biography of bhagat singh in bengali

• অ্যাডমিট কার্ড

• Copyright Policy
• স্ট্যাটিক জিকে
• প্রাইমারি টেট
• জেনারেল নলেজ

ভগৎ সিং এর জীবনী | Bhagat Singh Biography in Bengali

ভগত সিং জীবনী

ভগৎ সিং এর জীবনী PDF | Bhagat Singh Biography in Bengali PDF

আজকের পোস্টে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং এর জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করলাম। যেটিতে ভগত সিং এর শিক্ষা জীবন, কর্ম জীবন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, সম্মাননা ইত্যাদি সমস্ত কিছু উল্লেখ করা আছে। সুতরাং পোস্টটি ভালো করে দেখে নিন এবং প্রয়োজনে পিডিএফটি সংগ্রহ করে নিন।

ভগৎ সিং জীবনী

অন্ধকার ছিল যখন এই ভারতমাতার বুকে, তোমার মতো বীরসেনানী আলো দেখলো স্বাধীনতার চিত্তে।

ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম জাতীয়তাবাদী প্রভাবশালী ব্যক্তি ভগৎ সিং। যাহার জীবন সংগ্রাম মাতৃসম ভারতমাতাকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বাদ। তার এরূপ বিপ্লবী মনোভাব ভারতীয় যুবকদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায়।

ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী ভগৎ সিং ২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯০৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লায়ালপুর জেলার নিকটস্থ খাতকর কালান গ্রামের এক জট সান্ধু শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সর্দার কিষান সিংহ সান্ধু মাতা বিদ্যাবতী ও পরিবারের প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দেশপ্রেমিক শিখ পরিবারের সদস্য। বলাবাহুল্য ভগৎ সিংয়ের দাদাঠাকুর অর্জুন সিংহ ছিলেন হিন্দু সমাজ সংস্কার আন্দোলনের তথা আর্য সমাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সময়ের পরবর্তীতে ভগৎ সিংও এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

শিক্ষা জীবন

তৎকালীন সময়ে অধিকাংশ স্কুলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের আনুগত্য পালন করার জন্য ঠাকুরদা ওই সকল স্কুলে পাঠাতে রাজি ছিলেন না। তাই ভগৎ সিং এর পিতা তাঁকে আর্যসমাজি বিদ্যালয় দয়ানন্দ অ্যা‍ংলো বৈদিক স্কুলে ভর্তি করেন। সেখান প্রকাশ্যে ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরোধিতা পূর্বক স্কুলের পাঠ্যবই ও বিলাতি স্কুল ইউনিফর্ম পুড়িয়ে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। এখান থেকেই তার স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাত ঘটে।

মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগদানের কিছু দিন পরেই চৌরি-চৌরা গণহিংসায় কয়েকজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হলে গান্ধীজি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে হতাশাগ্রস্থ ভগৎ সিং যুব বিপ্লবী আন্দোলনে যোগদান করেন। সেখানে সশস্ত্র বিপ্লবের পন্থায় ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসন উৎখাত করার কথা প্রচার শুরু করেন।

কিশোর বয়সে লাহোরের ন্যাশানাল কলেজে পড়াশোনা আরম্ভ করলেও বাল্য বিবাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

কর্ম জীবন-স্বাধীনতা সংগ্রাম

বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি ‘নওজাওয়ান ভারত সভা’ সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে যোগদান করেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার সহকর্মী যুবকদের মধ্যে জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠেন। এরপর প্রফেসর বিদ্যালংকরের পরিচিত হওয়ার মাধ্যমে হিন্দুস্থান রিপাবলিক এসোসিয়েশনে যোগদান করেন। এই সংগঠনের কর্মকান্ড হিসাবে ‘কাকরি ট্রেন লুঠ’ করতে গেলেও অজ্ঞাত কারণে লাহোরে ফিরে আসেন। ১৯২৬ সালের অক্টোবর মাসে নবরাত্রিতে লাহোরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে, ভগৎ সিংকে লাহোর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পাঁচ সপ্তাহ পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এই সময়ে তিনি অমৃতসর থেকে পাঞ্জাবী ও উর্দু ভাষায় পত্রিকা লেখেন তার পাশাপাশি সম্পাদনাও করেন । ১৯২৮ সালে অক্টোবর মাসে ‘কৃতি কৃষাণ পার্টি’ পতাকাতলে সমগ্র ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা একত্রিত হলে ওই সভায় তিনি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তার বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের জেরে তাকে ঐ সমিতির প্রধান বানানো হয়।

এছাড়াও জেলে ভারতীয় ও ব্রিটিশ বন্দীদের সমানাধিকারের দাবিতে সমর্থন আদায় করা ছিল তার ঐকাংক্ষিক প্রচেষ্টা। প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায়ের হত্যার প্রতিশোধে হিন্দুস্থান সোশ‍্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে ভগৎ সিং এবং শিবরাম রাজগুরু এক ব্রিটিশ পুলিশ সুপার জেমস স্কটকে হত্যা করতে চাইলে ভুল বশতঃ ২১ বছর বয়সী ব্রিটিশ সুপারিন্টেড মিস্টার স্যান্ডার্সকে প্রথমে বোমা মেরে আহত করে তারপর তিনি কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেন। ভগৎ সিং ও রাজগুরু পালিয়ে যাওয়ার সময় একজন ভারতীয় পুলিশ কনস্টেবল ধাওয়া করলে অপর এক সহযোগী চন্দ্র শেখর আজাদ চেন্নান সিংকে গুলি করে হত্যা করেন।

পালিয়ে যাওয়ার পর ভগৎ সিং ও তার সহযোদ্ধারা প্রকাশ্যে লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপর ভগৎ সিং কিছুদিন পলাতক থাকার পর পিতার সুপারিশ মতো ১৯২৯ সালের এপ্রিল মাসে এক সহযোগী বটুকেশ্বর দত্তের সহযোগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিধানসভায় কম তীব্রতার দুটি বোমা ফেলেন। গ্যালারি থেকে নিচে বসে থাকা বিধায়কদের উপর লিফলেট বর্ষণ করে স্লোগান দেন ও কর্তৃপক্ষকে গ্রেফতার করার অনুমতি দেন। গ্রেফতারের পর সন্ডার্স হত্যাকান্ড মামলায় কারাবাস করেন। বিচারের অপেক্ষায় ভগৎ সিং ও সহ আসামী যতীন দাস কারাগারে ভারতীয় বন্দিদের ভালো অবস্থার দাবিতে অনশন করতে থাকেন। দীর্ঘ ৬৪ দিন অনশন করার পর অনাহারে যতীন দাসের মৃত্যু হয়। এরপর জন সোন্ডার্স ও চেন্নান সিং হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।

২০১৫ সালের ১৫ই আগস্ট প্রাপ্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাটিল মহাশয়া বিপ্লবী ভগৎ সিংয়ের সম্মানার্থে সংসদ ভবনে মূর্তি উন্মোচন করেন। ২০০৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর ভগৎ সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট ঐতিহাসিক বিষয়গুলি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে জাদুঘর নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ভগৎ সিংয়ের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে পৈতৃক ভিটে খটকার কালানে শহীদ-ই-আজম সর্দার ভগৎ সিং মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৬৮ সালে ভগৎ সিং এর সম্মানার্থে ২০ টাকার ডাকটিকিট ও ২০১২ সালে ৫ টাকার কয়েন প্রেরণ করেন।

সম্প্রতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী ছত্রিশগড় বিমানবন্দরের নামের পরিবর্তে ‘শহীদ ভগৎ সিং এয়ারপোর্ট’ নাম করার ঘোষণা করেছেন।

জন সোন্ডার্স ও চেন্নান সিং হত্যা মামলায় ২৩শে মার্চ ১৯৩১ সালে মাত্র ২৩ বৎসর বয়সে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর জেলে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।

ভগৎ সিং এর জীবনী PDF

File details :.

File Name : Bhagat Singh Biography Language : Bengali No. of Pages : 02 Size : 01 MB

আরও দেখুন :

• মহাত্মা গান্ধীর জীবনী
• ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী | netaji subhash chandra bose biography in bengali, এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী | apj abdul kalam biography in bengali, leave a reply cancel reply.

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Recent posts

Upsc syllabus in bengali pdf, may 1st week 2024 current affairs quiz in bengali, উচ্চ মাধ্যমিক রেজাল্ট 2024 | wb hs result 2024, popular posts, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা | teachers day speech in bengali, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়োগ 2023 | bsk new recruitment 2023, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ ২০২৩, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী | ishwar chandra vidyasagar biography in bengali, archive list.

• February 2024
• January 2024
• December 2023
• November 2023
• October 2023
• September 2023
• August 2023
• February 2023
• January 2023
• December 2022
• November 2022
• October 2022
• September 2022
• August 2022

এটি একটি এডুকেশনাল ব্লগ, পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করাই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।

Contact us: [email protected]

All Rights Reserved © Kolom

অগ্নিবীর ভগৎ সিং জীবনী 2023 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

ভগৎ সিং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ভগৎ সিং কিভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন? ওনার বাবা- মা কে? ওনার জীবন কেমন ছিল? এছাড়াও ভগৎ সিং এর সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানুন (Biography of Bhagat Singh in Bengali)।

স্বাধীনতা আন্দোলনে ভগৎ সিং কে চেনেন না এমন ভারত ীয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভগৎ সিং ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী একজন বিপ্লবী । তিনি কিনা স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভগৎ সিং এর জন্ম হয় একটি জাট শিখ পরিবারে।

এছাড়া তিনি খু বই সাহসী ছিলেন, কিশোর বয়সে এই ভগৎ সিং ইউরোপীয় বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনা করেন এবং নৈরাজ্যবাদ ও কমিউনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।

ভগৎ সিং, তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী দেশের স্বাধীনতা সংগ্ রাম ী। ভগৎ সিং ছিলেন অন্যতম প্রভাবশালী বিপ্লবী, ভগৎ সিং ছিলেন একজন জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা তাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে শ্রদ্ধা করতেন।

তো চলুন এই অগ্নিবীর ভগৎ সিং এর জীবনী সম্পর্কে জানা যাক: 

অগ্নিবীর ভগৎ সিং এর জীবনী :

• সম্পূর্ণ নাম: ভগৎ সিংহ অথবা ভগৎ সিং
• জন্ম তারিখ: ২৮ শে সেপ্টেম্বর ১৯০৭
• জন্মস্থান: লয়ালপুর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
• পিতার নাম: সর্দার কিষান সিংহ সান্ধু
• মায়ের নাম: বিদ্যাবতি দেবী
• আন্দোলন: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, নওজওয়ান ভারত সভা, কীর্তি কিষান পার্টি
• প্রধান সংগঠন: হিন্দুস্তান সোসালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন
• ধর্ম: শিখ ধর্ম
• মৃত্যু : ২৩ শে মার্চ ১৯৩১
• মৃত্যুর স্থান: লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত

ভগৎ সিং এর পরিবার:

ভগৎ সিং এর জন্ম হয়েছিল পাঞ্জাবের লয়ালপুর জেল ার নিকটস্থ খাতকর কালান গ্রামের একটি সান্ধু জাট  শিখ পরিবারে। ভগৎ সিং এর পিতার নাম ছিল সরদার কিষান সিংহ সান্ধু এবং মায়ের নাম ছিল বিদ্যাবতি দেবী। তিনি খুবই ছোটবেলা থেকেই দেশ এর স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার শৈশব কেটেছে অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেকটাই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে।

গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার: 

যেহেতু বিপ্লবী ভগৎ সিং খুবই ছোটবেলা থেকেই এই সমস্ত বিষয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন, সেহেতু ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করার পর ভারতীয় রাজনীতিতে দলাদলি ও সম্প্রদায়িক বিরোধ খুবই তীব্র আকার ধারণ করেছিল। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে এই অস্থিরতা অনেকটা কমে আসে।

সেই সঙ্গে চারিদিকে দাবি উঠেছে প্রশাসনিক ও সাংবিধানের সংস্কারে জন্য। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় দিকে দিকে জেগে উঠল নব জীবনের সাড়া। “স্বাধীনতা ভারতবাসীর জন্মগত অধিকার আর আমরা স্বাধীনতা চাই” এটাই ছিল মূল বক্তব্য।

সাইমন কমিশন (Simon Commission):

ভারতের রাজনীতিতে এমন একটি অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়, আর সেই অস্থিরতা লক্ষ্য করে বড়লাট লর্ড আরউইন একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিশন গঠন করার কথা ঘোষণা করেন, আর সেই কমিশনের নাম দেওয়া হয় সাইমন কমিশন।

নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন প্রখ্যাত উদারনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সাংবিধানিক আইন বিশারদ স্যার জন সাইমন। আর সেই কারণেই কিন্তু তার নাম অনুসারে এই কমিশনের নাম দেওয়া হয়েছে সাইমন কমিশন ।

সাইমন কমিশনের সদস্য বৃন্দ: 

এই কমিশনের সদস্যরা ছিলেন ভাই কাউন্ট বার্নহ্যাম, স্টিফেন ওয়েলিস, লর্ড স্ট্রাথ কোনা, এডওয়ার্ড ক্যারোগান, কর্নেল লেনফক্স এবং মেজর এটলি। তবে কোনো ভারতীয়কে কিন্তু এই কমিশনে নেওয়া হয়নি। এই কমিশনের আসল উদ্দেশ্য ছিল, ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে সংস্কার আইন ভারতে কতটা কার্যকর করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে রিপোর্ট দায়ের করা।

কমিশনে কোন ভারতীয় সদস্য পদ গ্রহণ না করায় ভারতে এই কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মুসলিম লীগ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলো কমিশনের গঠনতন্ত্রের নিন্দা করে। যেখানে কমিশন যাচ্ছে, সেখানেই হচ্ছে হরতাল, লক্ষ লক্ষ কন্ঠে শোনা যাচ্ছে “গো ব্যাক সাইমন”।

গো ব্যাক সাইমন স্লোগান: 

সাইমন কমিশনের নিন্দা জানাতে গো ব্যাক সাইমন স্লোগানটি খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এই কমিশনের ক্ষেত্রে কলকাতা , বোম্বে, মাদ্রাজ সব জায়গাতে একই দৃশ্য চোখে পড়ে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ৩০ শে অক্টোবর কমিশন এলো লাহোরে।

