J B Brackenridge, Newton's mature dynamics and the 'Principia' : a simplified solution to the Kepler problem, Historia Math. 16 (1) (1989) , 36 - 45 .
  • J B Brackenridge, Newton's mature dynamics : revolutionary or reactionary?, Ann. of Sci. 45 (5) (1988) , 451 - 476 .
  • W J Broad, Sir Isaac Newton : mad as a hatter, Science 213 (4514) (1981) , 1341 - 1344 .
  • P Casini, Newton's 'Principia' and the philosophers of the Enlightenment : Newton's 'Principia' and its legacy, Notes and Records Roy. Soc. London 42 (1) (1988) , 35 - 52 .
  • P Casini, Newton : the classical scholia, Hist. of Sci. 22 (55 , 1) (1984) , 1 - 58 .
  • M Cernohorsk'y, The rotation in Newton's wording of his first law of motion, in Isaac Newton's 'Philosophiae naturalis principia mathematica' ( Singapore, 1988) , 28 - 46 .
  • S Chandrasekhar, Newton and Michelangelo, Current Sci. 67 (7) (1994) , 497 - 499 .
  • S Chandrasekhar, On reading Newton's 'Principia' at age past eighty, Current Sci. 67 (7) (1994) , 495 - 496 .
  • S Chandrasekhar, Shakespeare, Newton and Beethoven or patterns of creativity, Current Sci. 70 (9) (1996) , 810 - 822 .
  • C A Chant, Isaac Newton : Born three hundred years ago, J. Roy. Astr. Soc. Canada 37 (1943) , 1 - 16 .
  • C Christensen, Newton's method for resolving affected equations, College Math. J. 27 (5) (1996) , 330 - 340 .
  • I B Cohen, Notes on Newton in the art and architecture of the Enlightenment, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 523 - 537 .
  • I B Cohen, Newton's 'System of the world' : some textual and bibliographical notes, Physis - Riv. Internaz. Storia Sci. 11 (1 - 4) (1969) , 152 - 166 .
  • I B Cohen, Isaac Newton, the calculus of variations, and the design of ships, in For Dirk Struik ( Dordrecht, 1974) , 169 - 187 .
  • I B Cohen, Newton's description of the reflecting telescope, Notes and Records Roy. Soc. London 47 (1) (1993) , 1 - 9 .
  • A Cook, Edmond Halley and Newton's 'Principia', Notes and Records Roy. Soc. London 45 (2) (1991) , 129 - 138 .
  • B P Copenhaver, Jewish theologies of space in the scientific revolution : Henry More, Joseph Raphson, Isaac Newton and their predecessors, Ann. of Sci. 37 (5) (1980) , 489 - 548 .
  • P Costabel, Les 'Principia' de Newton et leurs colonnes d'Hercule, Rev. Histoire Sci. 40 (3 - 4) (1987) , 251 - 271 .
  • G V Coyne, Newton's controversy with Leibniz over the invention of the calculus, in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 109 - 115 .
  • J T Cushing, Kepler's laws and universal gravitation in Newton's 'Principia', Amer. J. Phys. 50 (7) (1982) , 617 - 628 .
  • S D'Agostino, On the problem of the redundancy of absolute motion in Newton's 'Principia', Physis - Riv. Internaz. Storia Sci. 25 (1) (1983) , 167 - 169 .
  • S Débarbat, Newton, Halley et l'Observatoire de Paris, Rev. Histoire Sci. 39 (2) (1986) , 127 - 154 .
  • E Dellian, Newton, die Trägheitskraft und die absolute Bewegung, Philos. Natur. 26 (2) (1989) , 192 - 201 .
  • C Dilworth, Boyle, Hooke and Newton : some aspects of scientific collaboration, Rend. Accad. Naz. Sci. XL Mem. Sci. Fis. Natur. (5) 9 (1985) , 329 - 331 .
  • R Dimitri'c, Sir Isaac Newton, Math. Intelligencer 13 (1) (1991) , 61 - 65 .
  • B J T Dobbs, Newton as final cause and first mover, Isis 85 (4) (1994) , 633 - 643 .
  • M J Duck, Newton and Goethe on colour : physical and physiological considerations, Ann. of Sci. 45 (5) (1988) , 507 - 519 .
  • R Duda, Newton and the mathematical concept of space, in Isaac Newton's 'Philosophiae naturalis principia mathematica' ( Singapore, 1988) , 72 - 83 .
  • R Dugas, Le troisième centenaire de Newton, Revue Sci. 86 (1948) , 111 - 114 .
  • S J Dundon, Newton's 'mathematical way' in the 'De mundi systemate', Physis - Riv. Internaz. Storia Sci. 11 (1 - 4) (1969) , 195 - 204 .
  • A W F Edwards, Is the frontispiece of 'Gulliver's travels' a likeness of Newton?, Notes and Records Roy. Soc. London 50 (2) (1996) , 191 - 194 .
  • S B Engelsman, Orthogonaltrajektorien im Prioritätsstreit zwischen Leibniz und Newton, in 300 Jahre 'Nova methodus' von G W Leibniz (1684 - 1984) ( Wiesbaden, 1986) , 144 - 156 .
  • H Erlichson, Huygens and Newton on the Problem of Circular Motion, Centaurus 37 (1994) , 210 - 229 .
  • H Erlichson, The visualization of quadratures in the mystery of Corollary 3 to Proposition 41 of Newton's 'Principia', Historia Math. 21 (2) (1994) , 148 - 161 .
  • H Erlichson, Newton's polygon model and the second order fallacy, Centaurus 35 (3 - 4) (1992) , 243 - 258 .
  • H Erlichson, Newton and Hooke on centripetal force motion, Centaurus 35 (1) (1992) , 46 - 63 .
  • H Erlichson, Newton's first inverse solutions, Centaurus 34 (4) (1991) , 345 - 366 .
  • H Erlichson, Newton's solution to the equiangular spiral problem and a new solution using only the equiangular property, Historia Math. 19 (4) (1992) , 402 - 413 .
  • H Erlichson, How Newton went from a mathematical model to a physical model for the problem of a first power resistive force, Centaurus 34 (3) (1991) , 272 - 283 .
  • H Erlichson, Motive force and centripetal force in Newton's mechanics, Amer. J. Phys. 59 (9) (1991) , 842 - 849 .
  • H Erlichson, Newton's 1679 / 80 solution of the constant gravity problem, Amer. J. Phys. 59 (8) (1991) , 728 - 733 .
  • N Feather, Rutherford - Faraday - Newton, Notes and Records Roy. Soc. London 27 (1972) , 45 - 55 .
  • M Feingold, Newton, Leibniz, and Barrow too : an attempt at a reinterpretation, Isis 84 (2) (1993) , 310 - 338 .
  • M Fellgett, Some influences on the young Isaac Newton, Notes and Records Roy. Soc. London 42 (2) (1988) , 243 .
  • E A Fellmann, Über eine Bemerkung von G. W. Leibniz zu einem Theorem in Newtons 'Principia Mathematica', Historia Math. 5 (3) (1978) , 267 - 273 .