কালো পতাকা হাতে কমিশনকে ধিক্কার জানাতে পথে বেরোলো খুবই বড় মিছিল। মিছিলের অগ্রভাগে পাঞ্জাবের অবিসংবাদি নেতা লালা লাজপত রায় ছিলেন। তিনিও কিন্তু বলেছিলেন যে গো ব্যাক সাইমন, কিন্তু পুলিশবাহিনী হিংস্র সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল মিছিলের উপরে।

এলো পাথারি চলল লাঠিচার্জ, যার ফলে আহত হলেন বহু মানুষ। পুলিশের লাঠির নির্মম সেই আঘাতে প্রবীণ নেতা লালা জীর সর্বাঙ্গ রক্তে লাল হয়ে গেল। তবুও কিন্তু তিনি বলে চলেছেন “গো ব্যাক সাইমন, সাইমন ফিরে যাও”।

যেহেতু তিনি খুবই বয়স্ক ছিলেন তাই এমন আঘাতে জর্জরিত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন সেই যে জ্ঞান হারিয়েছেন আর সেই জ্ঞান তার কখনোই ফিরে আসেনি।

হাসপাতাল ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঠিকই কিন্তু কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে তিনি শহীদ হয়েছিলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নির্ভীক যোদ্ধা লালা লাজপত রায়। এই খবর স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলা যায়।

দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লো এই দুঃসংবাদ, সমস্ত ভারতবাসী স্তব্ধ এবং দুঃখিত হয়ে পড়ল। কিন্তু অন্যায় তারা মুখ বুঝে কখনোই মেনে নিতে রাজি ছিল না। পাঞ্জাবির বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং, শুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ , শপথ নিলেন যে “লাইফ ফর লাইফ” এ ছাড়া আর কোন হিসাব আমরা মানবো না।

এর এক মাস পরে ১৭ ই ডিসেম্বর সেদিন বিকেল চারটে ৩৭ মিনিটের সময় দেখা গেল পুলিশ দপ্তর ের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, রাজগুরু প্রমুখ বিপ্লবীরা। তারা আগে থেকে খবর নিয়ে জেনেছেন যে মিস্টার স্কটের অফিস থেকে বেরিয়ে আসার সময় কিন্তু এটাই।

সেই জন্য তারা রিভলভার নিয়ে তৈরি হয়েই এসেছেন, কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল মিস্টার স্কট মোটরসাইকেল নিয়ে এদিকেই এগিয়ে আসছে। পলকের মধ্যেই রাজ গুরুর হাতে সেই রিভলবার থেকে গুলি করা হয়, তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবার ভগৎ সিং এর হাতে থেকে গুলি চলল।

গুলির শব্দ লক্ষ্য করে ছুটে এল একজন ইউরোপিয়ান সার্জেন্ট তার সাথে মিস্টার স্কট এর দেহরক্ষী চন্দন সিং, এরপরে চন্দ্রশেখর আজাদ ও গুলি করেছিলেন, তার গুলিতে মুখ থুবড়ে পড়ল চন্দন সিং। হৈচৈ এর মধ্যে কোথায় পালিয়ে গেল এই তিন বিপ্লবী তার কোন হদিস পাওয়া গেল না।

কিন্তু এমন কাজে ভুল হয়েই থাকে, বিপ্লবীদের দুর্ভাগ্য ছিল যে, সেদিন খুবই বড় ভুল হয়েছিল তাদের, গুলিতে যে নিহত হয়েছিল সেটা ছিল একজন পুলিশ অফিসার। মিস্টার স্কট নন। এরপর আর কি, যা হবার তাই। তদন্ত আর নির্বিচারে গ্রেফতার , সরকার হত্যাকারীর সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠলো। এই হত্যাকাণ্ডের চার দিন পরে ২৯ এ ডিসেম্বর শহরের সর্বত্রই একটি ইপ্তিহার বিলি করা হয়েছে।

তাতে বিপ্লবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এতদ্বারা মহামান্য সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে অবগত করা হচ্ছে যে তাদের মধ্যে কেউ স্যান্ডার্স এর হত্যাকারীকে অর্থাৎ মিস্টার স্কট এর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলে হিন্দুস্তান সোসালিস্ট রিপাবলিকান পার্টি এর সামরিক অধিকর্তার তরফ থেকে তাকে প্রচুর অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।”

এরপর ভগৎ সিং চলে এলেন কলকাতায়, কিছু অস্ত্র সংগ্রহ করার জন্য। বিপ্লবীদের এই কলকাতা জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা তারা আত্মগোপন করার জন্য এই জায়গাটাই বেছে নিয়েছিলেন। বাংলার বিপ্লবীরা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তাদের দিকে।

সামান্য কিছু অস্ত্রশস্ত্র আর কতগুলি বোমা নিয়ে ভগৎ সিং ফিরে গেলেন লাহোরে। এবার তার সংকল্প ছিল আরো শক্ত, তিনি এবারে এমনভাবে আঘাত হানবেন যাতে সাগরের ওপারে শাসকের আসন যেন টলে ওঠে। গোটা সাম্রাজ্য তোলপাড় হয়ে যায়। বিপ্লবীদের একটাই বীজ মন্ত্র হল “কর্তব্য সাধন, কিংবা শরীর পতন”।

আমরা সকলেই জানি যে, স্বাধীনতা কখনোই হাসতে হাসতে আসে না। স্বাধীনতা আনতে গেলে অনেক রক্ত ঝরাতে হয়। তার জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হয়েছে অনেক অমূল্য জীবনকে। বিপ্লবীদের হতে হয় নির্ভয় আর সবথেকে যেটি প্রিয় সেই জিনিসটিকে বন্ধক রেখে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। আর সেই কারণে হাসতে হাসতে অনেক বিপ্লবী প্রাণ উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য। তার মধ্যে ভগৎ সিং এর নাম খুবই উল্লেখযোগ্য।

বিপ্লবীদের গ্রেপ্তার করা শুরু: 

এরপর থেকে শুরু হয় বিপ্লবীদের গ্রেপ্তার করা। একে একে গ্রেফতার হয়ে পড়েন শুখদেব, রাজগুরু, যতীন দাস, প্রমূখ বিপ্লবীরা। যতীন দাস কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলকাতাতে, তারপর তাকে গ্রেফতার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় লাহোরে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরবর্তীকালে যতীন দাস দীর্ঘ ৬৩ দিনের অনশন করার পর যখন তিনি দেহ ত্যাগ করেন, এই বিষয়টি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।

১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ ১০ ই জুলাই শুরু হল লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা। প্রধান আসামি হিসেবে ভগৎ সিং সুখদেব বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরু, যতীন দাস প্রমুখো বিপ্লবীবৃন্দ ছিলেন। এমন বিপ্লবীদের ছাড়াও আরো অনেকে ছিলেন, মোট ২৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং স্যানডার্স হত্যা।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি: 

এই ঘটনার পরেই আর কিছু বক্তব্য আছে কিনা আদালত তা জানতে চাইলে ভগৎ সিং খুবই উঁচু কণ্ঠে বলেছিলেন ইনক্লাব জিন্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্ত বন্দীরা গলা মেলান এই স্লোগান এর সাথে। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার প্রথম শুনানি আরম্ভ হয়েছিল ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই অক্টোবর, দীর্ঘ ১৫ মাস পরে মামলার রায় বের হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ভগৎ সিং এর পিতা সরদার কিসান প্রিভি কাউন্সিল আপিল করার জন্য আদালতে একটি আবেদন পেশ করলেন।

তার পিতাকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন যে “আমার পক্ষ সমর্থনের জন্য আপনি স্পেশাল ট্রাইবুনালের বিচারপতিদের নিকট আবেদন করিয়াছেন, এই সংবাদ অবগত হইয়া আমি মর্মাহত হইয়াছি। এই কঠিন আঘাত স্থির ভাবে সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনার এই আবেদন ভিক্ষা আমার মানসিক শান্তিকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করিয়াছে।”

ভগৎ সিং পিতাকে উদ্দেশ্য করে এটা বলতে চেয়েছেন যে, “আমার জীবনকে যতখানি মূল্যবান মনে করেন, আমি তা কখনোই মনে করি না। আমার আদর্শকে বলি দিয়ে আমার প্রাণকে রক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। আমার বহু সহকর্মীর অবস্থা আজ ঠিক আমারই মতো গুরুতর।

আমরা সকলে একই আদর্শ গ্রহণ করিয়াছিলাম এবং এতকাল একসঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়াইয়া আসিয়াছি। শেষ পর্যন্ত আমরা ঠিক সেই ভাবেই থাকিব। এই ক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি যত গুরুত্বই হোক না কেন, তাতে কোন ক্ষতি নাই।”

ভগৎ সিং এর ফাঁসির আদেশ: 

যেহেতু তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, বিচার হিসেবে ফাঁসি হওয়াটাই তখন ব্রিটিশদের মূল শাস্তি ছিল। জাতীয় বীর ভগৎ সিং এর ফাঁসির আদেশ শুনে ভারতবাসী খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলো। চারিদিকে আওয়াজ উঠল ভগৎ সিং এর ফাঁসি হলে আমরা তার সহ্য করব না। এই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে গান্ধী ও বড়লাট লর্ড আরউইনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়, এই চুক্তিকে দিল্লি চুক্তি ও বলা হয়।

১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে ৫ মার্চ গান্ধী আরউইন চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার নিপীড়নমূলক আইন ও অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করে নেন, হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগে রাজনৈতিক বন্দিদের ছাড়া অন্যান্য সব বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে, সমুদ্র তীরে বসবাসকারী অধিবাসীদের নিজেদের প্রয়োজনে লবণ তৈরি করা এবং বিলিতি মদ ও বস্ত্রের দোকান ে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করা বিধি সম্মত হবে, এসব সরকার স্বীকার করে নেন এবং ভারতের প্রতিরক্ষা বৈদেশিক সম্পর্ক সংখ্যালঘু শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা সব দায় দায়িত্ব সরকারের হাতে রাখা হবে।

এই শর্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হলো, কেবলমাত্র মুক্তি পেলেন না বিপ্লবীরা। ৫ ই মার্চ তারিখে চুক্তি স্বাক্ষর করে এই গান্ধীজীর সিমলা থেকে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, এই চুক্তি সর্বত্রভাবে গৃহীত বলে সহিংস কাজের জন্য যাদের ফাঁসির হুকুম হয়ে আছে, তারাও মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা করেন।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এটাই যে, দেশবাসী প্রচন্ড রেগে থাকলেও ২৩ শে মার্চ তারা জানতে পারলেন দেশবাসীর সকল আবেদন অগ্রাহ্য করে ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরু কে সেদিন লাহোর জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা, লক্ষ লক্ষ মানুষ  ভারতবর্ষে সেদিন করাচির পথে হেটে ছিলেন।

যেহেতু অনেক বন্দী মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল তেমনি ভগৎ সিং এর একজন সহকর্মী মুক্তিপ্রাপ্ত অজয় ঘোষ বলেছিলেন, “বাইরে এসে সেদিন বুঝতে পারলাম ভগৎ সিং এর মূল্য আমাদের দেশের জন্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। তখনকার দিনে যত সভা হত সেখানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে স্লোগান হতো ভগৎ সিং জিন্দাবাদ। কিন্তু আজ তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই।”

ভগৎ সিং এর সেই ঐতিহ্যপূর্ণ গোঁফ তার সাথে মাথার যে হ্যাট সেই ছবি প্রতিটি যুবকের বুকে আঁকা ছিল। “আমার বুক আনন্দ গর্ভে ভরে যেত যখন ভাবতাম এমন একজন লোককে সহকর্মী ছিলাম আমি যাকে আমি চিনতাম,” এমনই বলেছিলেন ভগৎ সিং এর সহকর্মীরা।

ভগৎ সিং এর ফাঁসি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসের করাচি অধিবেশনের ঠিক একদিন আগে তাদের ফাঁসি হয়ে যায়। ভগৎ সিং এর বয়স তখন ২৪ ও পূর্ণ হয়নি। বলতে গেলে সবে মাত্র তারুণ্যে পা দিয়েছেন তিনি। একটা ধুমকেতুর মতো ভগৎ সিং ভারতবর্ষের রাজনৈতিক আকাশে কিছুক্ষণের জন্য উদয় হয়েছিল কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই তা আবার ডুবেও যায়। তার উপর দেশের জন্য অকালেই তিনি প্রাণটা বিসর্জন দিয়েছেন।

তিনি এতটাই নির্ভীক ছিলেন যে, তিনি সবসময় বলতেন “যখন বেঁচে থাকবে, সেই সময় শুধু নিজের মেজাজে বাঁচো, একমাত্র মরণের পরে অন্যের সাহায্য নিও।”তাই তিনি নিজের মেজাজে বেঁচেছেন এবং মরতেও ভয় পাননি।

ফাঁসির মঞ্চে তিনিও কিন্তু ক্ষুদিরামের মতো হাসতে হাসতে জীবনের জয়গান গিয়ে ভারতবর্ষের ইনকিলাব জিন্দাবাদ এই মহামন্ত্রের উচ্চারণ করে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন। বিপ্লবী ভগৎ সিং এর ভারতবর্ষের জন্য এই যে আত্মত্যাগ তা সমস্ত ভারতবাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Leave a Comment Cancel Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

• Class 6 Bengali
• Class 6 English
• Class 6 Geography
• Class 6 History
• Class 6 Science
• Class 6 Mathematics
• Class 7 Bengali
• Class 7 English
• Class 7 Geography
• Class 7 History
• Class 7 Science
• Class 7 Mathematics
• Class 7 Health and Physical Education
• Class 8 Bengali
• Class 8 English
• Class 8 Geography
• Class 8 History
• Class 8 Science
• Class 8 Mathematics
• Class 9 Bengali
• Class 9 English
• Class 9 Geography
• Class 9 History
• Class 9 Life Science
• Class 9 Physical Science
• Class 9 Mathematics
• Madhyamik Bengali
• Madhyamik English
• Madhyamik Geography
• Madhyamik History
• Madhyamik Life Science
• Madhyamik Mathematics
• Madhyamik Physical Science
• Class 11 Bengali
• Class 11 English
• Class 11 Geography
• Class 11 History
• Class 11 Political Science
• Class 11 Education
• HS Chemistry
• HS Computer Science
• HS Education
• HS Geography
• HS Mathematics
• HS Philosophy
• HS Political Science
• HS Sanskrit
• Geotectonics
• Geomorphology
• Biogeography
• Climatology
• Geographical Thought
• Geography of West Bengal
• Geography of India
• Animal Facts
• Company Facts
• World Facts
• Govt Schemes
• Current Affairs
• Copyright Policy
• Privacy Policy
• Terms and Conditions
• Android App Download

ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali

ভগৎ সিং এর জীবনী

Bhagat singh biography in bengali.

ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali : ভগৎ সিংহের জন্ম একটি জাট শিখ পরিবারে। ভগৎ সিং (Bhagat Singh) এর পরিবার পূর্ব থেকেই ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। কৈশোরেই ভগৎ ইউরোপীয় বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনা করেন এবং নৈরাজ্যবাদ ও কমিউনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন। এরপর ভগৎ সিং (Bhagat Singh) একাধিক বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।

  বিপ্লবী ভগৎ সিং এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali বা ভগৎ সিং এর আত্মজীবনী বা (Bhagat Singh Jivani Bangla. A short biography of Bhagat Singh. Bhagat Singh Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) ভগৎ সিং এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভগৎ সিং কে ছিলেন ? Who is Bhagat Singh ?

ভগৎ সিং (Bhagat Singh) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভগৎ সিং (Bhagat Singh) ছিলেন অন্যতম প্রভাবশালী বিপ্লবী। ভগৎ সিং (Bhagat Singh) ছিলেন এক জাতীয়তাবাদি। ভারতের জাতীয়তাবাদিরা তাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে শ্রদ্ধা করে।

ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali :

ভগৎ সিং এর জন্ম ও পিতামাতা – bhagat singh birthday and parents :.

 ভগৎ সিংহের জন্ম পাঞ্জাবের লায়ালপুর জেলার বাঙ্গার নিকটস্থ খাতকর কালান গ্রামের এক সান্ধু জাট পরিবারে। ভগৎ সিং (Bhagat Singh) এর পিতার নাম সর্দার কিসান সিংহ সান্ধু ও মায়ের নাম বিদ্যাবতী।

গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার :

 বিপ্লবী ভগৎ সিং ১৯২২ খ্রিঃ গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করার পর ভারতীয় রাজনীতিতে দলাদলি ও সাম্প্রদায়িক বিরোধ তীব্র হয়ে উঠেছিল । ১৯২৭ খ্রিঃ নাগাদ এই অস্থিরতা অনেকটা স্তিমিত হয়ে এল । সেই সঙ্গে চারদিকে দাবি উঠল প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের । 

 ভারতের দিকে দিকে জেগে উঠল নবজীবনের সাড়া । স্বাধীনতা ভারতবাসীর জন্মগত অধিকার , আমরা চাই স্বাধীনতা ।

  সাইমন কমিশন – Simon Commission :

 ভারতের রাজনীতি ক্ষেত্রে এই অস্থিরতা লক্ষ্য করে বড়লাট লর্ড আরউইন একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিশন গঠন করার কথা ঘোষণা করলেন । 

এই কমিশনের নাম সাইমন কমিশন । নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন প্রখ্যাত উদারনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সাংবিধানিক আইন বিশারদ স্যার জন সাইমন । তাঁর নামানুসারেই কমিশনের নাম হয়েছে সাইমন কমিশন । 

সাইমন কমিশন এর সদস্যরা – Saimon Commission Members :

কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন ভাইকাউন্ট বার্নহ্যাম , লর্ড স্ট্র্যাথকোনা , স্টিফেন ওয়েলিস , এডওয়ার্ড ক্যারোগান , মেজর এটলি ও কর্নেল লেনফক্স । কোন ভারতীয়কে এই কমিশনে নেওয়া হয়নি ।

 ব্রিটিশ সরকার নিয়োজিত এই কমিশন ১৯২৭ খ্রিঃ ভারতে এলো । 

এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯১৯ খ্রিঃ সংস্কার আইন ভারতে কতটা কার্যকর হয়েছে তা পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে রিপোর্ট পেশ করা । কমিশনে কোন ভারতীয় সদস্য গ্রহণ না করায় ভারতে এই কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হল । কংগ্রেস ছাড়া মুসলিম লিগ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের গঠনতন্ত্রের নিন্দা করে ৷

 যেখানে কমিশন যাচ্ছে , সেখানেই হচ্ছে হরতাল । লক্ষ লক্ষ কন্ঠে ধ্বনি ওঠে — গো ব্যাক সাইমন ।

গো ব্যাক সাইমন স্লোগান – Go back Simon Slogan :

 কলকাতা , বম্বে , মাদ্রাজ সর্বত্রই একই দৃশ্য । ১৯২৮ খ্রিঃ ৩০ শে অক্টোবর কমিশন এলো লাহোরে । সমগ্র পাঞ্জাব সেদিন উত্তাল । কালো পতাকা হাতে কমিশনকে ধিক্কার জানাতে পথে বেরলো বিরাট মিছিল । মিছিলের পুরোভাগে পাঞ্জাবের অবিসংবাদী নেতা লালা লাজপৎ রায় । তিনিও ধ্বনি তুলছেন — গো ব্যাক সাইমন । 

পুলিসবাহিনী তৈরিই ছিল । ইঙ্গিত পেয়ে হিংস্র হায়নার মত ঝাঁপিয়ে পড়ল মিছিলের ওপর । এলোপাথারি চলল লাঠি ।

 পুলিশের লাঠির নির্মম প্রহারে প্রবীণ নেতা লালাজির সর্বাঙ্গ রক্তে লাল হয়ে গেল । তবু তিনি অবিচল কন্ঠে ধ্বনি তুলছেন – গো ব্যাক সাইমন সাইমন ফিরে যাও ।

 আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে একসময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন লালাজি । সেই জ্ঞান আর কোন দিনই ফিরে এলো না তার । 

হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল সঙ্গে সঙ্গেই । কয়েকদিন ধরে টানা চলল যমে মানুষে টানাটানি । সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শহীদ হলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নির্ভীক যোদ্ধা লালা লাজপৎ রায় ।

 ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যোজিত হল এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ৷

 দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ল এই দুঃসংবাদ । বিস্মিত আঘাতে স্তব্ধ হয়ে গেল ভারতবাসী । কিন্তু অন্যায় তারা মুখ বুজে মেনে নিতে রাজি ছিল না ।

 সর্বক্ষমতার অধিকারী । হলেই বা ভারতবাসী লালাজির হত্যার বিচার করবার অধিকার তো কেউ ওরা শাসক – পরাধীন কেড়ে নিতে পারে না । স্বাধীনতাকামী তরুণের দল রক্তের অক্ষরে শপথ নিলেন — বিচার আমরাই করব ।

 পাঞ্জাবের বীর বিপ্লবী ভগৎসিং , শুকদেব , রাজগুরু , চন্দ্রশেখর আজাদ শপথ নিলেন – লাইফ ফর লাইফ । এছাড়া আর কোন হিসাব আমরা মানব না । 

পুলিসের বড়কর্তা মিঃ স্কটের হুকুমে সেদিন মিছিলের ওপরে আক্রমণ চালিয়ে ছিল পুলিস বাহিনী । তাকেই প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে এই অন্যায় কাজের জন্য । মিঃ স্কটের ক্ষমা নেই । 

একমাস পরে ১৭ ই ডিসেম্বর । সেদিন অপরাহ্ন চারটে সাঁইত্রিশ মিনিটের সময় দেখা গেল পুলিস দপ্তরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন ভগৎ সিং , রাজগুরু , চন্দ্রশেখর আজাদ প্রমুখ বিপ্লবীগণ । 

তাঁরা আগেই খবর নিয়ে জেনেছেন , মিঃ স্কটের অফিস থেকে বেরিয়ে আসার সময় এটাই । সেইজন্য তারা রিভলবার তৈরি রেখে প্রস্তুত হয়েই এসেছেন । 

হঠাৎ দেখা গেল মিঃ স্কট মোটর সাইকেল নিয়ে এদিকেই এগিয়ে আসছে । পলকের মধ্যে রাজগুরুর হাতের অস্ত্র গর্জন করে উঠল -দ্রাম – – দ্রাম – ।

 রাজগুরুর অব্যর্থগুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মিঃ স্কট । তবু নিশ্চিত হবার জন্য এবারে গর্জন করল ভগৎ সিংয়ের হাতের অস্ত্র । গুলিরশব্দ লক্ষ্য করে ছুটে এলেন একজন ইউরোপীয়ান সার্জেন্ট আর মিঃ স্কটের দেহরক্ষী চন্দন সিং ।

 চন্দ্রশেখর আজাদ এবার অস্ত্র তুললেন । তার অব্যর্থ গুলিতে মুখ থুবড়ে পড়ল চন্দন সিং ।

 হৈ – চৈ চিৎকার চঁাচামেচির মধ্যে কে কোথায় পালিয়ে গেল কেউ তার হদিস পেল না ।

 বিপ্লবীদের দুর্ভাগ্য , সেদিন মস্ত বড় ভুল হয়েছিল তাঁদের । গুলিতে সেদিন নিহত হয়েছিলেন একজন পুলিস অফিসার মিঃ স্যান্ডার্স– স্কট নন । 

এরপর যা হবার তাই শুরু হল । তদন্ত আর নির্বিচারে গ্রেপ্তার । সরকার হত্যাকারীর সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠল।

 প্রতিবাদে ফুঁসে উঠল বিপ্লবী তরুণের দল । অভিনব উপায়ে তারা সরকারকে তাদের চ্যালেঞ্জের ঘোষণা জানালেন । 

হত্যাকান্ডের চারদিন পরে , ২৯ শে ডিসেম্বর শহরে সর্বত্র এক ইস্তাহার বিলি করা হয়েছে । তাতে বিপ্লবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছেঃ

 ‘ এতদ্বারা মহামান্য সরকার ও পুলিসবাহিনীকে অবগত করা হচ্ছে যে , তাদের মধ্যে কেউ স্যান্ডার্সের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলে , হিন্দুস্থান সোস্যালিস্ট রিপাবলিকান পার্টির সামরিক অধিকর্তার তরফ থেকে তাকে প্রচুর অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে । ‘

 কয়েকদিন পরেই ভগৎ সিং চলে এলেন কলকাতায় কিছু অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহের জন্য । বিপ্লবের পীঠভূমি কলকাতা । বাংলার বিপ্লবীরা সাদরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ৷

 কিছু অস্ত্রশস্ত্র আর গোটা কতক বোমা নিয়ে ভগৎ সিং ফিরে গেলেন লাহোরে । এবারে তার সংকল্প আরো শক্ত আঘাত হানতে হবে যাতে সাগরের ওপারে শাসকের আসন টলে ওঠে । গোটা সাম্রাজ্য তোলপাড় হয় । বিপ্লবীদের একটাই বীজমন্ত্র , কর্তব্য সাধন কিংবা শরীর পাতন । 

স্বাধীনতা তো হেসেখেলে আসে না । তার জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হয় । জাতিকে হতে হয় নির্ভয় । বিপ্লবীদের তাই তাদের সবচাইতে প্রিয় জিনিসটিকে বন্ধক রেখেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করতে হয় । হাসতে হাসতে তারা প্রাণ উৎসর্গ করেন ।

বিপ্লবী মদনলাল এর ইংল্যান্ডের আদালতে :

 বিপ্লবী মদনলাল ধিংড়া ইংলন্ডে তার বিচারকালে আদালতে দাঁড়িয়ে বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র দৃপ্তকণ্ঠে প্রচার করে বলেছিলেনঃ ” The only lesson required in India at present is to learn how to die and the only way to fetch it is by dieing ourselves . “

 বিপ্লবী মদনলাল ধিংড়াই প্রথম শহীদ যিনি বিদেশের কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ।

 সেই আদর্শেই অনুপ্রাণিত ভগৎ সিং । প্রাণ উৎসর্গ করতে হবে অকাতরে । মৃত্যুভয়ে ভীত সাধারণ ভারতবাসীকে জাগিয়ে তুলতে হবে ।

 এ পরিকল্পনা রূপায়িত হল ১৯২৯ খ্রিঃ ৬ ই জুন । দিল্লীর অ্যাসেমব্লিতে সেদিন কতকগুলি জরুরী বিল নিয়ে আলোচনা হবে । বিশিষ্ট দর্শকদের মধ্যে রয়েছেন মিঃ সাইমন আর স্পীকার বল্লভভাই প্যাটেল । আলোচনা শুরু হয়েছে এমনি সময়ে দুই বলিষ্ঠ তরুণ গুচ্ছ লাল ইস্তাহার ছড়িয়ে দিলেন গোটা অ্যাসমব্লি হলে । সঙ্গে সঙ্গেই হল প্রচন্ডবিস্ফোরণ – বুমবুম্ম— 

ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চতুর্দিক । হৈ হৈ চিৎকার চেঁচামেচি । ধোঁয়া সরে গেলে চিৎকার উঠল — কে – কে করেছে এমন কাজ ? হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়ে ধীর অবিচলিত ভাবে এগিয়ে গেলেন ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত । তারা জানালেন , ‘ কাউকে হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় । তা যদি থাকত তাহলে সাইমন এতক্ষণ ওখানে বসে থাকতে পারতেন না । আমাদের উদ্দেশ্য পাবলিক সেফটি বিলের উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো । ‘ 

” It takes a loud voice to make the deaf hear . Let the government know that while protesting against the public safty and Trade Dispute Bills and call our murder of Lala Lajpat Rai , on behalf – of the helpess Indian mas , we want to emphasise the lesson often repeated by history that it is easy to kill individuals but you can not kill ideas . Great empires crumbled while ideas survive . We are sorry to admit we attach great sancity to human life But the sacrifice of individuals at the alter of great revolution that will bring free dom to all rendering exploitation of man by man impossible in inevitable , Long live Revolution . ” 

একটা মাত্র বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গোটা ভারতবর্ষের সঙ্গে তোলপাড় হয়ে গেল ইংলন্ড ।

বিপ্লবীদের গ্রেপ্তার :

 এরপরই শুরু হল ব্যাপক গ্রেপ্তার । একে একে গ্রেপ্তার করা হল শুকদেব , রাজগুরু , যতীন দাস প্রমুখ বিপ্লবীদের । যতীনদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলকাতায় । তারপরই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় লাহোরে ।

 গ্রেপ্তারের পর পরবর্তীকালে যতীন দাস দীর্ঘ তেষট্টি দিনের অনশনের পরে দেহরক্ষা করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের যোজনা করেছিলেন । 

১৯২৯ খ্রিঃ ১০ ই জুলাই শুরু হল লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা । প্রধান আসামী ভগৎ সিং , শুকদেব , বটুকেশ্বর দত্ত , রাজগুরু , যতীনদাস প্রমুখ বিপ্লবীবৃন্দ । মোট চব্বিশ জন । তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ — ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং স্যান্ডার্স হত্যা । যতীন দাস চলে গেলেন তেষট্রি দিন অনশনের পরে । ঐতিহাসিক লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় আদালতে ভগৎ সিং যে প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছিলেন , সারা দেশ , সারা পৃথিবী সেদিন চমকে উঠেছিল । তিনি বলেছিলেন , 

” Revolution does not necessarily involve santinary strife , not is there only place in it for individual vendetta . It is not the cult of bobs and pistol . By Revolution . we mean that he present order of things which is baesed on manifest in justice must change .