  • E A Fellmann, Newtons 'Principia', Jber. Deutsch. Math.-Verein. 77 (3) (1975 / 76) , 107 - 137 .
  • A Ferguson, Newton and the 'Principia', Philos. Mag. (7) 33 (1942) , 871 - 888 .
  • C Ferrini, On Newton's demonstration of Kepler's second law in Hegel's 'De orbitis planetarum' (1801) , Philos. Natur. 31 (1) (1994) , 150 - 170 .
  • M Fierz and M Fierz, Zur Genauigkeit von Newtons Messung seiner Interferenzringe, Helv. Phys. Acta 67 (8) (1994) , 923 - 929 .
  • K Figala, J Harrison and U Petzold, 'De scriptoribus chemicis' : sources for the establishment of Isaac Newton's ( al ) chemical library, in The investigation of difficult things ( Cambridge, 1992) , 135 - 179 .
  • S R Filonovich, Experiment in I Newton's 'Principia' ( Russian ) , Voprosy Istor. Estestvoznan. i Tekhn. (4) (1987) , 57 - 67 .
  • G Findlay Shirras, Newton, a study of a master mind, Arch. Internat. Hist. Sci. ( N.S. ) 4 (1951) , 897 - 914 .
  • M A Finocchiaro, Newton's third rule of philosophizing : a rule for logic in historiography, Isis 65 (1974) , 66 - 73 .
  • E G Forbes, Newton's science and the Newtonian philosophy, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 413 - 418 .
  • A Franklin and C Howson, Newton and Kepler, a Bayesian approach, Stud. Hist. Philos. Sci. 16 (4) (1985) , 379 - 385 .
  • H C Freiesleben, Newton's quadrant for navigation, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 515 - 522 .
  • A Gabbey, Newton's 'Mathematical principles of natural philosophy' : a treatise on 'mechanics'?, in The investigation of difficult things ( Cambridge, 1992) , 305 - 322 .
  • M Gagnon, Les arguments de Newton concernant l'existence du mouvement, de l'espace et du temps absolus, Dialogue 25 (4) (1986) , 629 - 662 .
  • M Galuzzi, Some considerations about motion in a resisting medium in Newton's 'Principia', in Conference on the History of Mathematics ( Rende, 1991) , 169 - 189 .
  • F de Gandt, Le style mathématique des 'Principia' de Newton, Études sur l'histoire du calcul infinitésimal, Rev. Histoire Sci. 39 (3) (1986) , 195 - 222 .
  • F de Gandt, The mathematical style of Newton's 'Principia', Mathesis. Mathesis 6 (2) (1990) , 163 - 189 .
  • J Gani, Newton on 'a question touching ye different odds upon certain given chances upon dice', Math. Sci. 7 (1) (1982) , 61 - 66 .
  • J Gascoigne, The universities and the scientific revolution : the case of Newton and Restoration Cambridge, Hist. of Sci. 23 (62 , 4) (1985) , 391 - 434 .
  • I A Gerasimov, Newton and celestial mechanics ( Russian ) , Istor.-Astronom. Issled. 20 (1988) , 39 - 55 .
  • E Giusti, A comparison of infinitesimal calculus in Leibniz and Newton ( Italian ) , Rend. Sem. Mat. Univ. Politec. Torino 46 (1) (1988) , 1 - 29 .
  • J L Greenberg, Isaac Newton and the problem of the Earth's shape, Arch. Hist. Exact Sci. 49 (4) (1996) , 371 - 391 .
  • J L Greenberg, Isaac Newton et la théorie de la figure de la Terre, Rev. Histoire Sci. 40 (3 - 4) (1987) , 357 - 366 .
  • A T Grigor'yan, Isaac Newton's work of genius ( Russian ) , Studies in the history of physics and mechanics 1987 'Nauka' ( Moscow, 1987) , 177 - 191 ; 245 - 246 .
  • A T Grigor'yan and B G Kuznetsov, On the 250 th anniversary of the death of Newton ( Russian ) , Organon 14 (1978) , 263 - 274 .
  • U Grigull, Das Newtonsche Abkühlungsgesetz : Bemerkungen zu einer Arbeit von Isaac Newton aus dem Jahre 1701 , Physis - Riv. Internaz. Storia Sci. 20 (1 - 4) (1978) , 213 - 235 .
  • E Grosholz, Some uses of proportion in Newton's 'Principia', Book I : a case study in applied mathematics, Stud. Hist. Philos. Sci. 18 (2) (1987) , 209 - 220 .
  • H Guerlac, 'Newton's mathematical way' : another look, British J. Hist. Sci. 17 (55 , 1) (1984) , 61 - 64 .
  • H Guerlac, Can we date Newton's early optical experiments?, Isis 74 (271) (1983) , 74 - 80 .
  • Z Hajduk, Isaac Newton's philosophy of nature, in Isaac Newton's 'Philosophiae naturalis principia mathematica' ( Singapore, 1988) , 96 - 112 .
  • A R Hall, Newton and the absolutes : sources, in The investigation of difficult things ( Cambridge, 1992) , 261 - 285 .
  • A R Hall, Beyond the fringe : diffraction as seen by Grimaldi, Fabri, Hooke and Newton, Notes and Records Roy. Soc. London 44 (1) (1990) , 13 - 23 .
  • A R Hall, Further Newton correspondence, Notes and Records Roy. Soc. London 37 (1) (1982) , 7 - 34 .
  • M B Hall, Newton and his theory of matter in the eighteenth century, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 453 - 459 .
  • A R Hall, Newton in France : a new view, Hist. of Sci. 13 (4) (1975) , 233 - 250 .
  • A R Hall, Newton and his editors, Notes and Records Roy. Soc. London 29 (1974) , 29 - 52 .
  • A R Hall, John Collins on Newton's telescope, Notes and Records Roy. Soc. London 49 (1) (1995) , 71 - 78 .
  • F Hammer, Newtons Bedeutung für den Dialog zwischen Naturwissenschaft und Theologie, Philos. Natur. 20 (1) (1983) , 3 - 13 .
  • P M Harman, Newton to Maxwell : the 'Principia' and British physics. Newton's 'Principia' and its legacy, Notes and Records Roy. Soc. London 42 (1) (1988) , 75 - 96 .
  • J L Hawes, Newton's revival of the aether hypothesis and the explanation of gravitational attraction, Notes and Records Roy. Soc. London 23 (1968) , 200 - 212 .
  • S W Hawking, Newton's 'Principia', in Three hundred years of gravitation ( Cambridge, 1987) , 1 - 4 .
  • A Hayli and Ph Kerspern, Le grand tournant de la pensée newtonienne de 1688 - 1690 , Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 511 - 514 .
  • J Hendry, Newton's theory of colour, Centaurus 23 (3) (1979 / 80) , 230 - 251 .
  • J W Herivel, Newtonian studies. III : The originals of the two propositions discovered by Newton in December 1679 ?, Arch. Internat. Histoire Sci. 14 (1961) , 23 - 33 .