 There should be radical change to re – organise the society on a sociolistic basis , so the exploite – tion of man by man or of nation by nation is brought to an end ushering is an era of Universal peace …… 

This is our ideal . It ( our warning ) goes unheeded and the present system of Government continues , agrim struggle must ensue to have the way for the consummation of the ideal of revolution . ” 

ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি :  

এই বিবৃতির পরেই আর কিছু বক্তব্য আছে কিনা আদালত তা জানতে চাইলে ভগৎসিং দৃপ্তকণ্ঠে ধ্বনি তুললেন “ ইনকিলাব— জিন্দাবাদ – 

ইনকিলাব – জিন্দাবাদ – ” সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্ত বন্দিরা গলা মেলালেন — ইনকিলাব জিন্দাবাদ — বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক । 

বিচার শেষ হল ৭ ই জুলাই লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার প্রথম শুনানী আরম্ভ হয়েছিল । ১৯৩০ খ্রিঃ ৭ ই অক্টোবর দীর্ঘ পনের মাস পরে মামলার রায় বের হয় ।

 মাসিক ভারতবর্ষ ( ১৩৩৭ , অগ্রহায়ণ ) পত্রিকায় এই মামলা সম্পর্কে লেখা হয়েছিল :

 “ … লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার বিচার আইনের ইতিহাসের দিক দিয়া বিশেষ স্মরণীয় হইয়া থাকিবে , কারণ এই মামলায় দুইবার বিচারক বদলাইতে হইয়াছে । দুইজন বিচারক স্বেচ্ছায় এই মামলা পরিচালনে অস্বীকার করেন এবং বড়লাট লর্ড আরউইনকে তাহার অতিরিক্ত ক্ষমার বলে বিচার শীঘ্র শেষ করিবার জন্য ‘ লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা অর্ডিন্যান্স ’ প্রয়োগ করিতে হয়। 

আসামীরা এই অর্ডিন্যান্সের প্রতিবাদকল্পে আদালতে আসিতে অস্বীকার করেন । কিন্তু আইন ও পুলিশ কাহারও জন্য অপেক্ষা করে না । সুস্থ দেহে আদালতে আসার পরিবর্তে , এমনি ঘটনাবিপর্যয় হয় যে , কয়েক জনকে দোলায় চড়িয়া আসিয়া মামলা শুনিতে হইয়াছিল । 

এই প্রহারের ব্যাপারের পর ট্রাইবুন্যালের সভাপতি জাস্টিস কোলস্ট্রিম ও কমিশনার আগা হায়দর এই মামলার সহিত তাঁহাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেন । তাঁহাদের শূন্যস্থানে নূতন বিচারক হইয়া আসিলেন জাস্টিস ট্যাপ ও স্যার আবদুল কাদের বিচার শেষ হইল । ”

 রায়ের বিরুদ্ধে ভগৎ সিংয়ের পিতা সর্দার করণ সিং প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করবার জন্য আদালতে এক আবেদন পেশ করলেন ।

 এই কথা জানতে পেরে ভগৎ সিং তাঁর পিতাকে লিখলেন : “ আমার পক্ষ সমর্থনের জন্য আপনি স্পেশাল ট্রাইবুন্যালের বিচারপতিদের নিকট আবেদন করিয়াছেন । এই সংবাদ অবগত হইয়া আমি মর্মাহত হইয়াছি । এই কঠিন আঘাত স্থিরভাবে সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় । আপনার এই আবেদন ভিক্ষা আমার মানসিক শান্তিকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করিয়াছে । 

আপনি আমার জীবনকে যতখানি মূল্যবান মনে করেন , আমি তাহা মনে করি না । আমার আদর্শকে বলি দিয়া আমার প্রাণকে রক্ষা করিবার কোনও প্রয়োজন নাই । আমার বহু সহকর্মীর অবস্থা আজ ঠিক আমারই মত গুরুতর । আমরা সকলে একই আদর্শ গ্রহণ করিয়াছিলাম এবং এতকাল একসঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়াইয়া আসিয়াছি । শেষ পর্যন্তও আমরা ঠিক সেই ভাবেই থাকিব । উহাতে আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি যত গুরুতরই হোক না কেন , কোন ক্ষতি নাই । 

পূর্বে আমার যে অভিমত ছিল , আজও তাহা স্থির আছে । আত্মপক্ষ সমর্থন করিলে বোরস্ট্যাল কারাগারে আমার যে বন্ধুগণ বন্দি হইয়া আছেন তাঁহাদের প্রতি আমার বিশ্বাসঘাতকতা করা হইবে । ” ( ট্রিবিউন পত্রিকা থেকে গৃহীত )।

[ আরও দেখুন , ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী – Khudiram Bose Biography in Bengali ]

বিপ্লবী ভগৎ সিং এর ফাঁসির আদেশ : Bhagat Singh Death Panalty :

জাতীয় বীর ভগৎ সিংয়ের ফাঁসির হুকুম শুনে ভারতবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল । দিকে দিকে আওয়াজ উঠল– ভগৎ সিংয়ের ফাসি হলে আমরা তা সহ্য করব না ।

 এই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠল গান্ধী ও বড়লাট লর্ড আরউইনের মধ্যে এক চুক্তির ফলে । এই চুক্তিকে দিল্লি চুক্তিও বলা হয় । 

১৯৩১ খ্রি : ৫ ই মার্চ গান্ধী আরউইন চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার ( ১ ) নিপীড়ন মূলক আইন ও অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করে নেন ( ২ ) হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগে রাজনৈতিক বন্দিদের ছাড়া অন্যান্য সব বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে । ( ৩ ) সমুদ্রতীরে বসবাসকারী অধিবাসীদের নিজেদের প্রয়োজনে লবন তৈরি করা এবং বিলিতী মদ ও বস্ত্রের দোকানে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করা বিধিসম্মত হবে । সরকার স্বীকার করে নেন ( ৪ ) ভারতের প্রতিরক্ষা , বৈদেশিক সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু শ্রেণীর স্বার্থরক্ষার সব দায়দায়িত্ব সরকারের হাতে রাখা হবে । 

শর্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হল । কেবল মুক্তি পেলেন না বিপ্লবীরা ।

 ৫ ই মার্চ তারিখে চুক্তি স্বাক্ষর করেই গান্ধীজি সিমলা থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন , এই চুক্তি সর্বতোভাবে গৃহীত হলে , সহিংস কাজের জন্য যাঁদের ফাঁসির হুকুম হয়ে আছে , তাঁরাও মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা করেন । 

কিন্তু দেশবাসী প্রচন্ড ক্ষোভ ও দুঃখের মধ্যে ২৩ শে মার্চ জানতে পারলেন , দেশবাসীর সকল আবেদন অগ্রাহ্য করে ভগৎ সিং , শুকদেব ও রাজগুরুকে সেদিন লাহোর জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে । 

পরদিনই করাচিতে কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হবার কথা । লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী সেদিন করাচির পথে । 

এর পরের ঘটনা ভগৎ সিংয়ের এক সহকর্মী মুক্তিপ্রাপ্ত অজয় ঘোষ জানিয়েছেনঃ

 “ বাইরে এসে সেদিন বুঝতে পারলাম , ভগৎ সিংয়ের মূল্য আমাদের দেশের কাছে কতখানি । তখনকার দিনে যত সভা হত , সেখানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে শ্লোগান হত– ভগৎ সিং জিন্দাবাদ । 

ভগৎ সিংয়ের নাম তখন লক্ষ লক্ষ লোকের মুখে শোনা যেত , প্রতিটি যুবকের বুকে আঁকা ছিল তাঁরই মূর্তি । আমার বুক আনন্দে ও গর্বে ভরে যেত , যখন ভাবতাম — এমন একজন লোকের সহকর্মী ছিলাম আমি — যাঁকে আমি চিনতাম ।

[ আরও দেখুন , নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী – Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali ]

ভগৎ সিং এর ফাঁসি – Bhagat Singh Death Panalty :

 … ১৯৩১ খ্রি মার্চ মাস , কংগ্রেসের করাচি অধিবেশনের ঠিক পূর্বে একদিন তাদের ফাসি হয়ে গেল । ভগৎ সিংয়ের বয়স তখন চব্বিশও পূর্ণ হয়নি ।

 আমি করাচির পথে এ সংবাদ পেলাম । যারাই শুনল , শিশুর মতই কেঁদে উঠল ৷ আমি বিমূঢ় হয়ে গেলাম ।

 একটা ধূমকেতুর মত ভগৎ সিং ভারতবর্ষের রাজনৈতিক আকাশে ক্ষণিকের জন্য উদয় হয়েছিল । কিন্তু তাঁর এই ক্ষণিক উদয় ব্যর্থ হয় নি । কোটি কোটি লোকের দৃষ্টি ছিল তাঁর ওপর নিবদ্ধ । তাঁরা তাঁর মধ্যে খুঁজে পেয়েছিল নূতন ভারতের আত্মার প্রতীক ।

 মরণে নির্ভীক , সাম্রাজ্যবাদী শাসনের উচ্ছেদে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল সে । সে চেয়েছিল আমাদের এই দেশে সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসাবশেষের উপর গড়ে তুলতে এক স্বাধীন গণতন্ত্রের প্রাচীর।”

ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়ে , ভারতবর্ষে ইনকিলাব জিন্দাবাদ এই মহামন্ত্রের উদ্‌গাতা বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং ভারতবাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে রইলেন ।

ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali FAQ :

• ভগৎ সিং কে ছিলেন ?

Ans: ভগৎ সিং ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ।

• ভগৎ সিং এর জন্ম কোথায় হয় ?

Ans: ভগৎ সিং এর জন্ম হয় লয়ালপুর, পাঞ্জাব এ ।

• ভগৎ সিং এর জন্ম কবে হয় ?

Ans: ভগৎ সিং এর জন্ম হয় ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯০৭ সালে।

• ভগৎ সিং এর পিতার নাম কী ?

Ans: ভগৎ সিং এর পিতার নাম সর্দার কিসান সিংহ সান্ধু।

• ভগৎ সিং এর মাতার নাম কী ?

Ans: ভগৎ সিং এর মাতার নাম বিদ্যাবতী দেবী ।

• ভগৎ সিং এর ফাঁসি কবে হয় ?

Ans: ভগৎ সিং এর ফাঁসি হয় ১৯৩১ সালে ।

• ভগৎ সিং এর আন্দোলন কী ছিল ?

Ans: ভগৎ সিং এর আন্দোলন ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ।

• ভগৎ সিং এর কোথায় ফাঁসি হয় ?

Ans: ভগৎ সিং এর ফাঁসি হয় লাহোর এ ।

[ আরও দেখুন , এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali

আরও দেখুন , সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী – Sourav Ganguly Biography in Bengali

আরও দেখুন , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali

আরও দেখুন , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali

আরও দেখুন , শচীন টেন্ডুলকারের জীবনী – Sachin Tendulkar Biography in Bengali ]

   অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই ভগৎ সিং এর জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।

RELATED ARTICLES MORE FROM AUTHOR

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – rabindranath tagore biography in bengali, নরেন্দ্র মোদীর জীবনী – narendra modi biography in bengali, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনী – mamata banerjee biography in bengali, শোয়েব আখতার এর জীবনী – shoaib akhter biography in bengali, লাল কৃষ্ণ আদভানি এর জীবনী – lal krishna advani biography in bengali, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী – netaji subhash chandra bose biography in bengali, সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | general knowledge in bengali p-188, ভারতের নদীরতীরে অবস্থিত শহরসমূহ – important indian towns on rivers |..., উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত – ব্যাকরণ – প্রশ্নোত্তর সাজেশন | higher secondary..., একাদশ শ্রেণী ইতিহাস – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়)..., আথিয়া শেঠি এর জীবনী – athiya shetty biography in bengali, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স – current affairs in bengali : 16 may 2020, দার্শনিক থেলিসের জীবনী – thales biography in bengali, প্রাণী জ্ঞান | আশ্চর্যজনক তথ্য পর্ব ২ | animals knowledge |....

EDITOR PICKS

Hs pass scholarship 2024 | উচ্চমাধ্যমিক পাশ শিক্ষার্থীরা পাবে ১২ হাজার..., west bengal hs result 2024 | উচ্চমাধ্যমিক রেজাল্ট ২০২৪, hs philosophy suggestion 2025 | উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন ২০২৫, popular posts, hs bengali suggestion 2023 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩, hs bengali suggestion 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪, hs bengali suggestion 2022 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২, popular category.

• Biography 683
• Madhyamik 609
• Current Affairs 388
• Higher Secondary 382
• General Knowledge 368
• Graduation Geography 205
• Madhyamik Geography 171
• Class 9 153
• Madhyamik Bengali 140

মিমি চক্রবর্তী এর জীবনী – Mimi Chakraborty Biography in Bengali

Bhagat Singh

(1907-1931)

Bhagat Singh was born in Punjab, India (now Pakistan), on September 27, 1907, to a Sikh family deeply involved in political activities. He quit school at thirteen to devote his life to Indian independence. He became involved in several violent demonstrations of political defiance and was arrested several times. Singh was found guilty of killing a British police officer and hanged on March 23, 1931.

Early Years

Born on September 27, 1907, to a Sikh family in Punjab, India (now Pakistan), Bhagat Singh was the second son of Kishan Singh and Vidya Vati. The family was steeped in nationalism and involved in movements for independence. At the time of Bhagat's birth, his father was in jail for political agitation.

Young Firebrand

In 1926, Bhagat Singh founded the 'Naujavan Bharat Sabha (Youth Society of India) and joined the Hindustan Republican Association (later known as Hindustan Socialist Republican Association), where he met several prominent revolutionaries. A year later, Singh’s parents planned to have him married, a move he vehemently rejected, and he left school.

By this time, Bhagat Singh had become a person of interest to the police, and in May 1927, he was arrested for allegedly being involved in a bombing the previous October. He was released several weeks later and began to write for various revolutionary newspapers. After receiving reassurances from his parents that they wouldn’t force him to marry, he returned to Lahore.

Radical Revolutionary

In 1928, the British government held the Simon Commission to discuss autonomy for the Indian people. Several Indian political organizations boycotted the event because the Commission had no Indian representatives. In October, Bhagat Singh’s comrade, Lala Lajpat Rai led a march in protest against the Commission. Police attempted to disburse the large crowd, and during the melee, Rai was injured by the superintendent of police, James A. Scott. Rai died of heart complications two weeks later. The British government denied any wrongdoing.

To avenge his friend’s death, Bhagat Singh and two others plotted to kill the police superintendent, but instead shot and killed police officer John P. Saunders. Singh and his fellow conspirators escaped arrest despite a massive search to apprehend them.

In April 1929, Bhagat Singh and an associate bombed the Central Legislative Assembly in Delhi to protest implementation of the Public Safety Bill. The bombs they carried allegedly were not intended to kill but to scare (no one was killed, though there were some injuries). The bombers planned to get arrested and stand trial so they could further promote their cause.

Arrest and Trial

The actions of the young revolutionaries was soundly condemned by followers of Gandhi, but Bhagat Singh was delighted to have a stage on which to promote his cause. He offered no defense during the trial but disrupted the proceedings with rants of political dogma. He was found guilty and sentenced to life in prison.

Through further investigation, the police discovered the connection between Bhagat Singh and the murder of Officer Saunders and he was rearrested. While awaiting trial, he led a hunger strike in prison. Eventually, Singh and his co-conspirators were tried and sentenced to hang. He was executed on March 23, 1931. It is said that he kissed the hangman’s noose before it was placed around his neck. His death brought mixed emotions throughout India. Followers of Gandhi felt that he was too radical and hurt the quest for freedom, while his supporters considered him a martyr. Singh remains a significant, though controversial, figure in India’s independence movement.

QUICK FACTS

• Name: Bhagat Singh
• Birth Year: 1907
• Birth date: September 27, 1907
• Birth City: Punjab
• Birth Country: British India (now Pakistan)
• Gender: Male
• Best Known For: Considered to be one of the most influential revolutionaries of the Indian independence movement, Bhagat Singh gave his life for this cause.
• World Politics
• Astrological Sign: Virgo
• Dayanand Anglo Vedic High School And National College
• Nacionalities
• Interesting Facts
• At age 13, Bhagat Singh quit school to become a revolutionary.
• Occupations
• Political Activist
• Death Year: 1931
• Death date: March 23, 1931
• Death City: Lahore
• Death Country: British India (now Pakistan)

We strive for accuracy and fairness.If you see something that doesn't look right, contact us !

CITATION INFORMATION

• Article Title: Bhagat Singh Biography
• Author: Biography.com Editors
• Website Name: The Biography.com website
• Url: https://www.biography.com/political-figures/bhagat-singh
• Access Date:
• Publisher: A&E; Television Networks
• Last Updated: August 14, 2019
• Original Published Date: May 7, 2015
• Every tiny molecule of Ash is in motion with my heat I am such a Lunatic that I am free even in Jail.
• Any man who stands for progress has to criticize, disbelieve and challenge every item of the old faith.
• The sanctity of law can be maintained only so long as it is the expression of the will of the people.

Watch Next .css-smpm16:after{background-color:#323232;color:#fff;margin-left:1.8rem;margin-top:1.25rem;width:1.5rem;height:0.063rem;content:'';display:-webkit-box;display:-webkit-flex;display:-ms-flexbox;display:flex;}

Famous Political Figures

Julius Caesar

10 of the First Black Women in Congress

Kamala Harris

Deb Haaland

Why Lewis Strauss Didn’t Like Oppenheimer

Madeleine Albright

These Are the Major 2024 Presidential Candidates

Hillary Clinton

Indira Gandhi

Toussaint L'Ouverture

Vladimir Putin

Bhagat Singh Study

Bhagat Singh Study is a blog to know about great Indian martyr Bhagat Singh and other revolutionaries of the world, who played a historic role in shaping the destiny of Indian nation and the world. Bhagat Singh and Che Guevara like revolutionaries are the icons of youth, who wish to change the world. In this blog there are photographs, documents and research material about Bhagat Singh and other revolutionaries of the world.

Friday 11 January 2008

Bhagat singh in bengali writings /himadri banerjee.

______________________________________________________________________________________

Bhagat Singh in Bengali Writings

Himadri Banerjee

Department of History

Jadavpur University

The paper seeks to review a few printed Bengali sources regarding Bhagat Singh. Published over a period of eighty one years (1926 - 2007), these materials may be of some use to those who seeks to comprehend how the message of militant/revolutionary politics has been communicated among the Bengalis. These are mostly available in newspaper reporting, monograph and periodical. Here one may come across how the perceptions of the Bengalis about Bhagat Singh have changed over the years. The essay, however, does not claim that it refers to all published Bengali writings on Bhagat Singh.

Authors came from different walks of life and their contributions created a literary mosaic. A survey of these sources may provide a regional perspective to Bhagat Singh’s life as well as Bengal’s long term political association with Punjab during the days of the anti-colonial movement. My selection of the two terminal years (1926 and 2007) is primarily dictated by the availability of source materials. They not only refer to two different paradigms of Bengali mind separated from one another by a long time scale but also underline how imagination of a linguistic group is often coloured by certain local political considerations and newer social experiences.

These materials on Bhagat Singh can broadly be categorized under five heads. (i) Immediate reactions in Bengali after Bhagat Singh’s death in Lahore Jail (1931). Here the bulk of the information comes from the Report on the Newspapers and Periodicals in Bengal , January-June1931 (hereafter RNPB ) preserved in the archives . These are English translated versions of Bengali writings. (ii) A few biographies of Bhagat Singh were published in the post independence years. Such life sketches are generally of two types: one meant for the serious readership while the other sought to cater to the needs of the children. (iii) Memoirs and autobiographies of a few Bengali revolutionaries and other Marxist leaders who had the privilege of meeting Bhagat Singh and/or working with him for a brief period in the 1920s. (iv) In the recent years some of the important writings of Bhagat Singh have been translated into Bengali. These provide first hand information about Bhagat Singh’s political philosophy. (v) Some recent essays refer to Bhagat Singh’s fighting role in British prisons published on the occasion of the birth centenary celebration (2007). These sources seek to evaluate the relevance of Bhagat Singh’s fight for the protection of certain basic rights of the political prisoners (1930-1931) inside jails. Growing intolerance of the Indian state towards political dissenters and human right activists since the last quarter of twentieth century has possibly added to their importance. These materials also try to underline that the oppressive state power’s needs resistance both inside and outside the jails thereby suggesting a struggle continuum for citizen’s democratic survival.

The first section of the paper is devoted to a few immediate Bengali press reactions about Bhagat Singh’s execution (March 1931). These sources may be supplemented by similar sources not included in the RNPB . Perhaps a small note on the content and the method of compilation of the RNPB may justify my supplementing these materials from other Bengali periodicals of the period.

The RNPB was generally prepared by one or two senior official Bengali translators holding office in the Intelligence Branch of the British administration. They first went through that voluminous newspaper –periodical reporting published in Bengal but selected only those news items which appeared directly or indirectly relevant to the contemporary nationalist and international politics. Later on these selected items were translated into English under certain classified heads and kept ready in print for official use. These were regarded highly confidential documents meant for the official use only and the common people had no access to these materials. Their pronounced official bias therefore precluded inclusion of many other crucial information which the bureaucracy did not regard important for its use.

These raw materials underline conflicting forms of reactions of the Bengalis. (i) A large section of the Bengali press expressed deep grief and sorrow at the execution of Bhagat Singh. They respectfully remembered Bhagat Singh’s heroic self-sacrifice but criticized the British administration’s indifference to save the revolutionary’s life ( Swadhin Bharat , Lokmanya , Taranga , Kolkata). Some others also pointed out that the tragedy underlines the futility of honoring the terms of the recently concluded Delhi Accord signed between Gandhi and Governor General Lord Irwin ( Nayak , Dainik Basumati , Kolkata). Others, however, advised the countrymen to remain calm so that the Delhi Pact did not become ‘a trivial thing’ ( Dainik Basumati , Kolkata).

(ii) Another important form of press reaction was the glowing tribute paid to Bhagat Singh’s martyrdom but refused to agree that it had been the right path of attaining India ’s independence ( Bangavani , Dakha). They held that it would encourage ‘young men to secede from the Congress’ ( Swadhin Bharat ) and intensify hatred/ bloodshed in the countryside. The nation had become ‘restless’ ( Nayak ). They had deep apprehension of how ‘the public mind’ would react to the forthcoming Congress session at Karachi ( Bangavani ) though the majority had all praise for the message of nonviolence of Gandhi ( Swadhin Bharat ).

(iii) It was also acknowledged that Bhagat Singh’s aggressive path would likely to lead to serious fissure in the ranks of the nationalists ( Pravartak, Chandannagar). A small segment of them even recorded that ‘Gandhi has been tricked by the British bureaucracy’ thereby strengthening ‘ India ’s fetters of subjection’ ( Dainik Basumati ). The Gandhian criticism of the militant politics of Bhagat Singh sometimes evoked silent protest ( Prabashi and Bharatbarsha , Kolkata). Contemporary Bengali press reaction of the first six months following the execution of Bhagat Singh was generally of a mixed nature. It made no secret of its hatred against British rule. Its anger was sometimes expressed in the traditional social understandings like pap (sin) and attyachar (oppression) perpetrated by the shasak (ruling power) on its subjects ( praja ).

There are more materials of the same category which do not find place in the RNPB. I have left them aside for fear of being repetitive. There is hardly any long term unanimity in this voice of protest. Even some of them expressed doubts about the path of violence taken up Bhagat Singh while Gandhi was not also spared for his unfortunate comments regarding the role of the militant nationalists. But it did not continue for a long time. A review of the RNPB of the second half of 1931 would point out that there was virtually no significant reference to Bhagat Singh’s martyrdom in it. It seems that the death of Bhagat Singh had an immediate and overwhelming effect upon popular mind, generating deep shock for a certain period of time and later on it steadily died down.

There is another category of writings authored by a number of Bengali militant nationalists, revolutionaries and other Marxists leaders. These autobiographies and memoirs were mostly published long after Bhagat Singh’s death. At least one of them was originally written in English by one of Bhagat Singh’s comrades which were later on translated into Bengali. I have found many of these memoirs useful providing a near contemporary perspective to Bhagat Singh’s life.

Perhaps one may conveniently begin with a brief reference to Nalinikishore Guha’s Bangalr Biplabbad (1923). In one of its subsequent editions, Guha suggested that possibly around March 1924 Bhagat Singh was brought closer to the Bengal revolutionary groups through the intervention of Sachindranath Sanyal, a senior Bengal revolutionary long engaged in spreading the message of armed insurrections in different parts of northern India . This is also confirmed by Sanyal in his autobiography Bandi Jivan . Thus began almost a decade long interactions between them which had ended with Bhagat Singh’s death (1931). The latter had also an important role in suggesting certain changes in the name and organizational pattern of the HSRA. Sanyal and Bhagat Singh had mutually respectful attitude towards each other though they had equally some serious differences on matters of political ideology/strategy.

Ajoy Ghosh’s Bhagat Singh o Tar Sahakarmira (February 1946, a Bengali translated version of his Bhagat Singh and His Comrades , 1946) carried almost a similar message. The author came closer to Bhagat Singh when both of them were young and shared the common political ideology of resisting British imperialism through armed intervention. But after Bhagat Singh’s death, the author embraced Marxism and steadily distanced himself from the militant politics of the 1930s. He, however, wrote about his friend of the younger days with much appreciation and respect. He also made no secret of Bhagat Singh’s firm commitment towards social revolution though he was not perhaps ready to acknowledge him as one of the early followers of Marxism in India . Ghosh concluded that his (Bhagat Singh’s) political ideology was fast changing towards the closing years of his life.

Another important Marxist leader of the period was Muzaffar Ahmad. He had the occasion of meeting Bhagat Singh in Lahore (1926 December), came to know him when the latter had been busy in the different political activities of the Naujawan Bharat Sabha and the Kirti Kishan Party. Ahmad in his autobiography Bharater Communist Party o Amar Jiban (1969) briefly refers to Bhagat Singh. In his eyes Bhagat Singh was unfortunately nothing more than a terrorist. Muzaffar Ahmad’s assessment of Bhagat Singh is not shared by his other comrades in the party.

Bhagat Singh also figured in the autobiography of Trailokyanath Chakrabarti. Also known as Maharaja in Bengali politics, he spent more than thirty years of his life in British and Pakistan jails. His memoirs Jele Trish Bachhar o Pak Bharater Swadhinata Sangram (Kolkata 1968) not only outlines Bhagat Singh’s busy schedule in Kolkata (1928) but also the long talk he had with the Punjab revolutionary about the latter’s future plan of action. According to him, it had close relationship with the throwing of bomb in the Delhi assembly hall which finally led to his imprisonment and death in 1931.

Chakrabarti suggests that he secretly came down to Kolkata with the plan of meeting some likeminded senior militant leaders. With this end in view he first met Jatindranath Mukherjea (then known as Niralamba Swami) who had long before in Punjab for different organizational works there in the early years of twentieth century. With his blessings he also met Jatindranth Das in a place near north Kolkata and persuaded him to come out of Bengal and join the larger revolutionary activities in northern India . Chakrabarti’s memoirs also point out:

‘There was a good deal of personal touch and simplicity in his talk….I told Bhagat Singh, “You try to assemble five hundred volunteers from the different districts of Punjab . The group would be your future source of strength. Punjabis are martial race. Many of their relatives are in the army. If you build up a volunteer force, you can expect to begin an armed insurrection out of these men”… Bhagat Singh was happy and went away…..Initially Bhagat Singh tried to build up a group [as I have suggested him earlier] But he was depressed owing to his failure to build up a party of his own. He was then increasingly convinced that he should be doing something ….so that the Punjabis could be awakened from their sleep…After a few days it was found…that there was bomb busting in the assembly. ..Bhagat Singh firmly held that by throwing a few bombs or by killing a handful of Whiteman, the country would not achieve freedom. Bhagat Singh had deep faith that country would woke up by such acts. There would be an awakening among the young generation. Bhagat Singh’s execution created a new sense of confidence and hope.’