  • J W Herivel, Sur les premières recherches de Newton en dynamique, Rev. Histoire Sci. Appl. 15 (1962) , 105 - 140 .
  • J E Hofmann, Der junge Newton als Mathematiker (1665 - 1675) , Math.-Phys. Semesterber. 2 (1951) , 45 - 70 .
  • S H Hollingdale, Towards the tercentenary of Newton's 'Principia', Bull. Inst. Math. Appl. 18 (9 - 10) (1982) , 178 - 183 .
  • S H Hollingdale, On reading Newton's 'Opticks', Bull. Inst. Math. Appl. 17 (1) (1981) , 2 - 6 .
  • S H Hollingdale, The apotheosis of Isaac Newton, Bull. Inst. Math. Appl. 14 (8 - 9) (1978) , 194 - 195 .
  • M A Hoskin, Newton and Lambert, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 483 - 484 .
  • M Hoskin, Newton and the beginnings of stellar astronomy, in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 55 - 63 .
  • R C Hovis, What can the history of mathematics learn from philosophy? A case study in Newton's presentation of the calculus, Philos. Math. (2) 4 (1) (1989) , 35 - 57 .
  • M Hughes, Newton, Hermes and Berkeley, British J. Philos. Sci. 43 (1) (1992) , 1 - 19 .
  • D W Hutchings, Isaac Newton, 1642 - 1727 , in Late seventeenth century scientists ( Oxford, 1969) , 158 - 183 .
  • M de Icaza Herrera, Galileo, Bernoulli, Leibniz and Newton around the brachistochrone problem, Rev. Mexicana Fis. 40 (3) (1994) , 459 - 475 .
  • T Ishigaki, Newton's 'Principia' from a logical point of view, Ann. Japan Assoc. Philos. Sci. 8 (4) (1994) , 221 - 236 .
  • A Yu Ishlinskii, Inertia forces in Newton's world ( Russian ) , Priroda (3) (1989) , 66 - 74 .
  • A Jacob, The metaphysical systems of Henry More and Isaac Newton, Philos. Natur. 29 (1) (1992) , 69 - 93 .
  • W B Joyce and A Joyce, Descartes, Newton, and Snell's law, J. Opt. Soc. Amer. 66 (1) (1976) , 1 - 8 .
  • R Kargon, Newton, Barrow and the hypothetical physics, Centaurus 11 (1) (1965 / 66) , 46 - 56 .
  • P Kerszberg, The cosmological question in Newton's science, Osiris (2) 2 (1986) , 69 - 106 .
  • M Keynes, The personality of Isaac Newton, Notes and Records of the Royal Society of London 49 (1995) , 1 - 56 .
  • P V Kharlamov, The concept of force in Newton's mechanics ( Russian ) , Mekh. Tverd. Tela 20 (1988) , 46 - 67 ; 112 .
  • C W Kilmister, The history of Newton's laws, Bull. Inst. Math. Appl. 17 (8 - 9) (1981) , 173 - 176 .
  • V S Kirsanov, Newton and his epoch ( Russian ) , Voprosy Istor. Estestvoznan. i Tekhn. (1) (1993) , 16 - 18 .
  • V S Kirsanov, The correspondence between Isaac Newton and Robert Hooke : 1679 - 80 ( Russian ) , Voprosy Istor. Estestvoznan. i Tekhn. (4) (1996) , 3 - 39 ; 173 .
  • V S I Kirsanov, Newton's early ideas about gravity (1665 - 1669) ( Russian ) , Voprosy Istor. Estestvoznan. i Tekhn. (2) (1993) , 42 - 52 ; 172 .
  • P Kitcher, Fluxions, limits, and infinite littlenesse : A study of Newton's presentation of the calculus, Isis 64 (221) (1973) , 33 - 49 .
  • O Knudsen, A note of Newton's concept of force, Centaurus 9 (1963 / 1964) , 266 - 271 .
  • N Kollerstrom, Newton's two 'moon-tests', British J. Hist. Sci. 24 (82 , 3) (1991) , 369 - 372 .
  • N Kollerstrom and B D Yallop, Flamsteed's lunar data, 1692 - 95 , sent to Newton, J. Hist. Astronom. 26 (3) (1995) , 237 - 246 .
  • A Koyré, Pour une édition critique des oeuvres de Newton, Rev. Hist. Sci. Appl. 8 (1955) , 19 - 37 .
  • F D Kramar, Questions of the foundations of analysis in the works of Wallis and Newton ( Russian ) , Trudy Sem. MGU Istor. Mat. Istor.-Mat. Issledov. 1950 (3) (1950) , 486 - 508 .
  • T M Kuk, On the question of Newton's physical concept of force ( Russian ) , Sketches on the history of mathematical physics 'Naukova Dumka' ( Kiev, 1985) , 80 - 83 ; 185 .
  • L L Kul'vetsas, The content of the concept of force in Newton's mechanics ( Russian ) , in Studies in the history of physics and mechanics, 1990 'Nauka' ( Moscow, 1990) , 131 - 149 .
  • B G Kuznecov, The teaching of Newton on relativity and absolute motion ( Russian ) , Izvestiya Akad. Nauk SSSR. Ser. Istor. Filos. 5 (1948) , 149 - 166 .
  • T Lai, Did Newton renounce infinitesimals?, Historia Math. 2 (1975) , 127 - 136 .
  • V P Lishevskii, The genius of the natural sciences ( on the occasion of the 350 th anniversary of the birth of Isaac Newton ) ( Russian ) , Vestnik Ross. Akad. Nauk 63 (1) (1993) , 33 - 37 .
  • J E Littlewood, Newton and the attraction of a sphere, Math. Gaz. 32 (1948) , 179 - 181 .
  • J A Lohne, Hooke versus Newton : An analysis of the documents in the case on free fall and planetary motion, Centaurus 7 (1960) , 6 - 52 .
  • J A Lohne, Newton's table of refractive powers. Origins, accuracy, and influence, Sudhoffs Arch. 61 (3) (1977) , 229 - 247 .
  • J A Lohne, Fermat, Newton, Leibniz und das anaklastische Problem, Nordisk Mat. Tidskr. 14 (1966) , 5 - 25 .
  • J Marek, Newton's report 'New theory about light and colours' and its relation to results of his predecessors, Physis - Riv. Internaz. Storia Sci. 11 (1 - 4) (1969) , 390 - 407 .
  • J E McGuire, Newton on place, time, and God : an unpublished source, British J. Hist. Sci. 11 (38 , 2) (1978) , 114 - 129 .
  • J E McGuire and M Tamny, Newton's astronomical apprenticeship : notes of 1664 / 5 , Isis 76 (283) (1985) , 349 - 365 .
  • F A Medvedev, Horn angles in the works of I Newton ( Russian ) , Istor.-Mat. Issled. 31 (1989) , 18 - 37 .
  • A Michalik, Mathematical structure of nature in Newton's 'Definitions and Scholium', in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 265 - 269 .
  • F Mignard, The theory of the figure of the Earth according to Newton and Huygens, Vistas Astronom. 30 (3 - 4) (1987) , 291 - 311 .
  • M Miller, Newtons Differenzenmethode, Wiss. Z. Hochsch. Verkehrswes. Dresden 2 (3) (1954) , 1 - 13 .
  • M Miller, Isaac Newton : Über die Analysis mit Hilfe unendlicher Reihen, Wiss. Z. Hochsch. Verkehrswes. Dresden 2 (2) (1954) , 1 - 16 .