The validity of the above had been questioned by Shiv Verma, a long time associate of Bhagat Singh. Raising serious doubts about it, Verma had suggested that the throwing of bombs on the assembly (1929) was not entirely a personal choice of Bhagat Singh but it was decided in a general meeting of the HSRA held in the last week of February 1929. Chakrabarti wrote about his experience of 1928 nearly four decades later. One cannot rule out the possibility that in the meantime his memory of the meeting was considerably weakened. Verma’s writings possibly give us an unfortunate impression that Chakrabarti has not only made a mountain out of a mole hill but also trying to belittle the strategy as well as the sacrifice of Bhagat Singh.

The wider context of Chakrabarti’s memoir perhaps needs to be seriously read again for a better understanding of the encounter between the two leading personalities of India ’s freedom movement. While appreciating Verma’s point of view, one expects to be equally careful and caring in reviewing Chakrabarti’s memoir. We are not also sure whether Verma was present when the meeting between Bhagat Singh and Chakrabarti had been going on in Kolkata. The description of the same meeting in two memoirs is likely to be different due to numerous reasons. It is perhaps one such area of the Indian past where the sources from different memoirs are likely to give rise to more than one versions of truth. Such methodological difficulties in the reception or rejection of Bengali sources need to be remembered in this connection.

The memory of Bhagat Singh was also remembered by another section of Bengalis in the post-independence decades. During the early years of independent India , reconstruction of the Indian past continued to remain an important agenda of the national life. Bhagat Singh’s martyrdom thus figured as one of the important icons of the nation building process. In the early 1950s, Bhagat Singh was first briefly remembered in a biography (1951).

It was a small book of forty seven pages and written by Nripendrakrishna Chatterjee, a popular biography writer of the period. Dev Sahitya Kuthir, a well-known publisher of nearly fifty years standing with many intimate links of the rural book trade, claimed that it was the seventh publication of the ‘Amar Beer’ biography series meant for young boys and girls. The monograph managed to include brief life sketches of Chandrasekhar Azad and Shiv Verma, two other comrades of Bhagat Singh in northern India .

It was written in simple style understandable to the young readership. Nripendrakrishna briefly referred to the heroic role of Bhagat Singh but simultaneously did not fail to refer to some of the major organizational weaknesses of the militant politics. The biographer, however, maintained silence regarding his sources of information. Since the book was primarily meant for kids, he perhaps regarded that it would not only affect his literary style but also make the volume big and heavy for the same category of readership. Further the inclusion of other two character sketches in a small volume marginalized his search for the Bhagat Singh of history.

On the occasion of the ninetieth birthday celebration (1997), Bengali interest on Bhagat Singh once more diverted to his biography writing. During the intervening years, he was ceremoniously remembered on his birthday and there were meetings and speeches commemorating his sacrifices. But from the late 1970s, there was growing competition among different political groups to appropriate his memory for strengthening their respective political base at the local level. The Indian National Congress was first in the race and even renamed a local park in the name of Bhagat Singh to perpetuate his memory among the Kolkattans.

During the same period different left political parties also no longer bracketed him with the terrorist movement of the colonial period. On the contrary, his commitment to fight imperialism with the support of the wider sections of the Indian people was increasingly appreciated by many of them. It led to the publication of three biographies out of which at least two were certainly of a very high order. None of the authors came from the university centric academic life nor do they ever claim of having any professional training in the discipline of history. There was at least one thing common them. They had either criticized or showed indifference about the non-violent politics of the Congress led national movement for its indifference towards the heroic sacrifices of the militant nationalists.

Pragati Maiti’s biography of Bhagat Singh (1997) is the briefest of the three. The author was actively associated with the Marxist led trade union movement of 1980s. A scion of the freedom fighters’ family, Maiti portrays Bhagat Singh as one of his ideal heroes of the Indian freedom movement but deliberately marginalized in the historiography of the Indian freedom movement. After reviewing numerous school level History text books he concludes that even a great martyr like Bhagat Singh has been a victim of the politics of silence for which he squarely blames the contemporary Congress leadership. During his younger days in the early 1970s he found the school level history text book was virtually a hegemonic narrative of the Gandhi-led Congress success story. There was virtually no reference to other streams in the national movements carried on by peasants, labourers, women and students which had added colour and variety to the struggle of the Indians. His biography also provides a glimpse of the struggle that had already taken place over the revision of school level text books in West Bengal since the late 1970s.

The two other biographies are not written in the same aggressive vein and their authors are equally more concerned about their sources. One of them comes from Santosh Adhikari, a professional engineer. The title of the book is Santrasbad o Bhagat Singh . It is divided into twenty five uneven chapters with three long appendices and a bibliography. Its first five chapters are devoted to the family background and the formative years of Bhagat Singh’s life (1907-1923). Adhikari devoted special attention to the reconstruction of Bhagat Singh’s close relationship with the Bengal revolutionaries of different political shades and the bulk of the chapters of six, thirteen and twenty dwell on it. Here the names of Sachindranath Sanyal, Batukeswar Datta, Jatindranath Das, Trailokhyanath Chakrabarti and Jogeshchandra Chatterjee figure prominently in the book.

The title of Adhikari’s volume perhaps conveys author’s initial cautious and conventional approach. He is not also very consistent while describing the early political philosophy and plan of action of Bhagat Singh. The author then places him somewhere between the terrorists and the Ghadarites since both had subscribed to the doctrine of armed insurrections of varying shades. Bhagat Singh’s hero was then Kartar Singh of Saraba of the Ghadar fame. The sudden withdrawal of the non-cooperation movement made him disillusioned with the Gandhian politics of non-violence. Unlike Maiti, Adhikari never brought out his venom in public against Gandhi. But Bhagat Singh’s growing interactions with the different socialist and communist groups like the Hindustan Socialist Republican Association (HSRA) and the Naujawan Bharat Sabha since the mid 1920s prompted the author to revise his earlier assessment on Bhagat Singh. He was then confident that Bhagat Singh was increasingly exposed to the communist political philosophy and he was equally interested about Lenin’s writings and the different rapid developments taking place inside Soviet Russia.

Bijaya Banerjee’s Biplabi Bhagat Singh is the most detailed and extensively researched biography in Bengali. He served the Corporation of Calcutta but once travelled beyond Bengal in search of first hand acquaintance with those who had some memories of Bhagat Singh. His bibliography underlines his wide interest about the different varieties of sources available in the archives as well as in printed Bengali, English and Hindi languages. The biography was fairly received in the contemporary Bengali press. It had a revised edition in 2005.

Banerjee divides the biography into ten chapters with two long appendices, footnotes extended over nine pages, a bibliography and an index. The first three chapters briefly refer to the family background of Bhagat Singh while the other seven maintain a well-defined chronological sequence beginning with his birth in 1907 till end in March 1931. With the exception of the fourth chapter outlining his career till 1924, the other six virtually concentrate on the remaining six and half years of his life. The author has tried to present Bhagat Singh within a broad documentary framework and sought to maintain a formal style which one would sometimes be missing in the two earlier biographies.

The study underlines a gradual evolution in Bhagat Singh’s political philosophy as well as his serious attempt to build a definitive link among the like minded militant revolutionaries, socialists and communists. Banerjee takes notes of certain other distinctive features of Bhagat Singh’s character like firm and sincere commitment to his own political ideology and extensive reading of the different socialist and other literature. Through these initiatives he tried to keep himself politically update in his dialogue with his like- minded friends in Delhi , Aligarh , Kanpur and Kolkata for an armed offensive against the British. The biographer was not also unaware of certain political differences between Bhagat Singh and his great friend Sachindranath Sanyal.

The book also takes special care in elaborating the long history of Bhagat Singh’s Bengali connection. Besides his close political interactions with Sachindranath Sanyal, Ajoy Ghosh and Batukeswar Dutta in northern India , Banerjee pieced together fragments of information about Bhagat Singh’s brief stay during the Calcutta Congress session (1928) as well as his meetings with Trailokhyanath Chakraborty, Jatindranath Das, J.N. Banerjee and others in connection with his future plan of action in northern India . Finally, the biography refers to Bhagat Singh’s appreciation of the writings of Kazi Nazrul Islam, Rabindranath Tagore and other Bengali poets and littérateurs. Banerjee concludes that it underlines Bhagat Singh’s deep understanding of the significance of mother tongue in conveying the message of patriotism to the common people.

These biographies project Bhagat Singh in three different shades. The biographers were born in families where the message of the national politics of the pre-independence days remained an important mobilizing force and played an active role in moulding their political ideology. At least two of them felt the need of writing two separate biographies of Bhagat Singh exclusively meant for the children. Thus illustrated biographies of Bhagat Singh for the children were brought out in quick success (2003). These encouraged others to join anticipating their ready reception and marketability on the eve of the centenary celebration.

Finally, I would refer to two other remaining categories of sources: (i) some of the original writings of Bhagat Singh which are translated into Bengali and (ii) those essays which are brought out on Bhagat Singh in course of the last few months when the Bengalis are getting ready for celebrating the centenary.

I have so far able to trace two separate volumes dealing with Bhagat Singh’s works and both are published by the student wing of the Socialist Unity Centre of India (SUCI), one of the major left political parties in West Bengal . They are not one of the constituents of the Left Front Government which is presently at the helm of powers in West Bengal . The SUCI is bitterly opposed to the Communist Party of India, Marxist [hereafter CPI(M)] led administration and often conveys its political opposition through their protest marches and organized political rallies against the government. Through annual birth celebrations of Bhagat Singh, it seeks to convey the message of his fight among the Bengalis.

On the occasion of its fiftieth foundation day, a small booklet of 64 pages was published. It includes some of the letters and essays of Bhagat Singh in translation. There was also a life sketch of Bhagat Singh which was restricted to the three-fourths of a page briefly indicating some of the major events of his life. The volume also includes a long essay entitled ‘Saheed-i-Azam.’ It runs over more than 30 pages and outlines the political ideology of Bhagat Singh. He is portrayed as a revolutionary leader with a great vision. He had the strong conviction of organizing an armed revolution with the hope of setting up a socialist republic in India . The essay highlights the ceaseless resistance of Bhagat Singh against the tyrannical political authority of the British Raj. Through it the SUCI perhaps seeks to defend its strong opposition to the CPI (M) led administration in West Bengal .

With the exception of that long essay mentioned above, the whole text of the golden jubilee volume was virtually lifted out and incorporated in the Bhagat Singh Rachana Samgraha (2007). But it included a few other writings of Bhagat Singh. The volume was however edited in a very slipshod manner. In stead of separating the letters of Bhagat Singh from his essays and putting them under two separate headings, the editor of the volume failed to maintain any line of demarcation between them. On many occasions, he even rearranged some of the original paragraphs of Bhagat Singh’s writings and declined to mention the original languages from which the subsequent translations were made. But the volume has so far been reprinted seven times. Perhaps its commercial success emboldened the editor to turn a deaf ear to those errors.

Finally, regarding some of the recent essays brought out on the occasion of the birth centenary, I would refer to only one of them. Published in a little magazine Aneek , it refers to Bhagat Singh and Batukeswar Dutta’s (co-accused in the Delhi Conspiracy case) fight for the defence of certain basic rights of the political prisoners imprisoned in different British jails. The author of the essay is Sandweep Bandyopadhyay, a well-known name long associated with the different democratic movements in West Bengal . He argued that nearly seventy five years ago, these two men fought for the protection of certain basic human rights of the political prisoners inside any British jail. In those days it was used as an important political weapon against the tyranny of the British Raj. It was a political ideology virtually inconceivable in the 1930s. But Bhagat Singh fought to the last so that those who were jailed for certain specific political charges should be receiving more humanely treatment from the jail administration. These human rights have nowadays become so important in the context of growing centralization of political power in the hands of the state and its intolerance to accommodate any space to its political dissenters in independent India . Banerjee argues that even today these rights are more flouted than obeyed. Here lies the great significance of Bhagat Singh. He tried to protect some of the basic political rights of those prisoners who had suffered at the hands of the British. When such repressive and undemocratic things are often taking place in contemporary India , it underlines the need of remembering the sacrifices of Bhagat Singh in the early years of twenty first century.

These Bengali sources therefore offer a plural profile of Bhagat Singh which may not be entirely unknown to you. While appreciating the relevance of Bhagat Singh’s role in the contemporary politics as well as the competition among the different political parties to appropriate his message at the local level, I would however refer to another area. It is related to my ongoing work on the History of Sikhs in eastern India . These Bengali materials underline Punjab revolutionaries’ attempt to maintain close contact with their counterparts in Bengal since the early twentieth century and the vice versa. It perhaps began with the Canal Colony Agitation (1907) and continued by the Ghadarites in the 1910s. It reached a new dimension with Bhagat Singh at its centre in the 1920s.On the other hand, the activities of Bengal revolutionaries like J.N.Mukherjea, Sachindranath Sanyal, Jatindranath Das and Batukeswar Dutta strengthened the link. At a later date the Communists and other nationalist leaders also participated in it.

With the participation of the Akalis in the nationalist politics since the early 1920s a new dimension was added to it. We witness a wider mobilization in the Sikh politics and its impact was intermittently felt in the streets of Kolkata. Contemporary British intelligence records provide detailed information about the nature of the movement as well as the social background of the participants in the city. It was generally described as a subaltern movement who were predominantly from the ranks of the guards, automobile owners, drivers, conductors and cleaners. Thus Kolkata of the 1920s was getting ready for a major confrontation between the Akalis and the government which persisted till the late 1930s. Perhaps the militant revolutionaries of both the provinces made the Akali mobilization against the colonial administration comparatively easier in Kolkata. My understanding of the Bengali sources related to the life of Bhagat Singh brought me closer to the issue.