  • M Miller, Newton, Aufzahlung der Linien dritter Ordnung, Wiss. Z. Hochsch. Verkehrswes. Dresden 1 (1) (1953) , 5 - 32 .
  • A A Mills, Newton's water clocks and the fluid mechanics of clepsydrae, Notes and Records Roy. Soc. London 37 (1) (1982) , 35 - 61 .
  • A A Mills, Newton's prisms and his experiments on the spectrum, Notes and Records Roy. Soc. London 36 (1) (1981 / 82) , 13 - 36 .
  • J D Moss, Newton and the Jesuits in the 'Philosophical transactions', in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 117 - 134 .
  • H Nakajima, Two kinds of modification theory of light : some new observations on the Newton-Hooke controversy of 1672 concerning the nature of light, Ann. of Sci. 41 (3) (1984) , 261 - 278 .
  • M Nauenberg, Huygens and Newton on Curvature and its applications to Dynamics, De zeventiende eeuw, jaargang 12 (1) (1996) , 215 - 234 .
  • M Nauenberg, Newton's early computational method, Archive for the History of the Exact Science 46 (3) (1994) , 221 - 252 .
  • M Nauenberg, Newton's Principia and Inverse square orbits, The College Mathematics Journal 25 (1994) , 213 - 222 .
  • M Nauenberg, Newton's early computational method for dynamics, Arch. Hist. Exact Sci. 46 (3) (1994) , 221 - 252 .
  • T Needham, Newton and the transmutation of force, Amer. Math. Monthly 100 (2) (1993) , 119 - 137 .
  • J M Nicholas, Newton's extremal second law, Centaurus 22 (2) (1978 / 79) , 108 - 130 .
  • C T O'Sullivan, Newton's laws of motion : some interpretations of the formalism, Amer. J. Phys. 48 (2) (1980) , 131 - 133 .
  • M Panza, Eliminating time : Newton, Lagrange and the inverse problem of resisting motion ( Italian ) , in Conference on the History of Mathematics ( Rende, 1991) , 487 - 537 .
  • J Peiffer, Leibniz, Newton et leurs disciples, Rev. Histoire Sci. 42 (3) (1989) , 303 - 312 .
  • A Pérez de Laborda, Newtons Fluxionsrechnung im Vergleich zu Leibniz' Infinitesimalkalkül, in 300 Jahre 'Nova methodus' von G W Leibniz (1684 - 1984) ( Wiesbaden, 1986) , 239 - 257 .
  • S Pierson, Two mathematics, two Gods : Newton and the second law, Perspect. Sci. 2 (2) (1994) , 231 - 253 .
  • B Pourciau, Reading the master : Newton and the birth of celestial mechanics, Amer. Math. Monthly 104 (1) (1997) , 1 - 19 .
  • B Pourciau, Newton's solution of the one-body problem, Arch. Hist. Exact Sci. 44 (2) (1992) , 125 - 146 .
  • B H Pourciau, On Newton's proof that inverse-square orbits must be conics, Ann. of Sci. 48 (2) (1991) , 159 - 172 .
  • A Prince, The phenomenalism of Newton and Boscovich : a comparative study, Synth. Philos. 4 (2) (1989) , 591 - 618 .
  • T Retnadevi, The life and contributions of a mathematician whom I respect - Sir Isaac Newton, Menemui Mat. 5 (1) (1983) , 25 - 33 .
  • V F Rickey, Isaac Newton : man, myth and mathematics, Mathesis. Mathesis 6 (2) (1990) , 119 - 162 .
  • V F Rickey, Isaac Newton : man, myth, and mathematics, College Math. J. 18 (5) (1987) , 362 - 389 .
  • G A J Rogers, The system of Locke and Newton, in Contemporary Newtonian research ( Dordrecht-Boston, Mass., 1982) , 215 - 238 .
  • G A J Rogers, Locke, Newton and the Enlightenment, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 471 - 476 .
  • L Rosenfeld, Newton and the law of gravitation, Arch. History Exact Sci. 2 (1964 / 1965) , 365 - 386 .
  • R Rynasiewicz, By their properties, causes and effects : Newton's scholium on time, space, place and motion. II. The context, Stud. Hist. Philos. Sci. 26 (2) (1995) , 295 - 321 .
  • R Rynasiewicz, By their properties, causes and effects : Newton's scholium on time, space, place and motion. I. The text, Stud. Hist. Philos. Sci. 26 (1) (1995) , 133 - 153 .
  • C J Scriba, Erträge der Newton - Forschung, Sudhoffs Arch. 79 (2) (1995) , 150 - 164 .
  • A E Shapiro, Beyond the dating game : watermark clusters and the composition of Newton's ' Opticks', in The investigation of difficult things ( Cambridge, 1992) , 181 - 227 .
  • A E Shapiro, Huygens' 'Traité de la lumière' and Newton's 'Opticks' : pursuing and eschewing hypotheses, Notes and Records Roy. Soc. London 43 (2) (1989) , 223 - 247 .
  • A E Shapiro, The evolving structure of Newton's theory of white light and color, Isis 71 (257) (1980) , 211 - 235 .
  • A E Shapiro, Newton's 'achromatic' dispersion law : theoretical background and experimental evidence, Arch. Hist. Exact Sci. 21 (2) (1979 / 80) , 91 - 128 .
  • S Di Sieno and M Galuzzi, Section V of the first book of the 'Principia'. Newton and the 'problem of Pappus' ( Italian ) , Arch. Internat. Hist. Sci. 39 (122) (1989) , 51 - 68 .
  • D L Simms and P L Hinkley, Brighter than how many suns? Sir Isaac Newton's burning mirror, Notes and Records Roy. Soc. London 43 (1) (1989) , 31 - 51 .
  • R Sokolowski, Idealization in Newton's physics, in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 65 - 72 .
  • G Solinas, Newton and Buffon. Newton and the Enlightenment, Vistas Astronom. 22 (4) (1978) , 431 - 439 .
  • S K Stein, Exactly how did Newton deal with his planets?, Math. Intelligencer 18 (2) (1996) , 6 - 11 .
  • F Steinle, Was ist Masse? Newtons Begriff der Materiemenge, Philos. Natur. 29 (1) (1992) , 94 - 117 .
  • L Stewart, Seeing through the scholium : religion and reading Newton in the eighteenth century, Hist. Sci. 34 (104 , 2) (1996) , 123 - 165 .
  • E W Strong, Newton's 'mathematical way', J. Hist. Ideas 12 (1951) , 90 - 110 .
  • J Such, Newton's fields of study and methodological principia, in Isaac Newton's 'Philosophiae naturalis principia mathematica' ( Singapore, 1988) , 113 - 125 .
  • J Sysak, Coleridge's construction of Newton, Ann. of Sci. 50 (1) (1993) , 59 - 81 .
  • V Szebehely, Sir Isaac Newton and modern celestial mechanics, Acad. Roy. Belg. Bull. Cl. Sci. (5) 72 (4) (1986) , 220 - 228 .
  • F J Tipler, The sensorium of God : Newton and absolute space, in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 215 - 228 .
  • D Topper, Newton on the number of colours in the spectrum, Stud. Hist. Philos. Sci. 21 (2) (1990) , 269 - 279 .
  • B Tucha'nska, Newton's discovery of gravity, in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 45 - 53 .
  • I A Tyulina, On the foundations of Newtonian mechanics ( on the 300 th anniversary of Newton's 'Principia' ) ( Russian ) , Istor. Metodol. Estestv. Nauk 36 (1989) , 184 - 196 .
  • S R Valluri, C Wilson and W Harper, Newton's apsidal precession theorem and eccentric orbits, J. Hist. Astronom. 28 (1) (1997) , 13 - 27 .
  • A C S van Heel, Newton's work on geometrical optical aberrations, Nature 171 (1953) , 305 - 306 .
  • S I Vavilov, I Newton's 'Lectures on Optics' ( Russian ) , Akad. Nauk SSSR. Trudy Inst. Istorii Estestvoznaniya 1 (1947) , 315 - 326 .
  • C Vilain, La proportionnalité de la masse et du poids dans la dynamique newtonienne, Rev. Histoire Sci. 47 (3 - 4) (1994) , 435 - 473 .
  • C Vilain, Newton et le modèle mécaniste de la réfraction, Rev. Histoire Sci. 40 (3 - 4) (1987) , 311 - 324 .
  • V Vita, The theory of conics in Newton's 'Principia' ( Italian ) , Archimede 30 (3) (1978) , 130 - 141 .
  • Th von Kármán, Isaac Newton and aerodynamics, J. Aeronaut. Sci. 9 (1942) , 521 - 522 .
  • O U Vonwiller, Galileo and Newton : their times and ours, J. Proc. Roy. Soc. New South Wales 76 (1943) , 316 - 328 .
  • C B Waff, Isaac Newton, the motion of the lunar apogee, and the establishment of the inverse square law, Vistas Astronom. 20 (1 - 2) (1976) , 99 - 103 .
  • W A Wallace, Newton's early writings : beginnings of a new direction, in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 23 - 44 .
  • R Weinstock, Newton's 'Principia' and inverse-square orbits : the flaw reexamined, Historia Math. 19 (1) (1992) , 60 - 70 .
  • R Weinstock, Long-buried dismantling of a centuries-old myth : Newton's 'Principia' and inverse-square orbits, Amer. J. Phys. 57 (9) (1989) , 846 - 849 .
  • R Weinstock, Newton's 'Principia' and the external gravitational field of a spherically symmetric mass distribution, Amer. J. Phys. 52 (10) (1984) , 883 - 890 .
  • R Weinstock, Dismantling a centuries-old myth : Newton's 'Principia' and inverse-square orbits, Amer. J. Phys. 50 (7) (1982) , 610 - 617 .
  • R S Westfall, Technical Newton : Reviews of five books on Newton's dynamics, Isis 87 (4) (1996) , 701 - 706 .
  • R S Westfall, The achievement of Isaac Newton : an essay on the occasion of the three hundredth anniversary of the 'Principia', Math. Intelligencer 9 (4) (1987) , 45 - 49 .
  • R S Westfall, Newton and the acceleration of gravity, Arch. Hist. Exact Sci. 35 (3) (1986) , 255 - 272 .
  • R S Westfall, Newton's marvelous years of discovery and their aftermath : myth versus manuscript, Isis 71 (256) (1980) , 109 - 121 .
  • R S Westfall, A note on Newton's demonstration of motion in ellipses, Arch. Internat. Histoire Sci. 22 (86 - 87) (1969) , 51 - 60 .
  • R S Westfall, Huygens' rings and Newton's rings : Periodicity and seventeenth century optics, Ratio 10 (1968) , 64 - 77 .
  • D T Whiteside, The mathematical principles underlying Newton's Principia, Journal for the History of Astronomy 1 (1970) , 118 - 119 .
  • D T Whiteside, How forceful has a force proof to be? Newton's 'Principia', Book 1 : Corollary 1 to Propositions 11 - 13 , Physis Riv. Internaz. Storia Sci. ( N.S. ) 28 (3) (1991) , 727 - 749 .
  • D T Whiteside, Newton the mathematician, in Contemporary Newtonian research ( Dordrecht-Boston, Mass., 1982) , 109 - 127 .
  • D T Whiteside, Kepler, Newton and Flamsteed on refraction through a 'regular aire' : the mathematical and the practical, Centaurus 24 (1980) , 288 - 315 .
  • D T Whiteside, Newton and dynamics, Bull. Inst. Math. Appl. 13 (9 - 10) (1977) , 214 - 220 .
  • D T Whiteside, Newton's lunar theory : from high hope to disenchantment, Vistas Astronom. 19 (4) (1975 / 76) , 317 - 328 .
  • D T Whiteside, The mathematical principles underlying Newton's 'Principia mathematica', J. Hist. Astronom. 1 (2) (1970) , 116 - 138 .
  • D T Whiteside, Before the 'Principia' : the maturing of Newton's thoughts on dynamical astronomy, 1664 - 1684 , J. Hist. Astronom. 1 (1) (1970) , 5 - 19 .
  • G J Whitrow, Newton's role in the history of mathematics, Notes and Records Roy. Soc. London 43 (1) (1989) , 71 - 92 .
  • E T Whittaker, Aristotle, Newton, Einstein, Proc. Roy. Soc. Edinburgh Sect. A. 61 (1942) , 231 - 246 .
  • E T Whittaker, Aristotle, Newton, Einstein, Philos. Mag. (7) 34 (1943) , 266 - 280 .
  • A J Wojtcuk, Newton's childhood, in Newton and the new direction in science ( Vatican City, 1988) , 261 - 264 .
  • H Wussing, Isaac Newton - Leben und Werk, NTM Schr. Geschichte Natur. Tech. Medizin 15 (1) (1978) , 71 - 80 .
  • I M Yaglom, Why was higher mathematics simultaneously discovered by Newton and Leibniz? ( Russian ) , in Number and thought 6 ( Moscow, 1983) , 99 - 125 .
  • K N Yan, A re-examination into Newton's definition of mass and Mach's criticism, Historia Sci. 40 (1990) , 29 - 40 .
  • K N Yan, On Isaac Newton's ideas of gravitation and God, Historia Sci. 34 (1988) , 43 - 56 .
  • A P Youschkevitch, Newton and the mathematical natural sciences ( on the 300 th anniversary of the 'Principia' ) ( Russian ) , Mat. v Shkole (1) (1988) , 64 - 67 .
  • A P Youschkevitch, Comparaison des conceptions de Leibniz et de Newton sur le calcul infinitésimal, in Leibniz in Paris (1672 - 1676) ( Wiesbaden, 1978) , 69 - 80 .
  • M Yurkina, Newton's 'Principia' and the origin of the modern theory of the shape of the Earth ( Russian ) , Istor.-Astronom. Issled. 20 (1988) , 56 - 63 .