Bibliography:

A. Printed Sources: English

1. D.N.Gupta (Ed.), Bhagat Singh: Select Speeches & Writings , New Delhi : National Book Trust , India , 2007.

2. Gurdev Singh Deol, Shaheed Bhagat Singh: A Biography , Patiala : Punjabi University , 1969.

3. Report on Newspapers and Periodicals in Bengal , January- June 1931.

B. Printed Sources: Bengali: Journals

1 . Aneek , June 2007.

2. Bharatbarsha, Baisakh 1338 B.S . (1931 April-May 1931).

3. Chhatra Samhati : Shaheed-i-Azam Bhagat Singh , Kolkata: Ganadavi Printers, 2004.

4. Prabartak, Baisakh 1338 BS (1931 April-May).

5 . Smaranika: 2007 , Kolkata: Paschimbanga Itihas Samsad, 2007.

C. Printed Sources: Bengali: Books

1. Adhikari, Santoshkumar, Santrashbad o Bhagat Singh , Calcutta , Anandadhara Prakashan, 1984.

2. Ahmad, Muzafar, Bharater Communist Party o Amar Jiban , Kolkata: National Book Agency, 1988 (first published in 1969).

3. Bandyopadhyay, Bijaya, Biplabi Bhagat Singh , Kolkata: Sahityalok, 1997.

4. Bandyopadhyay, Bijaya, Shaheed Bhagat Singh , Kolkata: Sahityalok, 2003.

5. Bandyopdhyay, Bijaya, Biplavi Nayak Sachindranath Sanyal , Kolkata: Sahityalok, 2004.

6. Chakrabarti, Trailokhyanath, Jele Trish Bachhar o Pak Bharater Swadhinatha Sangram , Kolkata: Maharaja Trailokhyanath Chakrabarti Smritirakhsha Committee, 1981 (first published in 1968)

7. Chatterjee, Nripendrakrishna, Bhagat Singh, Kolkata: Dev Sahitya Kuthir, 1951.

8. Chatterjee, Ramannanda, Boi Bybsha o Panch Purusher Bangali Parivar, Kolkata: Dev Sahitya Kuthir, 2002.

9. Ghosh, Ajay, ( Tr .), Bhagat Singh o Tar Sahakarmira, Kolkata: Sukumar Mitra, 1946.

10. Guha, Nalinikishore Guha, Bangali Biplavbad, Calcutta , A. Mukherjee & Co., 1396 BS (first published in 1923).

11. Maiti, Paragti, Shaheed Bhagat Singh, Kolkata: Iskra, 1997.

12. Maiti, Pragati, Amader Bhagat Singh, Kolkata: Iskra, 2003.

13. Maiti, Pragati, Beer Shaheed Chadrasekhar Azad , Kolkata: Iskra, 2006.

14. Mitra, Udayan, Ek Biplabir Upakhyan , Kolkata: Karuna Prakashani, 2005.

15. Mukherjee, Manik (Ed.), Bhagat Singh Rachanasamgraha, Kolkata: Patrarekha, 2007.

16. Sahityaratna, Sushantakumar, Biral Biplavi Bhagat Singh , Kolkata: Sahityam, 2005.

No comments:

Post a Comment

• উত্তর 24 পরগণা
• দক্ষিণ 24 পরগণা
• পূর্ব বর্ধমান
• পশ্চিম বর্ধমান
• পূর্ব মেদিনীপুর
• পশ্চিম মেদিনীপুর
• আলিপুরদুয়ার
• উত্তর দিনাজপুর
• দক্ষিণ দিনাজপুর
• মুর্শিদাবাদ
• Privacy Policy
• Terms and Conditions
• Copyright Policy

ভগৎ সিং জীবনী – Bhagat Singh Biography in Bengali

ভগৎ সিং জীবনী: Bengaliportal.com আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Bhagat Singh Biography in Bengali . আপনারা যারা ভগৎ সিং সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ভগৎ সিং এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

ভগৎ সিং কে ছিলেন? Who is Bhagat Singh?

ভগৎ সিং এর জন্ম: bhagat singh’s birthday, ভগৎ সিং এর কর্ম জীবন: bhagat singh’s work life, ভগৎ সিং এর মৃত্যু: bhagat singh’s death.

Table of Contents

ভগৎ সিংহ (ਭਗਤ ਸਿੰਘ) (২৮ সেপ্টেম্বর ১৯০৭ – ২৩ মার্চ ১৯৩১) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রভাবশালী বিপ্লবী। তিনি ছিলেন এক জাতীয়তাবাদি। ভারতের জাতীয়তাবাদিরা তাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে শ্রদ্ধা করে।

ভগৎ সিং 27 সেপ্টেম্বর 1907 জন্মগ্রহণ করেন।

ভগৎ সিং ১৯২২ খ্রিঃ গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করার পর ভারতীয় রাজনীতিতে দলাদলি ও সাম্প্রদায়িক বিরোধ তীব্র হয়ে উঠেছিল। ১৯২৭ খ্রিঃ নাগাদ এই অস্থিরতা অনেকটা স্তিমিত হয়ে এল। সেই সঙ্গে চারদিকে দাবি উঠল প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের। ভারতের দিকে দিকে জেগে উঠল নবজীবনের সাড়া। স্বাধীনতা ভারতবাসীর জন্মগত অধিকার, আমরা চাই স্বাধীনতা।

ভারতের রাজনীতি ক্ষেত্রে এই অস্থিরতা লক্ষ্য করে বড়লাট লর্ড আরউইন একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিশন গঠন করার কথা ঘোষণা করলেন। এই কমিশনের নাম সাইমন কমিশন। নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন প্রখ্যাত উদার নৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সাংবিধানিক আইন বিশারদ স্যার জন সাইমন। তার নামানুসারেই কমিশনের নাম হয়েছে সাইমন কমিশন। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন ভাইকাউন্ট বার্নহ্যাম, লর্ড স্ট্র্যাথকোনা, স্টিফেন ওয়েলিস, এডওয়ার্ড ক্যারোগান, মেজর এটলি ও কর্নেল লেনফক্স। কোন ভারতীয়কে এই কমিশনে নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: হেনরিক যােহান ইবসেন জীবনী

আরও পড়ুন: ম্যাক্সিম গাের্কি জীবনী

আরও পড়ুন: জর্জ বার্নাড শ জীবনী

আরও পড়ুন: আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ে জীবনী

আরও পড়ুন: পাবলো নেরুদা জীবনী

ব্রিটিশ সরকার নিয়োজিত এই কমিশন ১৯২৭ খ্রিঃ ভারতে এলো। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯১৯ খ্রিঃ সংস্কার আইন ভারতে কতটা কার্যকর হয়েছে তা পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে রিপোর্ট পেশ করা। কমিশনে কোন ভারতীয় সদস্য গ্রহণ না করায় ভারতে এই কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হল। কংগ্রেস ছাড়া মুসলিম লিগ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের গঠনতন্ত্রের নিন্দা করে। যেখানে কমিশন যাচ্ছে, সেখানেই হচ্ছে হরতাল। লক্ষ লক্ষ কন্ঠে ধ্বনি ওঠে— গো ব্যাক সাইমন।

কলকাতা, বম্বে, মাদ্রাজ সর্বত্রই একই দৃশ্য। ১৯২৮ খ্রিঃ ৩০ শে অক্টোবর কমিশন এলো লাহোরে। সমগ্র পাঞ্জাব সেদিন উত্তাল। কালো পতাকা হাতে কমিশনকে ধিক্কার জানাতে পথে বেরলো বিরাট মিছিল। মিছিলের পুরোভাগে পাঞ্জাবের অবিসংবাদী নেতা লালা লাজপৎ রায়। তিনিও ধ্বনি তুলছেন — গো ব্যাক সাইমন। পুলিসবাহিনী তৈরিই ছিল। ইঙ্গিত পেয়ে হিংস্র হায়নার মত ঝাপিয়ে পড়ল মিছিলের ওপর। এলোপাথারি চলল লাঠি। পুলিশের লাঠির নির্মম প্রহারে প্রবীণ নেতা লালাজির সর্বাঙ্গ রক্তে লাল হয়ে গেল। তবু তিনি অবিচল কন্ঠে ধ্বনি তুলছেন — গো ব্যাক সাইমন — সাইমন ফিরে যাও।

আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে একসময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন লালাজি। সেই জ্ঞান আর কোন দিনই ফিরে এলো না তার। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল সঙ্গে সঙ্গেই। কয়েকদিন ধরে টানা চলল যমে মানুষে টানাটানি। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শহীদ হলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নির্ভীক যোদ্ধা লালা লাজপৎ রায়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যোজিত হল এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ল এই দুঃসংবাদ।

বিস্মিত আঘাতে স্তব্ধ হয়ে গেল ভারতবাসী। কিন্তু অন্যায় তারা মুখ বুজে মেনে নিতে রাজি ছিল না। ওরা শাসক — সর্বক্ষমতার অধিকারী। হলেই বা ভারতবাসী পরাধীন — লালাজির হত্যার বিচার করবার অধিকার তো কেউ কেড়ে নিতে পারে না। স্বাধীনতাকামী তরুণের দল রক্তের অক্ষরে শপথ নিলেন — বিচার আমরাই করব। পাঞ্জাবের বীর বিপ্লবী ভগৎসিং, শুকদেব রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ শপথ নিলেন — লাইফ ফর লাইফ।

এছাড়া আর কোন হিসাব আমরা মানব না। পুলিসের বড়কর্তা মিঃ স্কটের হুকুমে সেদিন মিছিলের ওপরে আক্রমণ চালিয়ে ছিল পুলিস বাহিনী। তাকেই প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে এই অন্যায় কাজের জন্য। মিঃ স্কটের ক্ষমা নেই। একমাস পরে ১৭ ই ডিসেম্বর। সেদিন অপরাহু চারটে সাঁইত্রিশ মিনিটেব সময় দেখা গেল পুলিস দপ্তরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন ভগৎ সিং, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ প্রমুখ বিপ্লবীগণ। তাঁরা আগেই খবর নিয়ে জেনেছেন, মিঃ স্কটের অফিস থেকে বেরিয়ে আসার সময় এটাই ৷

সেই জন্য তাঁরা রিভলবার তৈরি রেখে প্রস্তুত হয়েই এসেছেন। হঠাৎ দেখা গেল মিঃ স্কট মোটর সাইকেল নিয়ে এদিকেই এগিয়ে আসছে। পলকের মধ্যে রাজগুরুর হাতের অস্ত্র গর্জন করে উঠল — দ্রাম — দ্রাম| রাজগুরুর অব্যর্থ গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মিঃ স্কট। তবু নিশ্চিত হবার জন্য এবারে গর্জন করল ভগৎ সিংয়ের হাতের অস্ত্র। গুলির শব্দ লক্ষ্য করে ছুটে এলেন একজন ইউরোপীয়ান সার্জেন্ট আর মিঃ স্কটের দেহরক্ষী চন্দন সিং। চন্দ্রশেখর আজাদ এবার অস্ত্র তুললেন। তার অব্যর্থ গুলিতে মুখ থুবড়ে পড়ল চন্দন সিং। হৈ – চৈ চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে কে কোথায় পালিয়ে গেল কেউ তার হদিস পেল না।

বিপ্লবীদের দুর্ভাগ্য, সেদিন মস্ত বড় ভুল হয়েছিল তাদের। গুলিতে সেদিন নিহত হয়েছিলেন একজন পুলিস অফিসার মিঃ স্যান্ডার্স — স্কট নন। এরপর যা হবার তাই শুরু হল। তদন্ত আর নির্বিচারে গ্রেপ্তার। সরকার হত্যাকারীর সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠল। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠল বিপ্লবী তরুণের দল। অভিনব উপায়ে তাঁরা সরকারকে তাঁদের চ্যালেঞ্জের ঘোষণা জানালেন। হত্যাকান্ডের চারদিন পরে, ২৯ শে ডিসেম্বর শহরে সর্বত্র এক ইস্তাহার বিলি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লিওনার্দো দা ভিঞ্চি জীবনী

আরও পড়ুন: নিকোলাস কোপার্নিকাস জীবনী

আরও পড়ুন: আন্দ্রে ভেসালিয়াস জীবনী

আরও পড়ুন: টাইকো ব্রাহে জীবনী

আরও পড়ুন: গ্যালিলিও গ্যালিলেই জীবনী

তাতে বিপ্লবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে: ‘এতদ্বারা মহামান্য সরকার ও পুলিসবাহিনীকে অবগত করা হচ্ছে যে, তাদের মধ্যে কেউ স্যান্ডার্সের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলে, হিন্দুস্থান সোস্যালিস্ট রিপাবলিকান পার্টির সামরিক অধিকর্তার তরফ থেকে তাকে প্রচুর অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।’ কয়েকদিন পরেই ভগৎ সিং চলে এলেন কলকাতায় কিছু অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহের জন্য। বিপ্লবের পীঠভূমি কলকাতা।

বাংলার বিপ্লবীরা সাদরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন। কিছু অস্ত্রশস্ত্র আর গোটা কতক বোমা নিয়ে ভগৎ সিং ফিরে গেলেন লাহোরে। এবারে তাঁর সংকল্প আরো শক্ত আঘাত হানতে হবে যাতে সাগরের ওপারে শাসকের আসন টলে ওঠে। গোটা সাম্রাজ্য তোলপাড় হয়। বিপ্লবীদের একটাই বীজমন্ত্র, কর্তব্য সাধন কিংবা শরীর পাতন। স্বাধীনতা তো হেসেখেলে আসে না। তার জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হয়। জাতিকে হতে হয় নির্ভয়। বিপ্লবীদের তাই তাদের সবচাইতে প্রিয় জিনিসটিকে বন্ধক রেখেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করতে হয়।

হাসতে হাসতে তাঁরা প্রাণ উৎসর্গ করেন। বিপ্লবী মদনলাল ধিংড়া ইংলন্ডে তার বিচারকালে আদালতে দাঁড়িয়ে বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র দৃপ্তকন্ঠে প্রচার করে বলেছিলেন: “The only lesson required in India at present is to learn how to die and the only way to fetch it is by dieing ourselves.” বিপ্লবী মদনলাল ধিংড়াই প্রথম শহীদ যিনি বিদেশের কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

সেই আদর্শেই অনুপ্রাণিত ভগৎ সিং। প্রাণ উৎসর্গ করতে হবে অকাতরে ৷ মৃত্যুভয়ে ভীত সাধারণ ভারতবাসীকে জাগিয়ে তুলতে হবে। পরিকল্পনা রূপায়িত হল ১৯২৯ খ্রিঃ ৬ ই জুন। দিল্লীর অ্যাসেমব্লিতে সেদিন কতকগুলি জরুরী বিল নিয়ে আলোচনা হবে। বিশিষ্ট দর্শকদের মধ্যে রয়েছেন মিঃ সাইমন আর স্পীকার বল্লভভাই প্যাটেল। আলোচনা শুরু হয়েছে এমনি সময়ে দুই বলিষ্ঠ তরুণ গুচ্ছ গুচ্ছ লাল ইস্তাহার ছড়িয়ে দিলেন গোটা অ্যাসেমব্লি হলে।

সঙ্গে সঙ্গেই হল প্রচন্ড বিস্ফোরণ –বুম্ম্ম্ – ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চতুর্দিক। হৈ হৈ চিৎকার চেঁচামেচি। ধোঁয়া সরে গেলে চিৎকার উঠল — কে – কে করেছে এমন কাজ ? হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়ে ধীর অবিচলিত ভাবে এগিয়ে গেলেন ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত। তারা জানালেন, ‘কাউকে হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তা যদি থাকত তাহলে সাইমন এতক্ষণ ওখানে বসে থাকতে পারতেন না। আমাদের উদ্দেশ্য পাবলিক সেফটি বিলের উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো। “It takes a loud voice to make the deaf hear . Let the government know that while protesting against the public safty and Trade Dispute Bills and call our murder of Lala Lajpat Rai, on behalf of the helpess Indian mas, we want to emphasise the lesson often repeated by history that it is easy to kill individuals but you can not kill ideas. Great empires crumbled while ideas survive ….. We are sorry to admit we attach great sanctity to human life. But the sacrifice of individuals at the alter of great revolution that will bring freedom to all rendering exploitation of man by man impossible in inevitable, Long live Revolution.”

একটা মাত্র বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গোটা ভারতবর্ষের সঙ্গে তোলপাড় হয়ে গেল ইংলন্ড। এরপরই শুরু হল ব্যাপক গ্রেপ্তার। একে একে গ্রেপ্তার করা হল শুকদেব, রাজগুরু, যতীন দাস প্রমুখ বিপ্লবীদের। যতীনদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলকাতায়। তারপরই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় লাহোরে। গ্রেপ্তারের পর পরবর্তীকালে যতীন দাস দীর্ঘ তেষট্টি দিনের অনশনের পরে দেহরক্ষা করে স্বাধীনতা সংগ্রামেব ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের যোজনা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: আলফ্রেদ নোবেল জীবনী

আরও পড়ুন: জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল জীবনী

আরও পড়ুন: উইলিয়াম থমসন ব্যারন কেলভিন জীবনী

আরও পড়ুন: বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন জীবনী

আরও পড়ুন: আরমাউয়ার হ্যানসেন জীবনী

১৯২৯ খ্রিঃ ১০ ই জুলাই শুরু হল লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা। প্রধান আসামী ভগৎ সিং, শুকদেব, বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরু, যতীনদাস প্রমুখ বিপ্লবীবৃন্দ। মোট চব্বিশ জন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ — ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং স্যান্ডার্স হত্যা। যতীন দাস চলে গেলেন তেষট্টি দিন অনশনের পরে। ঐতিহাসিক লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় আদালতে ভগৎ সিং যে প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছিলেন, সারা দেশ, সারা পৃথিবী সেদিন চমকে উঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, “Revolution does not necessarily involve san guinary strife, not is there only place in it for individual vendetta. It is not the cult of bobs and pistol . By ‘ Revolution ‘ we mean that the present order of things which is baesed on manifest injustice must change. There should be radical change to re – organise the society on a sociolistic basis, so that exploitation of man by man or of nation by nation is brought to an end ushering is an era of Universal peace …… This is our ideal. It (our warning) goes unheeded and the present system of Government continues, a grim struggle must ensue to have the way for the consummation of the ideal of revolution.”

এই বিবৃতির পরেই আর কিছু বক্তব্য আছে কিনা আদালত তা জানতে চাইলে ভগৎ সিং দৃপ্তক ধ্বনি তুললেন— “ইনকিলাব—জিন্দাবাদ- ইনকিলাব-জিন্দাবাদ” সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্ত বন্দিরা গলা মেলালেন — ইনকিলাব জিন্দাবাদ— বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। বিচার শেষ হল ৭ ই অক্টোবর। ভগৎ সিং শুকদেব এবং রাজগুরুকে দেওয়া হল প্রাণদন্ড। ১৯২৯ খ্রিঃ ১০ ই জুলাই লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার প্রথম শুনানী আরম্ভ হয়েছিল।

১৯৩০ খ্রিঃ ৭ ই অক্টোবর দীর্ঘ পনের মাস পরে মামলার রায় বের হয়। মাসিক ভারতবর্ষ (১৩৩৭, অগ্রহায়ণ) পত্রিকায় এই মামলা সম্পর্কে লেখা হয়েছিল, 66 লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার বিচার আইনের ইতিহাসের দিক দিয়া বিশেষ স্মরণীয় হইয়া থাকিবে, কারণ — এই মামলায় দুইবার বিচারক বদলাইতে হইয়াছে। দুইজন বিচারক স্বেচ্ছায় এই মামলা পরিচালনে অস্বীকার করেন এবং বড়লাট লর্ড আরউইনকে তাঁহার অতিরিক্ত ক্ষমতার বলে বিচার শীঘ্র শেষ করিবার জন্য ‘লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা অর্ডিন্যান্স’ প্রয়োগ করিতে হয়।

আসামীরা এই অর্ডিন্যান্সের প্রতিবাদকল্পে আদালতে আসিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু আইন ও পুলিশ কাহারও জন্য অপেক্ষা করে না। সুস্থ দেহে আদালতে আসার পরিবর্তে, এমনি ঘটনাবিপর্যয় হয় যে, কয়েক জনকে দোলায় চড়িয়া আসিয়া মামলা শুনিতে হইয়াছিল। এই প্রহারের ব্যাপারের পর ট্রাইবুন্যালের সভাপতি জাস্টিস কোলস্ট্রিম ও কমিশনার আগা হায়দর এই মামলার সহিত তাহাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তাহাদের শূন্যস্থানে নূতন বিচারক হইয়া আসিলেন জাস্টিস ট্যাপ ও স্যার আবদুল কাদের। বিচার শেষ হইল।” রায়ের বিরুদ্ধে ভগৎ সিংয়ের পিতা সর্দার করণ সিং প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করবার জন্য আদালতে এক আবেদন পেশ করলেন।

এই কথা জানতে পেরে ভগৎ সিং তাঁর পিতাকে লিখলেন: “আমার পক্ষ সমর্থনের জন্য আপনি স্পেশাল ট্রাইবুন্যালের বিচারপতিদের নিকট আবেদন করিয়াছেন। এই সংবাদ অবগত হইয়া আমি মর্মাহত হইয়াছি। এই কঠিন আঘাত স্থিরভাবে সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনার এই আবেদন ভিক্ষা আমার মানসিক শান্তিকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করিয়াছে। আপনি আমার জীবনকে যতখানি মূল্যবান মনে করেন, আমি তাহা মনে করি না। আমার আদর্শকে বলি দিয়া আমার প্রাণকে রক্ষা করিবার কোনও প্রয়োজন নাই ৷

আমার বহু সহকর্মীর অবস্থা আজ ঠিক আমারই মত গুরুতর। আমরা সকলে একই আদর্শ গ্রহণ করিয়াছিলাম এবং এতকাল একসঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়াইয়া আসিয়াছি। শেষ পর্যন্তও আমরা ঠিক সেই ভাবেই থাকিব। উহাতে আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি যত গুরুতরই হোক না কেন, কোন ক্ষতি নাই। পূর্বে আমার যে অভিমত ছিল, আজও তাহা স্থির আছে। আত্মপক্ষ সমর্থন করিলে বোরস্ট্যাল কারাগারে আমার যে বন্ধুগণ বন্দি হইয়া আছেন তাহাদের প্রতি আমার বিশ্বাসঘাতকতা করা হইবে।” (ট্রিবিউন পত্রিকা থেকে গৃহীত) জাতীয় বীর ভগৎ সিংয়ের ফাঁসির হুকুম শুনে ভারতবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। দিকে দিকে আওয়াজ উঠল — ভগৎ সিংয়ের ফাসি হলে আমরা তা সহ্য করব না।

এই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠল গান্ধী ও বড়লাট লর্ড আরউইনের মধ্যে এক চুক্তির ফলে। এই চুক্তিকে দিল্লি চুক্তিও বলা হয়। ১৯৩১ খ্রিঃ ৫ ই মার্চ গান্ধী আরউইন চুক্তিব শর্ত অনুযায়ী সরকার (১) নিপীড়ন মূলক আইন ও অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করে নেন (২) হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগে রাজনৈতিক বন্দিদের ছাড়া অন্যান্য সব বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। (৩) সমুদ্রতীরে বসবাসকারী অধিবাসীদের নিজেদের প্রয়োজনে লবন তৈরি করা এবং বিলিতী মদ ও বস্ত্রের দোকানে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করা বিধিসম্মত হবে। সরকার স্বীকার করে নেন (৪) ভারতের প্রতিরক্ষা, বৈদেশিক সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু শ্রেণীর স্বার্থরক্ষার সব দায়দায়িত্ব সরকারের হাতে রাখা হবে। শর্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হল। কেবল মুক্তি পেলেন না বিপ্লবীরা।

আরও পড়ুন: জোসায়া উইলার্ড গিবস জীবনী

আরও পড়ুন: উইলহেম রন্টজেন জীবনী

আরও পড়ুন: টমাস আলভা এডিসন জীবনী

আরও পড়ুন: লুই পাস্তুর জীবনী

আরও পড়ুন: জেমস ওয়াট জীবনী

৫ ই মার্চ তারিখে চুক্তি স্বাক্ষর করেই গান্ধীজি সিমলা থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, এই চুক্তি সর্বতোভাবে গৃহীত হলে, সহিংস কাজের জন্য যাঁদের ফাসির হুকুম হয়ে আছে, তারাও মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা করেন। কিন্তু দেশবাসী প্রচন্ড ক্ষোভ ও দুঃখের মধ্যে ২৩ শে মার্চ জানতে পারলেন, দেশবাসীর সকল আবেদন অগ্রাহ্য করে ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুকে সেদিন লাহোর জেলে ফাসি দেওয়া হয়েছে। পরদিনই করাচিতে কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হবার কথা। লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী সেদিন করাচির পথে।

এর পরের ঘটনা ভগৎ সিংয়ের এক সহকর্মী মুক্তিপ্রাপ্ত অজয় ঘোষ জানিয়েছেন: “বাইরে এসে সেদিন বুঝতে পারলাম, ভগৎ সিংয়ের মূল্য আমাদের দেশের কাছে কতখানি। তখনকার দিনে যত সভা হত, সেখানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে শ্লোগান হত — ভগৎ সিং জিন্দাবাদ। ভগৎ সিংয়ের নাম তখন লক্ষ লক্ষ লোকের মুখে শোনা যেত, প্রতিটি যুবকের বুকে আঁকা ছিল তারই মূর্তি। আমার বুক আনন্দে ও গর্বে ভরে যেত, যখন ভাবতাম — এমন একজন লোকের সহকর্মী ছিলাম আমি — যাকে আমি চিনতাম।

১৯৩১ খ্রি মার্চ মাস, কংগ্রেসের করাচি অধিবেশনের ঠিক পূর্বে একদিন তাঁদের ফাসি হয়ে গেল। ভগৎ সিংয়ের বয়স তখন চব্বিশও পূর্ণ হয়নি। ….. আমি করাচির পথে এ সংবাদ পেলাম। যারাই শুনল, শিশুর মতই কেঁদে উঠল। আমি বিমূঢ় হয়ে গেলাম। একটা ধূমকেতুর মত ভগৎ সিং ভারতবর্ষের রাজনৈতিক আকাশে ক্ষণিকের জন্য উদয় হয়েছিল। কিন্তু তার এই ক্ষণিক উদয় ব্যর্থ হয় নি। কোটি কোটি লোকের দৃষ্টি ছিল তার ওপর নিবদ্ধ। তাঁরা তাঁর মধ্যে খুঁজে পেয়েছিল নূতন ভারতের আত্মার প্রতীক। মরণে নির্ভীক, সাম্রাজ্যবাদী শাসনের উচ্ছেদে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল সে। সে চেয়েছিল আমাদের এই দেশে সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসাবশেষের উপর গড়ে তুলতে এক স্বাধীন গণতন্ত্রের প্রাকার। ” ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়ে, ভারতবর্ষে ইনকিলাব জিন্দাবাদ এই মহামন্ত্রের উদ্গাতা বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং ভারতবাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে রইলেন।

আরও পড়ুন: জন ফ্রাঙ্কলিন এন্ডারস জীবনী

আরও পড়ুন: আর্থার কম্পটন জীবনী

আরও পড়ুন: রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট এবং উইলবার রাইট জীবনী

আরও পড়ুন: সিগমুন্ড ফ্রয়েড জীবনী

আরও পড়ুন: শরৎ চন্দ্র পণ্ডিত দাদাঠাকুর জীবনী

Share this:

• Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
• Click to share on Facebook (Opens in new window)
• Click to share on Telegram (Opens in new window)
• Click to share on Twitter (Opens in new window)
• Click to share on Pinterest (Opens in new window)
• Click to print (Opens in new window)

Leave a Reply Cancel reply

নতুন চাকরির খবর.

এসএসসির মাধ্যমে প্রচুর কর্মী নিয়োগ 2024 | SSC Staff Recruitment 2024

আপার ডিভিশন ক্লার্ক নিয়োগ 2024 | Upper Division Clerk Recruitment 2024

মাধ্যমিক পাশে এয়ারপোর্টে কর্মী নিয়োগ 2024 | AI Airport Services Limited...

দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলে অ্যাক্ট অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ 2024 | South East...

কলকাতা মেট্রো রেলে অ্যাকাউন্ট নিয়োগ 2024 | Kolkata Metro Rail Accounts...

Crpf constable recruitment 2023 – সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে প্রচুর নিয়োগের..., নামিবিয়ার টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলবে ভারত-পাকিস্তানের দুই দল.