Additional Resources ( show )

Other pages about Isaac Newton:

  • John Maynard Keynes' Newton the Man
  • Newton's Arian beliefs
  • Flamsteed v Newton
  • Charles Bossut on Leibniz and Newton
  • Newton's Principia Preface
  • John Collins meets Isaac Newton
  • Julian and Gregorian calendars
  • Newton-Raphson method
  • Woolsthorpe Manor
  • The title page of Philosophiae naturalis principia mathematica ( The Principia 1687)
  • The title page of Analysis per quantitatum series fluxiones (1711)
  • Isaac Newton by his contemporaries
  • Multiple entries in The Mathematical Gazetteer of the British Isles ,
  • Astronomy: The Reaches of the Milky Way
  • Astronomy: The Dynamics of the Solar System
  • Henry Taylor on Isaac Newton
  • Miller's postage stamps
  • Heinz Klaus Strick biography

Other websites about Isaac Newton:

  • Dictionary of Scientific Biography
  • Dictionary of National Biography
  • Encyclopaedia Britannica
  • The Newton Project ( UK )
  • The Galileo Project
  • G Don Allen
  • Sci Hi blog
  • A Google doodle
  • Kevin Brown ( More about Newton's birthday )
  • Mathematical Genealogy Project
  • MathSciNet Author profile

Honours ( show )

Honours awarded to Isaac Newton

  • Lucasian Professor 1669
  • Fellow of the Royal Society 1672
  • President of the Royal Society 1703 - 1727
  • Lunar features Crater Newton
  • Paris street names Rue Newton (16 th Arrondissement )
  • Popular biographies list Number 3
  • Google doodle 2010

Cross-references ( show )

  • History Topics: A brief history of cosmology
  • History Topics: A chronology of π
  • History Topics: A history of the calculus
  • History Topics: A history of time: 20 th century time
  • History Topics: A history of time: Classical time
  • History Topics: An overview of Indian mathematics
  • History Topics: An overview of the history of mathematics
  • History Topics: Christianity and the Mathematical Sciences - the Heliocentric Hypothesis
  • History Topics: Elliptic functions and integrals
  • History Topics: English attack on the Longitude Problem
  • History Topics: Fermat's last theorem
  • History Topics: General relativity
  • History Topics: Greek astronomy
  • History Topics: Infinity
  • History Topics: Light through the ages: Ancient Greece to Maxwell
  • History Topics: London Coffee houses and mathematics
  • History Topics: Longitude and the Académie Royale
  • History Topics: Mathematical discovery of planets
  • History Topics: Mathematics and Architecture
  • History Topics: Mathematics and the physical world
  • History Topics: Mathematics in St Andrews to 1700
  • History Topics: Newton's bucket
  • History Topics: Orbits and gravitation
  • History Topics: Overview of Chinese mathematics
  • History Topics: Science in the 17 th century: From Europe to St Andrews
  • History Topics: Special relativity
  • History Topics: The Bakhshali manuscript
  • History Topics: The Berlin Academy and forgery
  • History Topics: The brachistochrone problem
  • History Topics: The development of the 'black hole' concept
  • History Topics: The mathematician and the forger
  • History Topics: Theories of gravitation
  • History Topics: Weather forecasting
  • Famous Curves: Cartesian Oval
  • Famous Curves: Cissoid of Diocles
  • Famous Curves: Conchoid
  • Famous Curves: Cycloid
  • Famous Curves: Epicycloid
  • Famous Curves: Epitrochoid
  • Famous Curves: Hypocycloid
  • Famous Curves: Hypotrochoid
  • Famous Curves: Kappa Curve
  • Famous Curves: Lissajous Curves
  • Famous Curves: Newton's Diverging Parabolas
  • Famous Curves: Parabola
  • Famous Curves: Serpentine
  • Famous Curves: Trident of Newton
  • Student Projects: Indian Mathematics - Redressing the balance: Chapter 11
  • Student Projects: Indian Mathematics - Redressing the balance: Chapter 13
  • Student Projects: Indian Mathematics - Redressing the balance: Chapter 14
  • Student Projects: Indian Mathematics - Redressing the balance: Chapter 15
  • Student Projects: Indian Mathematics - Redressing the balance: Chapter 18
  • Student Projects: James Clerk Maxwell - The Great Unknown: Chapter 1
  • Student Projects: James Clerk Maxwell - The Great Unknown: Chapter 5
  • Student Projects: James Clerk Maxwell - The Great Unknown: Chapter 8
  • Other: 12th June
  • Other: 13th May
  • Other: 15th February
  • Other: 15th January
  • Other: 1897 ICM - Zurich
  • Other: 1904 ICM - Heidelberg
  • Other: 1908 ICM - Rome
  • Other: 1912 ICM - Cambridge
  • Other: 1924 ICM - Toronto
  • Other: 1928 ICM - Bologna
  • Other: 1932 ICM - Zurich
  • Other: 1950 ICM - Cambridge USA
  • Other: 19th February
  • Other: 2009 Most popular biographies
  • Other: 25th December
  • Other: 26th January
  • Other: 28th September
  • Other: 2nd June
  • Other: 2nd October
  • Other: 30th November
  • Other: 31st July
  • Other: 3rd November
  • Other: 4th September
  • Other: 5th July
  • Other: 6th December
  • Other: 6th January
  • Other: Cambridge Colleges
  • Other: Cambridge Individuals
  • Other: Cambridge professorships
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (A)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (C)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (D)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (E)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (F)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (G)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (H)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (I)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (L)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (M)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (N)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (O)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (P)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (Q)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (R)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (S)
  • Other: Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics (T)
  • Other: Earliest Uses of Symbols of Calculus
  • Other: Earliest Uses of Symbols of Operation
  • Other: Jeff Miller's postage stamps
  • Other: London Learned Societies
  • Other: London Miscellaneous
  • Other: London Museums
  • Other: London Schools
  • Other: London Scientific Institutions
  • Other: London individuals A-C
  • Other: London individuals H-M
  • Other: London individuals N-R
  • Other: London individuals S-Z
  • Other: Most popular biographies – 2024
  • Other: On Growth and Form
  • Other: Other Institutions in central London
  • Other: Other London Institutions outside the centre
  • Other: Oxford Institutions and Colleges
  • Other: Oxford individuals
  • Other: Oxford professorships
  • Other: Popular biographies 2018
  • Other: The Dynamics of the Solar System
  • Other: The Reaches of the Milky Way

IMAGES

  1. স্যার আইজাক নিউটনের জীবনী |Sir Isaac Newton Biography In Bangla || Short Life Story |

    newton biography in bengali

  2. Sir Isaac Newton

    newton biography in bengali

  3. স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী//Sir Isaac Newton Biography in Bengali

    newton biography in bengali

  4. Bengali Biography of Sir Isaac Newton || Education || Research

    newton biography in bengali

  5. আইজ্যাক নিউটনের জীবনী

    newton biography in bengali

  6. আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী

    newton biography in bengali

COMMENTS

  1. আইজাক নিউটন

    Isaac Newton. গডফ্রে নেলার কর্তৃক স্যার আইজাক নিউটনের ৪৬ বছর বয়সের স্থির প্রতিকৃতি. জন্ম. ডিসেম্বর ২৫ ১৬৪২ [ ওএস: ডিসেম্বর ২৫ ১৬৪২] [১] উল্ ...

  2. বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন

    Sir Isaac Newton Biography in Bengali. স্যার আইজাক নিউটন ছিলেন একজন ইংরেজী গণিতবিদ ...

  3. স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী বাংলাতে।

    স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী (Issacs Newton Biography in Bengali) স্যার আইজ্যাক নিউটন একজন মহান বিজ্ঞানী হওয়ার সাথে,সাথে তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার ...

  4. স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী

    আইজ্যাক নিউটন জীবনী - Isaac Newton Biography in Bengali; আইজ্যাক নিউটন এর জন্ম: Isaac Newton's Birthday; আইজ্যাক নিউটন এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Isaac Newton's Parents And Birth Place

  5. নিউটনের গতিসূত্রসমূহ

    নিউটনের প্রথম সূত্রকে প্রায়শই জড়তার সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়। . নিউটনের প্রথম এবং দ্বিতীয় সূত্র কেবল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

  6. নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র

    সূত্র. সূত্রটি হলো: "এই মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু কণাদ্বয়ের ভরের গুণ ফলের সমানুপাতিক ...

  7. আইজ্যাক নিউটনের জীবনী

    স্যার আইজ্যাক নিউটনের অজানা গল্প জানুন, Know the unknown story of Sir Isaac Newton.Isaac Newton was a mastermind of science and ...

  8. স্যার আইজ্যাক নিউটনের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    In this video you will know the biography Isaac Newton (স্যার আইজ্যাক নিউটনের সংক্ষিপ্ত জীবনী) in bengali. We all know Newton's ...

  9. স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী

    স্যার আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী (Sir Isaac Newton Biography in Bengali): এক মহান বিজ্ঞানী, যার কাছে পরিবেশ কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি, বরং পরিবেশকে উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে গেছেন ...

  10. স্যার আইজাক নিউটন মোটিভেশনাল কাহিনী || Sir Isaac Newton Biography in

    স্যার আইজাক নিউটন মোটিভেশনাল কাহিনী || Sir Isaac Newton Biography in Bengali || ItibachokThis video is about Sir Isaac Newton ...

  11. আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী

    Isaac Newton Biography in Bengali. আইজ্যাক নিউটন এর জীবনী - Isaac Newton Biography in Bengali : স্যার আইজ্যাক নিউটনের জীবনী,নিউটন ও আপেল এর গল্প আমরা ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি। ...

  12. Isaac Newton

    Isaac Newton (born December 25, 1642 [January 4, 1643, New Style], Woolsthorpe, Lincolnshire, England—died March 20 [March 31], 1727, London) was an English physicist and mathematician who was the culminating figure of the Scientific Revolution of the 17th century. In optics, his discovery of the composition of white light integrated the phenomena of colours into the science of light and ...

  13. স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী

    স্যার আইজ্যাক নিউটন জীবনী: gksolve.in আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Isaac Newton Biography in Bengali. আপনারা যারা আইজ্যাক নিউটন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আইজ্যাক

  14. নিউটনের গতি সূত্র তালিকা PDF || Newton's laws of motion

    নিউটনের ৩টি গতিসূত্র - Newton's laws of motion বস্তুর গতিসংক্রান্ত বিভিন্ন ...

  15. স্যার আইজাক নিউটনের জীবনী |Sir Isaac Newton Biography In Bangla

    স্যার আইজাক নিউটনের জীবনী |Sir Isaac Newton Biography In Bangla || Short Life Story |🎬📺🎬 প্লিজ ...

  16. আইজ্যাক নিউটনের জীবনী

    আইজ্যাক নিউটনের জীবনী | Isaac Newton Biography in Bengali গঠনমূলক প্রভাব:- বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের প্রভাব:- প্লেগ বছরে কাজ:- আইজ্যাক নিউটনের কর্মজীবন:-

  17. নিউটনের সূত্র

    নিউটনের গতির ২য় সূত্র থেকে আমরা জানি, ভরবেগের পরিবর্তনের হারই হলো প্রযুক্ত বল। ঘাত বল বিবেচনা করলে লেখা যায়, ঘাত বল = ভরবেগের ...

  18. নিউটনের তিনটি গতিসূত্র ও ব্যাখ্যা PDF (Newtons Laws of Motion)

    নিউটনের তিনটি গতিসূত্র (Newtons Laws of Motion). নিউটনের তিনটি গতিসূত্র : কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে বস্তুটির স্থিতি ও গতি কেমন হবে — এইসব নানা প্রশ্নের সমাধান ...

  19. স্যার আইজাক নিউটনের জীবনী |Sir Isaac Newton Biography In Bangla

    স্যার আইজাক নিউটনের জীবনী |Sir Isaac Newton Biography In Bangla || Short Life Story |Sir Isaac Newton Was a Scientist , Mathematician and Astronomer. We ...

  20. Isaac Newton (1643

    Biography Isaac Newton's life can be divided into three quite distinct periods.The first is his boyhood days from 1643 up to his appointment to a chair in 1669.The second period from 1669 to 1687 was the highly productive period in which he was Lucasian professor at Cambridge. The third period (nearly as long as the other two combined) saw Newton as a highly paid government official in London ...

  21. বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন -র জীবনী Isaac Newton Biography In Bangla

    বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন -র জীবনী #isaac #newton Biography In Bangla || Motivational Videos #study TimeJoin this channel to get access to perks ...

  22. নিউটনের গতিসূত্র

    নিউটনের প্রথম গতিসূত্র (Newton's First Law of Motion): বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল দ্বারা বস্তুর অবস্থার পরিবর্তনে বাধ্য না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির ...

  23. বিজ্ঞানী নিউটনের সৃষ্টির রহস্য । Isaac Newton The Greatest Scientist In

    Sir Isaac Newton Was a Scientist , Mathematician and Astronomer. We remember the story of putting apple on the ground.Which was discovered to be the gravity....